‘দু’ বনাম ‘দূ’ :
‘দূরদৃষ্টি’ (ঊ-কার)
‘দুরদৃষ্ট’ (উ-কার)
কেন এই বৈপরীত্য?
《》জীবনানন্দ দাশের ব্যাপারে বুদ্ধদেব বসুর একটি বিখ্যাত মন্তব্য : “তাঁর রচনা … দূরগন্ধবাহী।”
আমরা ধরে নেব কি যে- জীবনানন্দ দাশের লেখা থেকে খারাপ গন্ধ আসে? মোটেও নয়। বরং এর অর্থ হল ‘দূরের কিছুর অনুভূতি পাওয়া’।
এখান থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হল যে- ‘দূরে’ অর্থ হলে শব্দে ‘দূ’ বসবে। আর ‘খারাপ’ বা ‘কঠিন’ অর্থে বসবে ‘দু’।
《》কয়েকটি ‘দূ’-যুক্ত শব্দ :
‘দূরত্ব’, ‘দূরপাল্লা’ বা
‘দূরদৃষ্টি’ (‘দূর+ দৃষ্টি’ সমাসবদ্ধ)।
এগুলো সবগুলোতেই ‘দূরে’ অর্থ থাকাতে ‘দূ’ অর্থাৎ ‘দূর’ উপসর্গ বসেছে।
《》অন্যদিকে ‘দু’-যুক্ত কিছু শব্দ :
‘দুর্বল’, ‘দুর্নীতি’, ‘দুরারোগ্য’, ‘দুর্জয়’, ‘দুঃসহ’ বা
‘দুরদৃষ্ট’ (‘দুঃ+অদৃষ্ট’ বিসর্গ সন্ধিবদ্ধ)।
এগুলো সবগুলোতেই ‘খারাপ’ বা ‘কঠিন’ অর্থ থাকাতে ‘দু’ উপসর্গ বসেছে।
《》কিছু শব্দ উপসর্গের কারণে নয়, এমনিতেই ‘দূ’ বসবে। যেমন-
‘দূষণ’, ‘দূত’, ‘দূর্বা’।