বাংলায় অনুদিত প্রথম পুস্তিকা
১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দে দোমিনিক দ্যা সুজা সোনারগাঁয়ের নিকটবর্তী শ্রীপুর গ্রামে অবস্থানকালীন বাংলা শেখেন। সল্প ভাষাজ্ঞান সম্বল করে তিনি ‘জেসুইট’ পাদ্রি সম্প্রদায়ের প্রচারক ফ্রান্সিসকো ফারনান্দেজ রচিত দুখানি প্রচার পুস্তিকা বাংলায় অনুবাদ করেন। পুস্তিকা দুটি বাংলা ভাষায় অনুদিত প্রথম পুস্তিকা।
শ্রীরামপুর মিশনের উদ্যোক্তা/বাংলা মুদ্রণ যন্ত্রের আমদানী
শ্রীরামপুর মিশনের অন্যতম উদ্যোক্তাদের মধ্যে উইলিয়াম কেরি ও জন টমাস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁদের সহকারী ছিলেন যথাক্রমে জশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড। তাঁরা শ্রীরামপুর মিশনের মাধ্যমে প্রথম বাংলা মুদ্রণযন্ত্রের আমদানির ব্যবস্থা করেন। সংগত কারণে বাংলা গদ্যের প্রথম যুগের গ্রন্থগুলো শ্রীরামপুর মিশনের মুদ্রণ যন্ত্র হতে মুদ্রিত হওয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না।
আইন গ্রন্থের অনুবাদ
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে ইংরেজিতে আইনগ্রন্থ প্রনয়ণের প্রয়োজন অনুভূত হয়। ১৭৮৫ খ্রিষ্টাব্দ হতে ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে চারটি আইনগ্রন্থ অনুদিত হয়। অনুদিত আইন গ্রন্থের ভাষা প্রসঙ্গে অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায় বলেন, “এই আইন অনুবাদের ভাষা মিশনারি বাংলা অপেক্ষা অনেক সহজ, এমন কি স্থানে স্থানে সুখপাঠ্য।” ড. সুকমার সেনও অনূদিত আইন গ্রন্থগুলোর ভাষা শৈলীর প্রশংসা করেছেন। এ সময়ে অনূদিত আইন গ্রন্থসমূহ হচ্ছে, (১) ১৭৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জোনাথান কর্তৃক ইম্পে কোডের অনুবাদ;(২) ১৭৯১ খ্রিষ্টাব্দে নিল বেঞ্জামিন এডমনস্টোন কর্তৃক বাংলা, বিহার ও উড়িয্যার ফৌজাদারি আদালতের কার্যবিধির অনুবাদ; (৩) ১৭৯২ খ্রিষ্টব্দে এডমনস্টোন কর্তৃক ম্যাজিস্ট্রেট কার্যবিধির অনুবাদ এবং (৪) ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ফরস্টার কর্তৃক কর্ণওয়ালিস কোডের অনুবাদ।