বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল : দ্বিতীয় শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ

ড. মোহাম্মদ আমীন

. সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল : ১৮ই এপ্রিল

মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হন। সাত জন বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবধারীদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় শাহাদাত বরণকারী বীর। মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭  খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই এপ্রিল শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর পিতা হাবিবুর রহমান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার ছিলেন। মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে সেনাবাহিনীর  চাকুরি নেন। তিনি ছিলেন চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের  সৈনিক। কর্মতৎপরতার জন্য যুদ্ধের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে ল্যান্স নায়েকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য কুমিল্ল-আখাউড়া রেললাইন ধরে উত্তর দিকে এগুতে থাকে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই এপ্রিল ভোরবেলা দরুইন গ্রামে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের উপর মর্টার ও আর্টিলারীর গোলাবর্ষণ শুরু করলে মেজর শাফায়াত জামিল ১১ নম্বর প্লাটুনকে দরুইন গ্রামে আগের প্লাটুনের সঙ্গে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। ১১ নম্বর প্লাটুন নিয়ে হাবিলদার মুনির দরুইনে পৌছেন। সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল তার নিকট থেকে গুলি নিয়ে নিজ পরিখায় অবস্থান গ্রহণ করেন। বেলা ১১ টার দিকে শুরু হয় শত্রুর গোলাবর্ষণ।  কয়েক জন শহিদ হন। মোস্তফা কামাল  পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন। তাঁর পূর্ব দিকের সৈন্যরা পেছনে সরে নতুন অবস্থানে সরে যেতে থাকে এবং মোস্তফাকে যাবার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তাদের সবাইকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগের জন্য মোস্তফা কামাল পূর্ণোদ্যমে এলএমজি থেকে গুলি চালাতে থাকেন। তাঁর ৭০ গজের মধ্যে শত্রুপক্ষ চলে এলেও তিনি থামেননি। এতে করে শত্রুরা তাঁর সঙ্গীদের পিছু ধাওয়া করতে সাহস পায়নি। এক সময় গুলি শেষ হয়ে গেলে, শত্রুর গুলির আঘাতে শাহাদাত বরণ করেন।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র : লিংক

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ : মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডার

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ : একনজরে অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ : স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহিদ-প্রশাসক প্রথম প্রতিরোধকারী

১. বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ : প্রথম শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ : প্রথম শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ

Language
error: Content is protected !!