বৈদিক যুগ, বেদ ও আর্য জাতির প্রথম গ্রন্থ
আর্য যুগকে বৈদিক যুগ বলা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ হতে খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ পর্যন্ত বৈদিক যুগের বিস্তৃতি। আর্যদের সৃষ্ট সভ্যতা বৈদিক সভ্যতা নামে পরিচিত ছিল। ‘বেদ’ আর্যদের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ। ‘বেদ’ গ্রন্থে ব্যবহৃত ভাষাকে বৈদিক ভাষা বলা হয়। বেদ অর্থ জ্ঞান। সংস্কৃত ভাষায় লেখা ‘বেদ’ নামক গ্রন্থটি সমগ্র বিশ্বের আর্য জাতির প্রাচীনতম গ্রন্থ। ‘বেদ’ নির্দিষ্ট কোনো একজনের রচিত নয়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ‘বেদ’ এর বিভিন্ন অংশ রচনা করেন।
পুরাণ ও ভাগবত
পুরাণ হচ্ছে আনুমানিক খ্রিষ্ট-পূর্ব চতুর্থ শতক হতে প্রচারিত সংস্কৃত ভাষায় রচিত এক প্রকার কাহিনীকেন্দ্রিক ধর্মগ্রন্থ। সর্বমোট ছয়ত্রিশখানি সংখ্যা নিয়ে পুরাণের পরিপূর্ণ অবয়ব গঠিত। তন্মধ্যে আঠারোখানি মহাপুরাণ এবং আঠারোখানি উত্তর পুরাণ। আঠারোখানি উত্তর পুরাণের অন্যতম হচ্ছে ভাগবত পুরাণ বা ভাগবত। ভাগবত অষ্টম শতকের পূর্বের রচনা। চতুর্দশ শতক হতে ভাগবত বাংলাদেশে প্রচারিত হয়। ভাগবত বারটি স্কন্ধ বা পর্বে বিভক্ত। প্রথম নয়টি স্কন্ধে বিভিন্ন গল্প-আখ্যান ও তত্ত্বকথা বর্ণিত হয়েছে এবং দশম হতে দ্বাদশ স্কন্ধে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন ও পরবর্তী লীলা স্থান পেয়েছে। বৈষ্ণব ভক্তদের কর্মকা- পরবর্তী শেষ তিন পর্বকে এদেশে সুপরিচিত করে তুলে। এ তিন পর্বই সাধারণত বিভিন্ন নামে বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। চৈতন্যদেবের প্রভাবে ভাগবতের শেষ তিন স্কন্ধের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।