বেদ
‘বেদ’, প্রাচীন ভারতে লিপিবদ্ধ তত্ত্বজ্ঞান বিষয়ে একাধিক গ্রন্থের একটি বৃহৎ সংকলন। বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদই সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং সনাতনধর্মের সর্বপ্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। সনাতনরা মনে করেন, এটি মানবরচিত নয়। বেদ গ্রন্থে মন্ত্রের সংখ্যা ২০৪৩৪। বেদের সংখ্যা চার: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ। প্রত্যেকটি বেদ আবার চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত। যেমন : সংহিতা (মন্ত্র ও আশীর্বচন), আরণ্যক (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম, যজ্ঞ ও প্রতীকী যজ্ঞ), ব্রাহ্মণ (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও যজ্ঞাদির উপর টীকা) এবং উপনিষদ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান-সংক্রান্ত আলোচনা)। কোনও কোনও গবেষক উপাসনা (পূজা) নামে একটি পঞ্চম বিভাগের কথাও উল্লেখ করে থাকেন।
ঋগ্বেদ ও ঋগ্বেদ সংহিতা
পবিত্র ঋগ্বেদ হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীনতম বেদ। এটি মূলত ১০টি পুস্তকে বিভক্ত ১,০২৮ টি বৈদিক সংস্কৃত সূক্তের সমন্বয়। ঋগে¦দে মোট ১০, ৫৫২টি ঋক বা মন্ত্র রয়েছে। “ঋক” বা স্তুতি গানের সংকলন হলো ঋগ্বেদ সংহিতা।