Warning: Constant DISALLOW_FILE_MODS already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 102

Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 103
ব্যাকরণ মুখস্থ না করেই প্রমিত বানান আত্মস্থ করার কৌশল/২ – Dr. Mohammed Amin

ব্যাকরণ মুখস্থ না করেই প্রমিত বানান আত্মস্থ করার কৌশল/২

ড. মোহাম্মদ আমীন

ঈষদচ্ছ ঈষদুচ্চ ঈষদুষ্ণ: সংস্কৃত ‘ঈষদচ্ছ (ঈষৎ+অচ্ছ)’ অর্থ—  বিশেষণে স্বচ্ছ নয় কিন্তু কিছু আলো আসতে পারে এমন, অর্ধস্বচ্ছ, কিছুটা স্বচ্ছ। সংস্কৃত ‘ইসদুচ্চ (ঈষৎ+উচ্চ)’ অর্থ— বিশেষণে অল্প উঁচু, কিষ্ণিৎ উত্থিত, সামান্য উঁচু। এর সমার্থক শব্দ ঈষদুত্থিত (ঈণৎ+উত্থিত) ও ঈষদুন্নত (ঈষৎ+উন্নত)। সংস্কৃত ‘ঈষদুষ্ণ (ঈষৎ+উষ্ণ)’ অর্থ— বিশেষণে সামান্য গরম, কুসুম কুসুম গরম, বেশি গরম নয়, অল্প গরম যা বিরতি ছাড়া পান করা যায়। সংস্কৃত  ‘ঈষদুন (ঈষৎ+উন)’ অর্থ বিশেষণে সামান্য কম, কিছু কম, প্রয়োজনের তুলনাম কিছু কম হলে তাকে ঈষদুন বলা যায়।

স্বচ্ছ শব্দের  শেষ বর্ণ চ্ছ দিয়ে ঈষদচ্ছ, উচ্চ শব্দের শের্ষ বর্ণ চ্চ দিয়ে ঈসদুচ্চ  এবং উষ্ণ শব্দের শেষ বর্ণ ষ্ণ দিয়ে ঈষদুষ্ণ এবং উন শব্দের ন দিযে ঈষদুন শব্দগুলো গঠিত। অতএব, শেষ বর্ণটি খেয়াল রাখলে শব্দগুলোর বানান লিখতে  ভুল হবে  না। সহজে অর্থও  বোধগম্য হবে। 

রুপা ও রূপ নিমোনিক : সংস্কৃত ‘রূপা’ থেকে উদ্ভুত তদ্ভব ‘রুপা’ শব্দের অর্থ, অলংকার তৈরির জন্য ব্যবহৃত মূল্যবান উজ্জ্বল সাদা ঘাতসহ মৌলিক ধাতু যার পারমাণবিক সংখ্যা ৪৭, রৌপ্য, রুপো, রজত, চাঁদি প্রভৃতি। সংস্কৃত ‘রূপ (√রূপ+অ)’ শব্দের অর্থ বিশেষ্যে- মূর্তি (মনুষ্য রূপ), সৌন্দর্য, শ্রী, আকৃতি, চেহারা, প্রকার, রকম, বিভক্তিযুক্ত শব্দ বা ধাতু (ধাতুরূপ), দৃষ্টিগ্রাহ্য বা প্রত্যক্ষ বিষয় এবং বিশেষণে তুল্য, অভিন্ন প্রভৃতি। অনেক সময় ‘রুপা’ ও ‘রূপ’ শব্দ লেখার সময় ভুল হয়ে যায়। ভুল যাতে না হয় সেজন্য একটা নিমোনিক বানানো যেতে পারে : বর্ণমালায় আগে উ-কার তারপর ঊ-কার। এজন্য আগে ‘রুপা’ তারপর ‘রূপ’। মনে রাখুন, ‘রুপা’ পরিধান করার পর ‘রূপ’ বৃদ্ধি পায়।