বস্তাপচা বুলি: ‘বস্তা’ ও ‘পচা’ শব্দের সমন্বয়ে ‘বস্তাপচা’ শব্দের উদ্ভব। বস্তা মানে থলে এবং পচা মানে নষ্ট। বস্তাপচা মানে বস্তায় পচা। বস্তায় রাখা বস্তু পচে গেলে তাকে বস্তাপচা বলা হয়। বস্তাপচা পণ্য সবসময় ফেলে দেওয়া হয় না। অনেক সময় তা বাজারে

সস্তা দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অথবা রাস্তার পাশে ফুটপাথে ফেলে দেওয়া হয় এবং যে কেউ তা দেখে ও বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারে। বস্তাপচা শব্দের পাশে বুলি বসলে হয়— বস্তাপচা বুলি। ‘বুলি’ শব্দের অর্থ— কথা। সুতরাং বস্তাপচা বুলি কথার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ—বস্তায় পচা বুলি। কিন্তু এর প্রায়োগিক অর্থ— সস্তা কথা। অধিক ব্যবহারে যা সহজলভ্য হয়ে যায় তাকেও ‘বস্তাপচা’ বলা হয়। বস্তাপচা দ্রব্য যেমন সহজলভ্য ও তেমনি প্রচুর এবং অবহেলার। তেমনি যেসব বাণী বা কথা যত্রতত্র প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয় এবং অর্থও খুব হালকা সেগুলোই হচ্ছে ‘বস্তাপচা বুলি’। বাংলা ছবি, নাটক ও আলাপ-আলোচনায় এটি একটি বহুল ব্যবহৃত কথা। যেমন— জীবন একটা রঙ্গমঞ্চ… মায়ের পায়ের নিচে…, বাবা কেন চাকর। কথাগুলো ভালো, তবু বস্তাপচা হলো কেন? তবে কি বেশি ব্যবহারে ভালো জিনিসও মূল্যহীন হয়ে যায়? হ্যাঁ, অধিক ব্যবহারে ভালো জিনিসও মূল্যহীন হয়ে পড়ে বইকি।