Warning: Constant DISALLOW_FILE_MODS already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 102

Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 103
ব্যাচেলরস্ ডিগ্রির বাংলা স্নাতক হলো কেন – Dr. Mohammed Amin

ব্যাচেলরস্ ডিগ্রির বাংলা স্নাতক হলো কেন

ড. মোহাম্মদ আমীন

এই পোস্টের লিংক: https://draminbd.com/ব্যাচেলরস্-ডিগ্রির-বাংলা/

ব্যাচেলরস্ ডিগ্রির বাংলা স্নাতক হলো কেন

ব্যাচেলরস্‌ ডিগ্রির বাংলা স্নাতক। গ্র্যাজুয়েট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ডিগ্রি অর্থেও শব্দটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কেন এটি স্নাতক হলো? স্নাতক-এর উদ্ভবের পেছনে রয়েছে স্নান। শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ স্নান-তক বা স্নান পর্যন্ত।
প্রাচীন ভারতে গুরুগৃহে অধ্যয়ন সমাপ্ত করে কর্মজীবনে প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যাশিক্ষা সমাপ্তিসূচক আনুষ্ঠানিক স্নান করতে হতো। গুরুবৃন্দের তত্ত্বাবধানে বিশেষ রীতিনীতি অনুসরণে এই স্নান সম্পন্ন করা হতো। স্নান না-করা পর্যন্ত (স্নান-তক) কাউকে সনদ দেওয়া হতো না। তাই বিদ্যাশিক্ষা সম্পন্ন করে স্নান করার পর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সনদ প্রাপ্তদের বলা হতো স্নাতক। স্নান করা ছিল সনদ অর্জনে সর্বশেষ ধাপ। প্রাচীন গুরুগৃহের সে স্নানই আধুনিক ডিগ্রি নামে পরিচিত ‘স্নাতক’ এর জনক।
স্নান করানো হতো কেন? এই স্নান ছিল প্রথাগত বিশ্বাসের প্রতীকী চয়ন। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সকল কুসংস্কার, অবিদ্যা, অজ্ঞতা, শিক্ষাপূর্ব আচরণ আর অশোভনীয় কার্যকলাপাদি ধৌত করে পবিত্র ও প্রজ্ঞাবান করে তোলা হতো।
ইংরেজি ব্যাচেলরস্‌ ডিগ্রির ‘ব্যাচেলর’ শব্দটির উৎপত্তিও বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। ইংরেজি ‘ব্যাচেলর’ শব্দটির উৎস ল্যাটিন Baccalaureus, যার অর্থ রাখাল। তবে আধুনিক ব্যাচেলরস্‌ বা স্নাতক ডিগ্রিধারীগণ রাখাল নন। যদিও অনেকে এখন সংখ্যাধিক্যের কারণে উপযুক্ত কর্ম না-পেয়ে এর চেয়েও পরিশ্রমের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
কিন্তু রাখাল কেন? প্রাচীনকালে পশুপালন ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ পেশা। ওই পেশায় দক্ষ করে তোলার জন্য ভবিষ্য রাখালদের কিছু কলাকৌশল শেখানো হতো। ওই শেখানো থেকে প্রাগৈতিহাসিক Baccalaureus, ডিগ্রি ‘ব্যাচেলর’ হয়ে আধুনিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঠাঁই পেয়েছে।
—————————————————————————–
শুবাচের ওয়েবসাইট: www.draminbd.com