Nilima Chowdhury
“খাঁটি গরুর দুধ।” — এই বাক্য বা বাক্যাংশ শুদ্ধ কি না এ নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক দেখেছি। গরু খাঁটি! এ আবার কেমন প্রশ্ন? গরু তো সাধারণত খাঁটি হবেই। দুধ খাঁটি কি না সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।
বিশেষণ পদ বসে, যে-পদটিকে বিশেষিত বা হাইলাইট করা হয় তার ঠিক আগে।
যেমন: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ, সুন্দর মেয়ে (সুন্দরী মেয়ে — হবে না)।
এখানে, ‘খাঁটি’ বিশেষণ পদটি গরুকে বিশেষিত করছে না কি দুধকে করছে — এই নিয়েই হচ্ছে বিতর্ক!
সে হিসাবে, “গরুর খাঁটি দুধ” শতভাগ শুদ্ধবাক্য। কিন্তু সচরাচর আমরা “খাঁটি গরুর দুধ” বলে থাকি।
“খাঁটি গরুর দুধ” — বাক্য বা বাক্যাংশটি তবে কি অশুদ্ধ?
–না; অশুদ্ধ নয়।
তবে “খাটি গরুরদুধ” অথবা “খাঁটি গরুর-দুধ” লেখা প্রয়োজন। ‘অলুক’ শব্দের অর্থ লুপ্ত না হওয়া। অলুক ষষ্ঠী তৎপুরুষের ব্যাখ্যায়, ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি ‘র’ যখন লোপ না পেয়ে সমস্ত পদে বহাল থাকে, তখন তাকে অলুুক ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। যেমন: কলুর বলদ = কলুরবলদ; ঘোড়ার গাড়ি = ঘোড়ারগাড়ি।
আমরা যখন, খাঁটি গরুর-দুধ বলি; তখন ‘খাঁটি’ বলে খুব সামান্য স্পেস দিয়ে ‘গরুর-দুধ’ একসঙ্গে বলি অথবা বলতে পারি ‘গরুর-দুধ’ শব্দবন্ধের ওপর ঝোঁক বা শ্বাসাধিক্য বেশি পড়ে।
সুতরাং, “খাঁটি গরুরদুধ” বা ‘খাঁটি গরুর-দুধ” বাক্য বা বাক্যাংশটি শুদ্ধ।
অনুরূপভাবে বলতে পারি — বিরাট গরুরহাট বা বিরাট গরুর-হাট।
এই ব্যানারটিতে “বিশাল মহিলা সমাবেশ” চোখের জন্যই দৃষ্টিকটু দেখা যাচ্ছে। হওয়া উচিত ছিল — বিশাল মহিলাসমাবেশ অথবা বিশাল মহিলা-সমাবেশ।
শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) গ্রুপের নীতিমালা ও যযাতি অনুমোদন