সংস্কৃত ছিল ধর্মগ্রন্থ, ব্রাহ্মণ, রাজকীয় প্রশাসন এবং অভিজাতদের ভাষা। সাধারণ লোকের কাছে সংস্কৃত ছিল রাজ দরবারের মতো অপ্রবেশ্য। সংস্কৃত

ছাড়া অন্যভাষীদের বলা হতো— অসূর, রাক্ষস ও নীচজাত। পশুর মতোই আচরণ করা হতো এদের সঙ্গে। তাদের ভাষাকে তুলনা করা হতো- মুখ থেকে বের হয়ে আসা বিকট দুর্গন্ধের সঙ্গে। অন্যসব গুণাবলি থাকা সত্ত্বেও কেবল ভাষার জন্য প্রাকৃতভাষী জনগণ হয়ে পড়েছিল— অস্পৃশ্য, ঘৃণ্য আর পাপিষ্ঠ। গৌতম বুদ্ধ সংস্কৃতভাষীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেন সমন্বিত ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধ। তিনি সংস্কৃতির অগ্রাসন রোধ করে সাধারণ মানুষ ও তাদের মুখের ভাষাকে মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গৌতম বুদ্ধ ধর্মীয় বাণীর ভাষা নির্ধারণের জন্য সমগ্র উত্তর ভারত পরিভ্রমণ করেন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসীর সর্বজন বোধ্যতা বিবেচনায় তিনি দেবভাষা বাদ দিয়ে অসূরের সাধারণ লোকের ভাষায় ধর্মগ্রন্থ রচনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ত্রিপিটক বৌদ্ধ ধর্মীয় পালি গ্রন্থ। এটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দর্শন এবং তাঁর উপদেশের সংকলন। পালি পিটক হতে বাংলায় ত্রিপিটক শব্দের প্রচলন। ত্রিপিটক অর্থ তিন পিটকের সমন্বয়। এই তিনটি পিটক হলো— বিনয় পিটক, সূত্র পিটক ও অভিধর্ম পিটক। পালিতে পিটক শব্দের অর্থ— ঝুড়ি, পাত্র, বাক্স ইত্যাদি। খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসাবে স্বীকৃত হয়। এই গ্রন্থের কাজ শুরু হয়েছিল গৌতম বুদ্ধের পরিনির্বাণের তিন মাস পর অর্থাৎ খ্রিষ্টপূর্ব ৫৪৩ অব্দে এবং শেষ হয় খ্রিষ্টপূর্ব অনুমান ২৩৬ অব্দে। প্রায় তিনশ বছরে তিনটি সঙ্ঘায়নের মধ্যে এর গ্রন্থায়নের কাজ সম্পন্ন হয়। ‘বোদা’ নামের একটি উপজেলা
বিসিএস প্রিলি থেকে ভাইভা কৃতকার্য কৌশল
ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা বইয়ের তালিকা
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/২
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন /৩
ইউরোপ মহাদেশ : ইতিহাস ও নামকরণ লিংক
কি না বনাম কিনা এবং না কি বনাম নাকি
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
ভূ ভূমি ভূগোল ভূতল ভূলোক কিন্তু ত্রিভুবন : ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ