ভুল ধরি, বই পড়ি
ড. মোহাম্মদ আমীন

নীতিমালা
শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষা ও বানানের চর্চার লক্ষ্যে শুবাচ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুবাচের সম্মাননীয় সভাপতি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও শুবাচিবৃন্দ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বাংলা ভাষার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রতিদিনই আলোচনা করে যাচ্ছেন, বাংলা ভাষা ও বানানসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন। তবে হ্যাঁ, শুবাচের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলা বানানের শুদ্ধতা নিশ্চিত করা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, শুবাচিবৃন্দ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে প্রতিদিনই অনেক শুবাচিকে ভুলের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে সহযোগিতা করছেন। এই সহযোগিতার উৎসাহে নতুন মাত্রা যোগ করতে শুবাচের সম্মাননীয় সভাপতি, ড. মোহাম্মদ আমীন স্যার ইতোমধ্যে ‘ভুল ধরি, বই পড়ি’ শিরোনামে একটি প্রতিযোগিতার সূচনা করেছেন। এটিকে প্রতিযোগিতা না-বলে ‘প্রেষণা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া’ বলাটাই অধিকতর সংগত হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে এক জন শুবাচিকে এক বা একাধিক বই প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হবে। প্রত্যেক মাসে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে সম্পাদিত কার্যের ভিত্তিতে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে:
১. এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের মূল কাজ হবে শুবাচে সাঁটানো বিভিন্ন যযাতির ভুল বানানসমূহ চিহ্নিত করে মন্তব্যের ঘরে উল্লেখ করা। যে-কোনো যযাতিতে ভুল বানান চিহ্নিত করতে পারলেই নম্বর পাওয়া যাবে। যিনি যত বেশি ভুল ধরিয়ে দিতে পারবেন, তিনি তত বেশি এগিয়ে যাবেন।
২. শুবাচের সভাপতি, ড. মোহাম্মদ আমীন স্যারের যযাতিসমূহ থেকে ভুল বানান চিহ্নিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে।
৩. শুবাচের অন্যান্য উপদেষ্টাবর্গের যযাতি থেকে ভুল বানান নির্ণয় করাটাও অধিক নম্বর প্রাপ্তিতে সহায়ক হবে।
৪. শুবাচের পুরোনো যযাতিসমূহের ভুল বানানও চিহ্নিত করা যাবে ।
৫. কারও মন্তব্যের মধ্যে ভুল বানান থাকলে, সেগুলো দেখিয়ে দিলেও নম্বর পাওয়া যাবে।
৬. একজনের দেখিয়ে দেওয়া ভুল বানান যেন অন্যরাও উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকেন। কেননা, একজনের দেখিয়ে দেওয়া ভুল বানান বা বানানসমূহ অন্য একজন দেখিয়ে দিলে কোনো নম্বর পাওয়া যাবে না।
৭. ধারাবাহিকভাবে ভুল ধরিয়ে দেওয়া এবং ভুল ধরিয়ে দেওয়ার ধরন অধিক নম্বর প্রাপ্তিতে সহায়ক হবে। এখানে ‘ধরন’ বলতে ভুল বানানসমূহ কতটা ইতিবাচক উপায়ে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা বোঝানো হয়েছে।
৮. শুবাচ কোনো শব্দের বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি প্রণীত ‘প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম’ এবং ‘ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’ অনুসরণ করে। তাই, কোনো ভুল চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলা একাডেমিকে অনুসরণ করতে হবে। আর, নিশ্চিত না-হয়ে কোনো বানানকে ভুল হিসেবে চিহ্নিতকরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. অন্যের ভুল ধরিয়ে দিতে গিয়ে নিজেই ভুল করে ফেললে এবং সে ভুল দ্বিতীয় পক্ষের কেউ দেখিয়ে দিলে, তাঁর প্রতি প্রদর্শিত ভাবভঙ্গি বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
লক্ষণীয়: ১. শুবাচের সম্মাননীয় সভাপতি ও উপদেষ্টাবর্গের যযাতিতে ভুল বানান চিহ্নিতকারীর প্রতি কোনোরূপ নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা হবে না, বরং তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাগত জানানো হবে।
২. বিজয়ী নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্যকে বিবেচনা করা হবে না।
বিজয়ী নির্বাচন কমিটির পরামর্শে এই যযাতিটি সাঁটানো হলো।
ধন্যবাদ।
ভুল ধরি, বই পড়ি: নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের ফলাফল
গত ১৮ই নভেম্বর, ২০১৯ থেকে ১৭ই ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত সময়ে শুবাচের বিভিন্ন যযাতিতে সবচেয়ে বেশি ভুল বানান সংশোধনে সহায়তা করেছেন শুবাচের পরিচিত মুখ, শ্রীময়ী সিদ্দিকা আফরোজ পলি। তাই, পূর্বঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী বিজয়ী নির্বাচন কমিটি বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন এবং শুবাচের সম্মাননীয় সভাপতি, ড. মোহাম্মদ আমীন তা অনুমোদন করেছেন। শুবাচের প্রধান উপদেষ্টা ড. হায়াৎ মামুদও এতে সম্মতি জানিয়েছেন।
বিজয়ী শ্রীযুক্তা সিদ্দিকা আফরোজ পলিকে অভিনন্দন। পুরস্কার প্রেরণের জন্যে তাঁর মোবাইল নম্বর ও নিকটস্থ কুরিয়ারের ঠিকানা মন্তব্যের ঘরে কিংবা ইনবক্সে প্রেরণ করার জন্যে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিজয়ী নির্বাচন কমিটির পরামর্শে এবং শুবাচের সম্মাননীয় সভাপতি ড. মোহাম্মদ আমীনের সম্মতিতে এই যযাতিটি প্রকাশ করা হলো।
ধন্যবাদ।
এবি ছিদ্দিক
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/২
খাঁটি গোরুর দুধ শুদ্ধ না কি অশুদ্ধ