যুক্তরাজ্যের রানিকে বলা হয় Her Majesty এবং রাজাকে বলা হয় His Majesty। ল্যাটিন maiestas শব্দ থেকে majesty শব্দের উদ্ভব। যার অর্থ greatness, যা, জানামতে — খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অব্দ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্বাধীন রাষ্ট্রের শাসকবৃন্দের সম্বোধন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাম্রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রধান শাসককের সম্বোধনে Imperial Majesty কথাটিও ব্যবহৃত হতো। খ্রিষ্টপূর্ব দশম অব্দ পর্যন্ত এই সম্বোধনটির ব্যবহার বেশ আকর্ষণীয় ছিল।
স্বাধীন ভূখণ্ডের শাসকদের সম্বোধন হিসেবে ইউরোপের অনেক দেশে Majesty ছাড়াও Imperial/Royal- Highness ব্যবহৃত হতো। এসব শব্দের ব্যবহার শুরু হয় রোমান সাম্রাজ্য থেকে।যা ক্রমশ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এসব রাজকীয় সম্বোধন কার জন্য এবং কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার একটি নির্দিষ্ট বিধান ছিল। রোমান ও বাইজানটাইন সাম্রাজ্যে রাষ্ট্রদূত, সরকারের প্রতিনিধি, আদালতের বিচারক এবং উচ্চপদে নিয়োজিতদের Highness বলা হতো। রাজ পরিবারের সদস্যদেরও Highness (His/Her) বলা হয়। এখন পৃথিবীর সর্বত্র কুটনীতিকদের Highness সম্বোধন করা হয়।
হায়দ্রাবাদ (Hyderabad) এবং বেরার (Berar) নিজামকে ব্রিটিশরা Exalted Highness উপাধি দিয়েছিলেন। তাই তাঁদের Exalted Highness সম্বোধন করা হতো। মূলত এসব শব্দের অনুসরণে বাংলায় ‘মহামান্য’ ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে বলা হয়, “মহামান্য রাষ্ট্রপতি”। ‘মহামান্য’ শব্দটি কেবল রাষ্ট্রপতির জন্য ব্যবহার করা যাবে – এমন কোনো বিধান নেই। তাই যে-কেউ যে-কাউকে ‘মহামান্য’ বলতে পারে। স্মর্তব্য, ‘মহামান্য’ কথাটি অন্য কোনো ভাষার বাংলা অনুবাদ নয়, বরং একটি পারিভাষিক শব্দ।