উৎস বা উৎপত্তি বা অবস্থান অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে ৮ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন: (১) তৎসম, (২) অর্ধ-তৎসম, (২) তদ্ভব, (৪) খাঁটি বাংলা, (৫) দেশি, (৬) বিদেশি, (৭) মিশ্র এবং (৮) বাংলা ।
১. তৎসম শব্দ: বৈয়াকরণগণ বাংলায় এমন কিছু শব্দ চিহ্নিত করেছেন, যা তাঁদের ধারণামতে, সংস্কৃত ভাষায় ব্যবহৃত হতো এবং এখন কোনো পরিবর্তন না হয়ে অবিকল বাংলা ভাষায় বাংলার নিজস্ব শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সে সব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। যেমন: চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম,পাত্র, মনুষ্য, নীর, মুমূর্ষু, দীন, হীন প্রভৃতি। ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতো, বাংলায় তৎসম শব্দের সংখ্যা ২৫%। বর্তমানে অভিধানভুক্ত মোট শব্দ ১,৬০,০০০ ধরলে বাংলায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের মোট সংখ্যা হয় ৪০ হাজার।
২. অর্ধ-তৎসম শব্দ: বৈয়াকরণগণ বাংলায় এমন কিছু শব্দ চিহ্নিত করেছেন, যা তাঁদের ধারণামতে বা আন্দাজি উৎস হতে গৃহীত তথ্যানুযায়ী সংস্কৃত ভাষায় ব্যবহৃত হতো। এখন আংশিক পরিবর্তন হয়ে বাংলা ভাষায় বাংলার নিজস্ব শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদেরভাষায় সেসব অর্ধতৎসম। যেমন: জ্যোৎস্না>জ্যোছনা, শ্রাদ্ধ>ছেরাদ্দ, গৃহিণী>গিন্নী, বৈষ্ণব>বোষ্টম, কুৎসিত>কুচ্ছিত, মন্ত্র>মন্তর। অনেক মনে করেন, অর্ধ-তৎসম বাংলা ভাষারই শব্দ। সংস্কৃত ভাষায় এই বাংলা শব্দগুলো কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে গৃহীত হয়েছে। বাংলা শব্দভান্ডারের অর্ধ-তৎসম হিসেবে চিহ্নিত শব্দের সংখ্যা ৫%। অভিধানভুক্ত মোট শব্দ ১,৬০,০০০ (২০০ মিশ্র শব্দ-সহ ১,৬০,২০০) ধরলে বাংলায় ব্যবহৃত অর্ধ-তৎসম শব্দের সংখ্যা হয় ৮ হাজার।
৩. তদ্ভব শব্দ: বৈয়াকরণগণের মতে, বাংলায় এমন কিছু সংস্কৃত শব্দ আছে, যা তাঁদের ধারণামতে বা আন্দাজি উৎস হতে গৃহীত তথ্যানুযায়ী সংস্কৃত ভাষায় ব্যবহৃত হতো। যেগুলো প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে পরিবর্তন হয়ে বাংলা ভাষায় নিজস্ব শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেক মনে করেন, এগুলো আসলে বাংলা ভাষারই শব্দ। সংস্কৃত ভাষায় এই বাংলা শব্দগুলো পরিবর্তিত হয়ে গৃহীত হয়েছে। সংস্কৃত বৈয়াকরণগণ বাংলা শব্দগুলোকে সংস্কৃত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।বৈয়াকরণদের ভাষায় এগুলো তদ্ভব শব্দ। যেমন: সংস্কৃত ‘হস্ত’ শব্দটি প্রাকৃততে ‘হত্থ’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আর বাংলায় এসে সেটা আরো সহজ হতে গিয়ে হয়ে গেছে ‘হাত’ চন্দ্র>চন্দ>চাঁদ, গ্রাম>গাও>গাঁ, দধি>দহি>দই। প্রকৃতপক্ষে অর্ধ-তৎসম আর তদ্ভব প্রায় অভিন্ন। অভিন্ন না হলেও ভিন্ন করার সুযোগ কম। যা করা হচ্ছে তা আন্দাজে, কোনোরূপ উৎসপ্রমাণ ছাড়া। বাংলায় তদ্ভব হিসেবে চিহ্নিত শব্দের সংখ্যা প্রায় ৬০%। অভিধানভুক্ত মোট শব্দ ১,৬০,০০০ ধরলে বাংলায় ব্যবহৃত তদ্ভব শব্দের সংখ্যা প্রায় ৯৬ হাজার।
৪. খাঁটি বাংলা শব্দ: ওপরের ২ ও ৩ নম্বরে অনুচ্ছেদে বর্ণিত অর্ধতৎসম ও তদ্ভব শব্দকে একত্রে খাঁটি বাংলা শব্দ বলা হয়।
৫.দেশি শব্দ: বৈয়াকরণগণ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত এমন কিছু শব্দ চিহ্নিত করেছেন যেগুলো তাঁদের মতে, বাংলাভাষী অঞ্চলের আদিবাসীদের ভাষায় ব্যবহৃত হতো। তারা সেসব শব্দকে দেশি শব্দ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন: কুড়ি (বিশ)- কোলভাষা, পেট (উদর)- তামিল ভাষা, চুলা (উনুন)- মুণ্ডারী ভাষা; কলু (সাঁওতালি) প্রভৃতি। এরূপ দেশি হিসেবে চিহ্নিত শব্দের সংখ্যা মোট শব্দের ২%। বাংলা ভাষার শব্দভান্ডারে মোট শব্দের সংখ্যা ১,৬০,০০০ ধরলে দেশি শব্দের সংখ্যা ৩,২০০।
৬. বিদেশি শব্দ: প্রকৃতপক্ষে ‘বিদেশি শব্দ’ কথাটির ব্যবহার ভাষার জন্য যথার্থ মনে হয় না। এটি একটি অসার, বলা যায় অবৈজ্ঞানিক কথা। একটি ভাষা থেকে সব ভাষাগোষ্ঠী এবং ভাষাসমূহের সৃষ্টি। সুতরাং, কোনো ভাষার কোনো শব্দই বিদেশি নয়। অঞ্চল ও ভাষাভাষীভেদে সংগত ও অনিবার্য রূপান্তর মাত্র। তারপরও বৈয়কারণগণ ভাষা, শব্দ, ব্যাকরণ প্রভৃতি নিয়ে মূলত গবেষণা করার সুবিধার্থে বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারকে নানাভাবে ভাগ করেছেন। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে: উৎস বা উৎপত্তি অনুসারে শ্রেণিবিভাগ। প্রকৃতপক্ষে এই উৎপত্তি বা বিভাজন মনুষ্য ভাষার উদ্ভব বা সৃষ্টি বিবেচনায় হাস্যকর ও ভিত্তিহীন। তবু দীর্ঘদিন হতে জেনে আসা বড়ো বড়ো বৈয়াকরণ বা ভাষাগদের (ভাষা গবেষক) আমরা অবহেলা করতে পারছি না।
সংস্কৃত এবং আদি হতে বঙ্গদেশে প্রচলিত থাকার কারণে দেশি হিসেবে চিহ্নিত শব্দ ছাড়া বাংলায় ব্যবহৃত অন্যান্য শব্দকে বিদেশি শব্দ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলায় মোট শব্দের ৮% শব্দকে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলায় অভিধানভুক্ত মোট শব্দ ১,৬০,০০০ ধরলে মোট বিদেশি শব্দ প্রায় ১২,৮০০।
বিদেশি হিসেবে আখ্যায়িত এই ১২,৮০০ শব্দকে ৪৩টি ভিন্ন ভাষা হতে আগত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলায় চিহ্নিত এই ৮% বিদেশি ভাষা যে ৪৩টি দেশ হতে এসেছে বলা হচ্ছে সে ভাষাসমূহের নাম নিচে দেওয়া হলো:
অহমিয়া, আরবি, আইরিশ, আফ্রিকান, আবৈশ,
ইতালিয়ান, ইনুয়িটি (এস্কিমে), ইংরেজি, উর্দু উড়িয়া,
ওলন্দাজ গুজরাতি গ্রিক চীনা চেক
ভাষা জর্মন, জাপানি, জুলু ডেনিশ,
তামিল তিব্বতি তুর্কি, তেলেগু নেপালি
পঞ্জাবি পোর্তুগিজ ফরাসি ফারসি ফ্লেমিশ,
বর্মি বাহ্সা মালয়েশিয়ামরাঠি মালয়ি মালয়ালম
যবদ্বীপরুশ লাতিন লাপ্পিশ সিংহলি
স্ক্যান্ডেনেভিয়ান, স্প্যানিশ হিন্দি। (মোট ৪৩)
আবৈশ: আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক শব্দাবলি।
ফ্লেমিশ:ফ্লেমিশ ভাষা উত্তর বেলজিয়ামের ঐতিহাসিক ফ্ল্যান্ডার্স অঞ্চলে প্রচলিত ভাষা। এটি ওলন্দাজ ভাষার একটি স্থানীয় রূপ। বেলজিয়ামের বাইরে নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণাংশে এবং উত্তর ফ্রান্সের কিছু এলাকাতে ভাষাটি প্রচলিত। বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের সরকার ভাষাটিকে সরকারিভাবে ওলন্দাজ ভাষা হিসেবে গণ্য করে।
লাপ্পিশ: ফিনল্যান্ডীয়
যবদ্বীপ: জাভা; যবদ্বীপের অধিবাসীর ভাষা।
৭. মিশ্র শব্দ: একাধিক ভিন্ন উৎসের শব্দ নিয়ে গঠিত শব্দকে মিশ্র শব্দ বলা হয়। যেমন: খ্রিষ্টাব্দ (ইংরেজি+তৎসম), রাজা-বাদশা (তৎসম+ফারসি), হাট-বাজার (বাংলা+ফারসি), হেড-মৌলভি (ইংরেজি+ফারসি), হেড-পণ্ডিত (ইংরেজি+তৎসম), ডাক্তারখানা (ইংরেজি+ফারসি), পকেটমার (ইংরেজি+বাংলা) প্রভৃতি। মিশ্র শব্দের সংখ্যা অসংখ্য হতে পারে। তবে দুইয়ের অধিক ভাষা হতে আগত শব্দ সমন্বয়ে গঠিত শব্দের সংখ্যা প্রায় ২০০।এগুলোকে বাকি অন্যান্য উৎসের শব্দ হতে বাইরে রেখে হিসাব করা হয়েছে।
৮. বাংলা শব্দ: বাংলা শব্দ আসলে ওপরে বর্ণিত সবগুলো উৎস হতে প্রাপ্ত শব্দের মিলন। পূর্বে বলা হয়েছে, একটি ভাষা থেকে সব ভাষার সৃষ্টি। বৈয়াকরণগণ উৎস অনুসারে ভাষার যে বিভক্তি দেখান তা স্বল্প সময় পরিধির একটি অনুমান। বাংলায় ব্যবহৃত সব শব্দই বাংলা। যে উৎসের শব্দ হিসেবে চিহ্নিত করা হোক না, বাংলায় ব্যবহৃত এবং বাংলাভাষী জনগণের কাছে সাধারণ বিবেচনায় যে রূপে আর যে অর্থে পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত তাকে বাংলা শব্দ বলা হয়। উপরে বর্ণিত উৎসমূহের প্রত্যেকটি শব্দ বাংলা শব্দ। যেমন: চেয়ার, টেবিল, দৌলত, আনারস, কার্তুজ, খদ্দর, চাহিদা, চাকর, চা, ফুঙ্গি, রিকশা, ইন্টারনেট, কী-বোর্ড প্রভৃতি। এসব শব্দের প্রতিশব্দ বা পরিভাষাও থাকতে পারে। বিভিন্ন গবেষকগণ বাংলা ভাষায় শব্দের সংখ্যা সম্পর্কে ভিন্ন মত প্রদান করেছেন। সবচেয়ে গ্রাহ্য মত হচ্ছে বাংলা শব্দ ভান্ডারে মোট শব্দ সংখ্যা: ১,৬০,০০০ এবং ২০০ মিশ্র শব্দ-সহ ১৬০,২০০০। তবে ড. এনামুল হকের মতো, অভিধানভুক্ত শব্দ ১,২০,০০০। তিনি যখন হিসেব দিয়েছিলেন তখন, অভিধানে ওই পরিমাণই শব্দ ছিল। এখনও আরো বেড়েছে।
বাংলা ভাষার শব্দ সম্ভার
ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতে বাংলা ভাষার ২৫% শব্দ তৎসম, ৫% শব্দ অর্ধ-তৎসম,৬০% শব্দ তদ্ভব,৮% শব্দ বিদেশিএবং মাত্র ২% শব্দ দেশি। অভিধানভূক্ত প্রায় ১,২০,০০০ শব্দের মধ্যে দেশি শব্দ পাওয়া যেতে পারে ২,৪০০। একজন বাঙালি যদি প্রতিদিন একশ শব্দ ব্যবহার করেন তন্মধ্যে দেশি শব্দ থাকার সম্ভাবনা মাত্র দুটি।
পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.সাধারণভাবে মনে করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রায় দেড় লাখ শব্দ রয়েছে। এ শব্দগুলোর সব অভিধানভুক্ত নয়। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মতে, বাংলা ভাষায় শব্দের সংখ্যা দুই লাখের অধিক। আবার অনেকে মনে করেন, এ সংখ্যা কমপক্ষে চার লাখ।
১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড়ো অভিধান জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের ‘বাংলা ভাষার অভিধান’ প্রকাশিত হয় । এখানে প্রায় ৭৫ হাজার বাংলা শব্দ সংকলিত হয়। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণে শব্দসংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় এক লক্ষ পনের হাজার।
১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে অভিধান প্রণয়নের জন্য বাংলা একাডেমি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এ কমিটিতে ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মুনীর চৌধুরী, অজিত কুমার গুহ ও আহমদ শরীফের মতো পণ্ডিতবর্গ। সামসময়িক আরও অনেক বিশেষজ্ঞকেও এ প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ড. মুহম্মদ এনামুল হকের সম্পাদনায় স্বরবর্ণ অংশ, ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক শিবপ্রসন্ন লাহিড়ীর সম্পাদনায় ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ এবং ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে অখণ্ড পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ ‘বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ নামে প্রকাশিত হয়। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় পরিমার্জিত সংস্করণ। এতে ভুক্তি ও উপভুক্তি মিলে মোট ৭৩ হাজার ২৭৯টি শব্দের অভিধা পাওয়া যায়। শেষ সংস্করণে এ অভিধানে নতুন প্রায় দুই হাজার শব্দ যুক্ত হয়েছে। সে হিসেবে বাংলা শব্দের সংখ্যা ৭৫ হাজার।
২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’- এটিই বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় অভিধান। এতে প্রায় দেড় লাখ শব্দ যুক্ত হয়েছে। এ হিসাবে গত ১০০ বছরে বাংলার শব্দ সংকলনে যুক্ত হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার শব্দ।
জাতীয় জ্ঞানকোষ ‘বাংলাপিডিয়া’র প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলা একাডেমির অভিধানে সংকলিত শব্দসংখ্যা দিয়ে বাংলা শব্দভাণ্ডারের শব্দসংখ্যা নির্ধারণ করা যাবে না। কারণ বাংলা একাডেমি যে অভিধানগুলো করেছে, তা সাহিত্যভিত্তিক। বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধানে যুক্ত হয়েছে সে সব শব্দ, যা বাংলা সাহিত্যে ঢুকেছে। এর বাইরেও অগণিত শব্দ রয়ে গেছে। তাঁর মতে, আমাদের ভূখণ্ডের সব যুগের, সব শ্রেণির, সব ধর্মের, সব সংস্কৃতির শব্দকে সংকলিত করলে বাংলা শব্দের সংখ্যা দুই লাখের কম হবে না। কিন্তু এ রকম শব্দ সংকলনের কোনো উদ্যোগ এখনও গ্রহণ করা হয়নি। এশিয়াটিক সোসাইটি ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের দিকে এ রকম একটি উদ্যোগ নিলেও তা শেষ পর্যন্ত ফল হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখরের মতে, বাংলা শব্দভাণ্ডারে শব্দসংখ্যা চার লাখের কম হবে না। এ বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক কোনো গবেষণা না হওয়ার কারণে প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান (কালের কণ্ঠ, ২১.০২.২০১৪)। অনেকে মনে করেন, এ পরিসংখ্যান যৌক্তিক নয়।
সবদিক বিবেচনা করলে বাংলা ভাষায় শব্দের সংখ্যা চার লাখ হয়ে যাবে। অথচ মাত্র দেড় লাখ শব্দ অভিধানভুক্ত করা গিয়েছে, অন্যদিকে সাহিত্যে আছে মাত্র – পঁচাত্তর হাজার। সার্বিক বিবেচনায় অধিকাংশের অভিমত, বাংলা শব্দভান্ডারে শব্দ সংখ্যা প্রায় ২লাখ পঞ্চশ হাজার এবং অভিধানভুক্ত হয়েছে সবমিলিয়ে ১,৬০,২০০।
To provide the best experiences, we use technologies like cookies to store and/or access device information. Consenting to these technologies will allow us to process data such as browsing behavior or unique IDs on this site. Not consenting or withdrawing consent, may adversely affect certain features and functions.
Functional
Always active
The technical storage or access is strictly necessary for the legitimate purpose of enabling the use of a specific service explicitly requested by the subscriber or user, or for the sole purpose of carrying out the transmission of a communication over an electronic communications network.
Preferences
The technical storage or access is necessary for the legitimate purpose of storing preferences that are not requested by the subscriber or user.
Statistics
The technical storage or access that is used exclusively for statistical purposes.The technical storage or access that is used exclusively for anonymous statistical purposes. Without a subpoena, voluntary compliance on the part of your Internet Service Provider, or additional records from a third party, information stored or retrieved for this purpose alone cannot usually be used to identify you.
Marketing
The technical storage or access is required to create user profiles to send advertising, or to track the user on a website or across several websites for similar marketing purposes.