Warning: Constant DISALLOW_FILE_MODS already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 102

Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 103
মহাভারত – Dr. Mohammed Amin

মহাভারত

মহাভারত

মহাভারত  সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য। এর রচয়িতা কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাসদেব।  এই মহাকাব্যটি হিন্দুশাস্ত্রের ইতিহাস অংশের অন্তর্গত। মহাভারত-এর মূল উপজীব্য  হল কৌরব ও পা-বদের গৃহবিবাদ এবং কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পূর্বাপর ঘটনাবলি। তবে এই আখ্যানভাগের বাইরেও দর্শন ও ভক্তির অধিকাংশ উপাদানই এই মহাকাব্যে সংযোজিত হয়েছে। অধিকন্তু এই গ্রন্থে ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ- এই চার পুরুষার্থ-সংক্রান্ত একটি আলোচনা (১২।১৬১) সংযোজিত হয়েছে। আর একটি মহাকাব্য রামায়ণ।

মহাভারতের নামকরণ

‘মহাভারত’ নামটির উৎপত্তি প্রসঙ্গে একটি আখ্যান প্রচলিত যে, দেবতারা তুলাযন্ত্রের একদিকে চারটি বেদ রাখেন ও অন্যদিকে বৈশম্পায়ন প্রচারিত ভারত গ্রন্থটি রাখলে দেখা যায় ভারত গ্রন্থটির ভার চারটি বেদের চেয়েও অনেক বেশি। সেই কারণে ভারত গ্রন্থের বিশালতা দেখে দেবগণ ও ঋষিগণ এর নামকরণ করলেন “মহাভারত’। একে ‘পঞ্চম বেদ’ও বলা হয়।

মহাভারতের রচনাকাল

মহাভারতের রচনাকাল নিয়ে মতভেদ আছে। প্রাচীনপন্থী প-িতদের মতে, এটি খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে রচিত হয়েছে। তবে আধুনিক ইউরোপীয় প-িতদের মতে এটি খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকের মধ্যে রচিত হয়। মহাভারতে গুপ্ত কিংবা মৌর্য সাম্রাজ্য (১০০০-৭০০ খ্রি.পূ.) অথবা জৈন বা বৌদ্ধ ধর্মের (৭০০-২০০ খ্রি.পূ.) কোনো উল্লেখ নেই। তাছাড়া শতপথ ব্রাহ্মণ (১১০০ খ্রি.পূ.) ও ছান্দোগ্য উপনিষদে (১০০০ খ্রি.পূ.) মহাভারতের কিছু প্রসঙ্গ পাওয়া যায়। অর্থাৎ মহাভারত ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের অনেক আগেই লেখা হয়েছিল।পাণিনি রচিত অষ্টাধ্যায়ীতে (৬০০-৪০০ খ্রি.পূ.) মহাভারতের কাহিনি ও কৃষ্ণার্জুনের কিছু প্রসঙ্গ রয়েছে। অতএব মহাভারত যে পাণিনির যুগের অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।রামায়ণে আছে রামের কাহিনি।

জয় থেকে মহাভারত

৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সর্বপ্রথমে ব্যাসদেব ১০০ পর্ব ও এক লাখ শ্লোক সমন্বিত ‘জয়’ গ্রন্থ রচনা করেন। ব্যাস প্রচারিত ঐ কাহিনিটিকে তাঁর শিষ্য বৈশম্পায়ন জনমেজয়ের মহা যজ্ঞে জনমেজয়-সহ সৌতি অন্যান্য মুনিদের শোনান। এই সময় গ্রন্থটির নাম হয় ‘ভারত’। ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের তৃতীয় বার বৈশম্পায়ন কথিত ভারত কাহিনিটিকে সৌতি ১৮টি খ-ে বিভক্ত করেন ও নৈমিষারণ্যে স্থিত শৌনক ও অন্যান্য মুনিদের গল্পের আকারে শোনান। সৌতির এই গল্পটিই ‘মহাভারত’ নামে সমগ্র বিশ্বে প্রচারিত হয়। ১২০০-৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের পরে লিখন পদ্ধতির উন্নতি হলে সৌতি প্রচারিত মহাভারতের কাহিনি পা-ুলিপি বা পুঁথিতে ব্রাহ্মী কিংবা সংস্কৃতে লিখিত হয়। এর পরও নানা মুনি ও প-িতরা নিজস্ব শৈলীতে মহাভারতের মূল কাহিনির সাথে আরও অনেক সমসাময়িক কাহিনির সংযোজন করেন।