ড. মোহাম্মদ আমীন
বাগ্ভঙ্গি/১
এগুলোর ব্যবহার বিরল। না-জানলেও ক্ষতি নেই। তবে জানা থাকলে সুবিধে।
১. অবরে-সবরে : হিন্দি অবের-সবের হতে বাংলায় এসেছে। এর অর্থ কালেভদ্রে, সময়ে-অসময়ে।
২. অবাক জলপান : চনাচুর জাতীয় খাবার। এক সময় শব্দটি বহুল প্রচলিত ছিল।
৩. অশিক্ষিতপটু : কোন বিষয়ে শিক্ষা লাভ না-করলেও কোন বিষয়ে সহজাত নৈপুণ্য। বলা যায় ‘স্বশিক্ষিত’।
৪. অস্থির পঞ্চম : পাটিগণিতের কঠিন অঙ্কবিশেষ। যা কষতে বিশেষ চিন্তার প্রয়োজন হয়, কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা।
৫. আউপাতালি : সামান্য কারণে যে কেঁদেকেটে অস্থির হয়ে যায়; ছিচকাঁদুনে।
৬. আউল-বাউল : এলোমেলো।
৭. আকাশ ফুটো : ভিত্তিহীন, অমূলক,অতিরিক্ত জল-পড়া।
৮. আখচা-আখচি : শত্রুতার ভাব।
৯. আচাভুয়ার বোম্বাচাক : অসম্ভব বিষয়, আকাশ কুসুম।
১০. আছোলা বাঁশ : সাংঘাতিক অসুবিধা।
১১. আটাশে ছেলে : গর্ভের অষ্টম মাসে প্রসূত সন্তান, সুতরাং দুর্বল বা অক্ষম।
১২. আদরে বাঁদর : বেশি আদর পেয়ে যে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বাগ্ভঙ্গি/২
১. আদালত ঘর করা : মোকাদ্দমা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকা বা ছুটাছুটি করা।
২. আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ো : খুব প্রাচীন বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি।
৩. আপন খাওয়া : নিজের মৃত্যু ডাকা।
৪. আম রক্ত হাগানো : অতিরিক্ত কষ্ট দেওয়া।
৫. আলগা লোক : চোর
৬. আলাভোলা : নিতান্ত সাধাসিধে ( শব্দটি জিকরুর রেজা খানম একটি পোস্টে প্রয়োগ করেছেন)।
৭. আলাম-কালাম : ঈশ্বরের কথা।
৮. আলুনি আদর : লোক দেখানো আদর।
৯. আহা মরি : সুন্দর (সাধারণত বিদ্রুপার্থে)।
১০. আড়ে গেলা : না চিবিয়ে তাড়াতাড়ি গিলে ফেলা।
বাগ্ভঙ্গি/৩
১. ইঁদুরের কলে পড়া : অতিলোভে ধরা পড়া বা সংকীর্ণ স্থানে আবদ্ধ হয়ে পড়া।
২. ইন্দ্রের শচী : যখন যার কাছে, তখন তারই।
৩. উটকন-পাটকন : জিনিস তোলপাড় করে খোঁজা।
৪. উপোসি ছারপোকা : অনাহারক্লিষ্ট লোক, সর্বদা যে অভাবগ্রস্ত হয়ে থাকে।
৫. উঠোন চষা : অত্যাচার করা, ভিটেমাটি উৎসন্ন করা।
——————————–
বিসিএস প্রিলি থেকে ভাইভা কৃতকার্য কৌশল
ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা বইয়ের তালিকা
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক