শিবায়ন বা শিবমঙ্গলের কবি
হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, নাথধর্ম ও বাংলার বিভিন্ন জনপদের লৌকিক ধর্মের উপাদানের উপর ভিত্তি করে শিবের এক নতুন রূপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ নতুন রূপের উপর ভিত্তি করে পৌরণিক ও লৌকিক উপাদান মিশ্রিত শিবমঙ্গল বা শিবায়ন কাব্য রচিত হয়। রামকৃষ্ণ রায় নামক জনৈক কবি অনুমান ১৬২৫ খ্রিষ্টাব্দে পৌরণিক ও লৌকিক আখ্যান অবলম্বনে সুবৃহৎ শিবমঙ্গলকাব্য রচনা করেন। কবি কাব্যগ্রন্থটির নামকরণে ‘শিবায়ন’ বা ‘শিবের মঙ্গল’ নাম ব্যবহার করেছেন। শিবমঙ্গলের দ্বিতীয় কবি শঙ্কর কবিচন্দ্র। তিনি ১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে ‘শিবমঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন। রামেশ্বর ভট্টাচার্য অষ্টাদশ শতকের প্রথম ভাগে ‘শিবায়ন’ বা ‘শিব-সংকীর্তন’ নামক কাব্যটি রচনা করেন। এটি শিবমঙ্গল ধারার সর্বাধিক জনপ্রিয় শিবমঙ্গল কাব্য।