ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র
অচিন্তনীয় ও অচিন্ত্য: ‘অচিন্ত্য’ থেকে ‘অচিন্তনীয়’। ‘অচিন্তনীয়’ ও ‘অচিন্ত্য’ শব্দের বানান ভিন্ন হলেও অর্থ অভিন্ন। ‘অনীয়’ প্রত্যয়যোগে সংস্কৃত ‘অচিন্তনীয়’ (ন+√চিন্ত্+অনীয়) শব্দ গঠিত হয়েছে। তাই শব্দটিতে য-ফলা প্রয়োগ সিদ্ধ নয়। এরূপ, অনীয় প্রত্যয়ে যোগে গঠিত হয়েছে: চিন্তনীয়, লক্ষণীয়, পূজনীয়, মাননীয়, পালনীয় প্রভৃতি। অচিন্ত্য থেকে যেমন অচিন্তনীয়, তেমনি লক্ষ্য থেকে লক্ষণীয়, পূজ্য থেকে পূজনীয়, সহ্য থেকে সহনীয়, মান্য থেকে মাননীয় প্রভৃতি। ‘অচিন্ত্য’ ‘লক্ষ্য’, ‘সহ্য’, ‘মান্য’ প্রভৃতি শব্দে ‘য-প্রত্যয়’ যুক্ত হওয়ায় ‘য-ফলা’ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে, ‘অনীয়’ প্রত্যয় যুক্ত হলে শব্দের য-ফলা চ্যুত হয়ে যায়।
বাক্যে বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত সংস্কৃত ‘অচিন্তনীয়’ শব্দের অর্থ’ অভাবনীয়, চিন্তার অতীত। অন্যদিকে, বাক্যে বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত সংস্কৃত ‘অচিন্ত্য’ শব্দের অর্থ চিন্তা করা যায় না এমন, অচিন্তনীয়।
অখন-তখন, অখনতখন নয়: লিখুন, ‘অখন-তখন’, অখনতখন লেখা সমীচীন নয়।বাক্যে বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত ‘অখন-তখন’ শব্দটি ‘এখন-তখন’ শব্দের আঞ্চলিক রূপ। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানে শব্দটি প্রমিত হিসেবে ভুক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ মুমূর্ষু অবস্থাপ্রাপ্ত, মরো-মরো।
ফাউ:
অগ্ন্যাশয় শব্দের বানানে ‘গ্ন’-য়ে ‘য-ফলা’ আছে। যদিও য-ফলা না-থাকলেও উচ্চারণে ভিন্নতা আসে না। তাই অনেকের ভুল হয়ে যায়। মনে রাখবেন, শব্দটি সংস্কৃত এবং বানানে ‘য-ফলা’ অনিবার্য।
অঙ্গভঙ্গী, কিন্তু অঙ্গীভূত।
অণুবাদ অর্থ অণু-বিষয়ক মতবাদ।