বানানসূত্র ও সন্ধি/১
‘অ-কার’ বা ‘আ-কার’-এর পর ‘ই-কার’ বা ‘ঈ-কার’ থাকলে (সন্ধির ফলে) উভয়ে যুক্ত হয়ে ‘এ-কার’ হয়।
এ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত। যেমন :
অ + ই = এ (শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা)
আ + ই = এ (যথা + ইষ্ট = যথেষ্ট)
অ + ঈ = এ (পরম + ঈশ = পরমেশ)
আ + ঈ = এ (মহা + ঈশ = মহেশ)
বানানসূত্র ও সন্ধি/২
‘অ-কার’ বা ‘আ-কার’-এর পর ‘উ-কার’ বা ‘ঊ-কার’ থাকলে উভয়ে যুক্ত হয়ে ‘ও-কার’ হয়। ‘ও-কার’ পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন :
অ + উ = ও (সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়)
আ + উ = ও (যথা + উপযুক্ত = যথোপযুক্ত)
অ + ঊ = ও (গৃহ + ঊর্ধ্ব = গৃহোর্ধ্ব)
আ + ঊ = ও (গঙ্গা + ঊর্মি = গঙ্গোর্মি)
বানানসূত্র ও সন্ধি/৩
‘অ-কার’ বা ‘আ-কার’-এর পর ‘ঋ-কার’ থাকলে উভয়ে যুক্ত হয়ে ‘অর্’ হয় এবং তা রেফ্-রূপে পরবর্তী বর্ণের মাথায় গিয়ে বসে। যেমন :
অ + ঋ = অর্ (দেব + ঋষি = দেবর্ষি)
আ + ঋ = অর্ (মহা + ঋষি = মহর্ষি)
বানানসূত্র ও সন্ধি/৪
‘অ-কার’ বা ‘আ-কার’-এর পর ‘ঋত’ শব্দ থাকলে উভয়ে যুক্ত হয়ে ‘অার্’ হয় এবং বানানে পূর্ববর্তী বর্ণে ‘আ’ ও পরবর্তী বর্ণে ‘রেফ’ লেখা হয়। যেমন :
অ + ঋ = আর্ (শীত + ঋত = শীতার্ত)
আ + ঋ = আর্ (ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত)
বানানসূত্র ও সন্ধি/৫
অ-কার বা আ-কার এর পর এ-কার বা ঐ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঐ-কার হয়। ঐ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন:
অ + এ = ঐ : জন + এক = জনৈক
আ + এ = ঐ : সদা + এব = সদৈব
অ + ঐ = ঐ : মত + ঐক্য = মতৈক্য
আ + ঐ = ঐ : মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্য
বানানসূত্র ও সন্ধি/৬
অ-কার বা আ-কার এর পর ও-কার বা ঔ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঔ-কার হয়। ঔ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন:
অ + ও = ঔ : বন + ওষধি = বনৌষধি
আ + ও = ঔ : মহা + ওষধি = মহৌষধি
অ + ঔ = ঔ : পরম + ঔষধ = পরমৌষধ
আ + ঔ = ঔ : মহা + ঔষধ = মহৌষধ
সূত্র: ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র, ড. মোহাম্মদ আমীন, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক
বুঝ্ এবং বোঝ্ : বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন : নির্দেশ নির্দেশনা : শাসন অনুশাসন
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন : স্বর্ণগর্ভ স্বর্ণগর্ভা বনাম স্বর্ণ চোরাচালান
ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র