বিদ্যাসুন্দর কাব্যের অন্যতম কবি
শ্রীধর কবিরাজকে বাংলা সাহিত্যের বিদ্যাসুন্দর কাব্যের অন্যতম কবি বলা হয়।
স্বচেষ্টায় কাব্য রচনার পথিকৃৎ
কবি মরদন ‘নসীরনামা’ কাব্যের রচয়িতা। রোসাঙ্গরাজ শ্রীসুধর্মার রাজত্বকালে (১৬২২-১৬৩৮) তাঁর আবির্ভাব। রোসাঙ্গের কাঞ্চি নগরে কবি বসবাস করতেন। এটি রোসাঙ্গের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যেটি কোনো রাজ পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া কবির সচেষ্টায় রচিত হয়।
প্রথম মুসলিম পদকর্তা
কয়জন মুসলমান কবি পদাবলি রচনা করেছেন তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য ‘বাংলার বৈষ্ণবভাবাপন্ন মুসলমান কবি’ গ্রন্থে শতাধিক মুসলমান কবির নাম উল্লেখ করেছেন, যারা পদাবলি রচনা করেছেন। শেখ কবির প্রথম মুসলমান পদকর্তা কবি। এছাড়া আফজাল, শেখ ফয়জুল্লাহ, সৈয়দ আইনুদ্দিন, সৈয়দ মুর্তজা, আলাওল, আলি রজা, কমর আলী, নওয়াজিস, সৈয়দ সুলতান প্রমুখ কবি পদাবলী রচনা করেছেন।
মধ্যযুগের প্রথম মুসলিম মহিলা কবি
মধ্যযুগের প্রথম মুসলিম মহিলা কবি রহিমুন্নেছা (১৭৬৩-১৮০০ খ্রি.)। ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের লিপিকার হিসেবেও তিনি খ্যাত।
প্রথম মুসলিম মহাকাব্যকার/ প্রথম মুসলিম কবি ও লেখক
মোহাম্মদ কাজেম আলী কোরেশী বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম মহাকাব্যকার। তাঁর ছদ্মনাম ছিল কায়কোবাদ। ‘মহাশশ্মান’ তাঁর বিখ্যাত মহাকাব্য। মধ্যযুগের কবি শাহ মুহাম্মদ সগীর বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি ও প্রথম মুসলিম লেখক।
শান্তিপুরের কবি/বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম শিশুপাঠ্য গ্রন্থ রচয়িতা
বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের মধ্যে প্রথম শিশুপাঠ্য গ্রন্থ রচনা করেন শান্তিপুরের কবি হিসেবে খ্যাত কবি মোজাম্মেল হক (১৮৬০-১৯৩৩ খ্রি.)। উর্দু সাহিত্যে শিশুপাঠ্য রচনায় ইসমাইল মারাঠির যে অবদান, বাংলা সাহিত্যে শিশুপাঠ্য সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে মুসলমান সমাজে মোজাম্মেল হকেরও অনুরূপ অবদান। তিনি ‘লহরী’ নামক একটি মাসিক কবিতা পত্রিকা সম্পাদন করেন। কবি মোজাম্মেল হক ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকাও সম্পাদনা করেছিলেন। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ‘হযরত মোহাম্মদ’ তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্য।
ইকবালের শাকাওয়াত কবিতার প্রথম বঙ্গানুবাদক, আত্মহত্যাকারী মুসলিম কবি
কবি আশরাফ আলী খান ইকবালের শাকাওয়াত কবিতার প্রথম বঙ্গানুবাদক। তিনিই বাংলা সাহিত্যের একমাত্র মুসলিম কবি, যিনি আর্থনীতিক দুরবস্থা ও পারিবারিক অশান্তির কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন।