বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম সংবিধান
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান বাংলা ভাষায় রচিত। এটিই বাংলা ভাষায় রচিত কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান।
ভাষা আন্দোলনের কারণে বদলীকৃত প্রথম জেলা প্রশাসক
ঢাকার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব হুসেন হায়দার ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২০ শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা হতে পরবর্তী এক মাসের জন্য ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করার বিষয়ে অসম্মতি জ্ঞাপন করলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সিলেটে বদলি করা হয় এবং জনাব কোরেশিকে জেলা প্রশাসক, ঢাকা পদে বদলি করা হয়।
প্রথম কারফিউ বা সান্ধ্য-আইন জারি
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধরার পাশাপাশি রাত ১০টা হতে ভোর ৫টা পর্যন্ত সান্ধ্য-আইন জারি করা হয়।
ভাষা আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বারের মতো বন্ধ ঘোষণা
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। প্রধান ৯ জন নেতার উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং সংবাদপত্রের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ২৭ শে ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ভাষা আন্দোলনের ৯ জন মূল নেতার মধ্যে ৮ জনকে এক বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকায় প্রথম শহিদ মিনার
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। তবে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি পুলিশ তা ভেঙ্গে দেয়।
রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার প্রথম স্বীকৃতি
১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাকে উর্দু ভাষার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
বাংলা ভাষা প্রচলন বিল
১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি বাংলা ভাষা প্রচলন বিল পাশ হয়।
বাংলা একাডেমী আইন ও বর্ধমান হাউজ
১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা এপ্রিল প্রাদেশিক আইন সভায় ‘বাংলা একাডেমি এ্যাক্ট ১৯৫৭’ পাস এবং ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই আগস্ট ‘বর্ধমান হাউজ’ তথা বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।
অমর একুশে ভাস্কর্য
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে স্থাপিত ‘অমর একুশে’ ভাস্কর্যটির স্থপতি শিল্পী জাহানারা পারভীন। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহমদ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন।
একুশে পদক
১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ হতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা শহিদ স্মরণে একুশে পদক প্রদানের রীতি চালু হয়।