বাংলা লিপির উৎপত্তি
ভারতবর্ষের মৌলিক লিপি ‘ব্রাহ্মী লিপি’ হতে ‘বাংলা লিপির’ উৎপত্তি। সম্রাট অশোকের অনুশাসন সুগঠিত ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ণ। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতকে ব্রাহ্মী লিপি হতে ‘পশ্চিমা লিপি’, ‘মধ্য ভারতীয় লিপি’ এবং ‘পূর্বী-লিপি’ নামে তিনটি শাখা লিপির সৃষ্টি হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি হতে মধ্য ভারতীয় ও পূর্বী লিপির এবং দক্ষিণি ব্রাহ্মী লিপি হতে দক্ষিণ-পশ্চিমের নাগরি লিপির উদ্ভব। একাদশ-দ্বাদশ শতকে ‘পূর্বী-লিপি’ হতে ‘বাংলা লিপির’ উৎপত্তি ঘটে। অর্থাৎ ‘ ব্রাহ্মী লিপি’ হতে সৃষ্ট ‘পূর্ব লিপি’ বাংলা লিপির উৎস।
বাংলা লিপির গঠন ও প্রভাব
সেন যুগে বাংলা লিপির গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলেও পাঠান যুগে এসে তা মোটামুটি স্থায়ী আকার ধারণ করে। ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস স্থাপিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময় বাংলা লিপি হাতে লেখা হতো। তাই বাংলা লিপি ক্রম পরিবর্তনের মাধ্যমে অগ্রসর হয়েছে এবং কোনো স্থির বর্ণমালায় সুনির্দিষ্ট রূপ নিতে পারেনি। ১৭৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ছাপাখানা স্থাপনের পর বাংলা লিপি সুনির্দিষ্ট অবয়ব ধারণ করে। ঋগ্বেদ, শূন্যপুরাণ ও সেকশুভোদয়া