বিসিএস বাংলা : কায়কোবাদ

মহাকবি কায়কোবাদ : একনজরে জীবন ও কর্ম

ড. মোহাম্মদ আমীন

 

প্রথম বাঙালি মুসলিম মহাকবি ও প্রথম  সনেট রচয়িতা মুসলিম

কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১ খ্রি.) আধুনিক বাংলা মহাকাব্য ধারার শেষ কবি। তাঁর  প্রকৃত নাম মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী। ‘কায়কোবাদ’ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম। তিনি ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শাহামতউল্লাহ আল কোরেশী ছিলেন ঢাকার জেলা জজ আদালতের উকিল। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলনের প্রধান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে তাঁকে প্রথম সনেট রচয়িতা বলা হয়।

অধ্যয়ন ও কর্মজীবন
কায়কোবাদ ঢাকার পোগোজ স্কুল এবং সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর ঢাকা মাদ্রাসায় এন্ট্রাস পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন, কিন্তু পরীক্ষার আগেই পোস্ট মাস্টারের চাকরি নিয়ে নিজগ্রাম আগলায় চলে যান। সমগ্র চাকরি জীবনে তিনি এ পদে বহাল ছিলেন এবং এখান থেকেই অবসরে যান।

সাহিত্যকর্ম
অতি অল্পবয়স থেকে কায়কোবাদের সাহিত্য-প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। মাত্র তেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য বিরহবিলাপ (১৮৭০) প্রকাশিত হয়। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে: কুসুম কানন (১৮৭৩), অশ্রুমালা (১৮৯৫), মহাশ্মশান (১৯০৪), শিব-মন্দির (১৯২২), অমিয়ধারা (১৯২৩), শ্মশান-ভস্ম (১৯২৪) ও মহরম শরীফ (১৯৩২)। মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় : প্রেমের ফুল (১৯৭০), প্রেমের বাণী (১৯৭০), প্রেম-পারিজাত (১৯৭০), মন্দাকিনী-ধারা (১৯৭১) এবং গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ (১৯৭৯)। বাংলা একাডেমি চার খণ্ডে কায়কোবাদ রচনাবলি (১৯৯৪-৯৭) প্রকাশ করেছে।

কায়কোবাদের মহাকাব্য
“মহাশ্মশান” কায়কোবাদের লেখা প্রথম মহাকাব্য। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে রচিত এ কাব্যে জয়-পরাজয় অপেক্ষা ধ্বংসের ভয়াবহতা প্রকট হওয়ায় এর নাম হয়েছে ‘মহাশ্মশান’। এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা। এর দ্বারাই তিনি মহাকবির খ্যাতি অর্জন করেন। “বাংলা আমার” কায়কোবাদ রচিত একটি বিখ্যাত কবিতা।


ফররুখ আহমদ

বাংলা সাহিত্যবিষয়ক লিংক

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র

শুদ্ধ বানান চর্চা/১

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ

Language
error: Content is protected !!