মধ্যযুগের প্রথম কাব্য
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ মধ্যযুগের প্রথম কাব্য। রচয়িতা বড়ূচ-ীদাস, মধ্যযুগের আদিকবি। লোকসমাজে প্রচলিত রাধাকৃষ্ণের প্রেমবিষয়ক গ্রাম্য গল্প নিয়ে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ রচিত।
মধ্যযুগের প্রথম মহিলা কবি
কবি চন্দ্রাবতী মধ্যযুগের প্রথম মহিলা কবি। তিনি ছিলেন চিরকুমারী। ‘দস্যু কেনারাম‘ চন্দ্রাবতীর একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
বিদ্যাসুন্দর প্রণয়কাহিনীর প্রথম রূপকার
বিদ্যাসুন্দর কবিদের অন্যতম সংস্কৃত কবি বিলহন চৌরপঞ্চশিকা বিদ্যাসুন্দর প্রণয়কাহিনীর প্রথম রূপকার।
মানবীয় আখ্যায়িকা ধারার প্রবর্তক
আরাকানের বৌদ্ধ রাজা থিরি থুধর্ম্মা বা শ্রী সুধর্মার (১৬২২-১৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ) লস্কর উজির বা সমর সচিব আশরাফ খানের অনুরোধে কবি দৌলত কাজী, হিন্দি কবি সাধনের ‘মৈনাসত’ কাব্যের ভাবানুবাদ অবলম্বনে ‘সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী’ কাব্য রচনা করে বাংলা সাহিত্যে প্রথম মানবীয় আখ্যায়িকা ধারার প্রবর্তন করেন।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রণয়োপাখ্যান
শাহ মুহাম্মদ সগীর বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রণয়োপাখ্যানের রচয়িতা। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি হিসেবেও খ্যাত। চতুর্দশ শতকের কবি শাহ মুহাম্মদ সগীর রচিত ‘ইউসুফ জোলেখা’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রণয়োপাখ্যান। ১৮৩৯-১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রচিত এ কাব্যগ্রন্থটি উপমহাদেশীয় সাহিত্যে প্রথম লৌকিক মানবীয় প্রণয় উপাখ্যান হিসেবেও পরিচিত। গৌড়ের সুলতান গিয়াসুদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৮৯-১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দ ) তিনি এটি রচনা করেন।
পুথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক
সৈয়দ হামজা পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক; জন্ম ১৭৩৩ খ্রিষ্টাব্দ। মধুমালতি, আমির হামজা (২য় খ-) জৈগুনের পুঁথি ও হাতেমতাই তার বিখ্যাত পুথি।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ট্রাজেডি
ফারসি কবি জামির রচিত ‘লায়লী মজনু’ কাব্যের ভাবানুবাদ অবলম্বনে দৌলত উজির বাহরাম খান ১৫৬০ খ্রিষ্টাব্দ হতে ১৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ‘লায়লী মজনু’ নামক যে কাব্যটি রচনা করেন সেটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ট্রাজেডি হিসেবে স্বীকৃত।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম অলৌকিকতা-মুক্ত গ্রন্থ
ফারসি কবি জামির ‘লায়লী মজনু’ কাব্যের ভাবানুবাদ অবলম্বনে দৌলত উজির বাহরাম খান ‘লায়লী মজনু’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম অলৌকিকতা বিবরণ মুক্ত গ্রন্থ।