খাগড়াছড়ি টু লক্ষ্মীছড়ি।
একটা চাঁদের গাড়ির পেছনে লেখা, “মা চলচি পাহারের পতে পিরি আসিব আল্লাহর রহমতে।”
ডান পাশে লেখা : চাঁদে উঠা নিষেদ।
গাড়িটা এগিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীছড়ি, এটি খাগড়াছড়ির একটি উপজেলা। একটা বাঙালি যুবক চাঁদের গাড়ির চাঁদে, মানে ছাদে। একটা মুরং ছেলে নিচে। কয়েক বার বাঙালি ছেলেটার পা লেগেছে মুরং ছেলেটার গায়ে। আর একবার লাগতে বিরক্ত হয়ে মুরং ছেলেটা বলে উঠল, এ্যাই, আরেকবার লাগিলে আমি মাইর খাইবদে ক-ই দিলাম।
মহালছড়ি শহর হইছে
মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি জেলার একটি উপজেলা। আমি কিছুদিন এই উপজেলার “উপজেলা নির্বাহী অফিসার” ছিলাম। নতুন টাউন হল করেছে উপজেলা প্রশাসন। বিশাল টাউন হলের মাথায় বিরাট সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে: ‘মহালছড়ি টাউন হল’।
অংক্যাজাই মারমা বড়ো বড়ো চোখ করে সাইনবোর্ডটি পড়লেন। পড়ে খুশিতে আটখানা। পাড়ায় গিয়ে সবাইকে জড়ো করল অংক্যা, নতুন খবর আছে।
কী?
আমাদের আর খাগড়াছড়ি শহরে যাইতে হবে না।
কেন?
আমাদের মহালছড়ি টাউন মানি শহর অই গ্যাছে।
কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল অংক্যার বন্ধু মংগ্র্যা। বাজি ধরে অংক্যা। কারবারিসহ তিন জন লোক নিয়ে মহালছড়ি উপজেলা ভবনের পাশে অবস্থিত টাউন হলের সামনে চলে এল। এসে সবাই অবাক। খুশিতে বুক তাদের পাহাড়ের মতো বিশাল হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। দেখল, এক বিরাট সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডে লেখা-
“মহালছড়ি টাউন হল”। (তারা হল কে পড়ল হলো)।
মানি কি?
মানি মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি হই গেছে।
সবাই অস্ফুট কণ্ঠে পড়তে থাকে: মহালছড়ি টাউন হলো।
কী মজা! টাউন হলো মহালছড়ি
আর ক্যান্ যাব খাগড়াছড়ি।
[ যারা শব্দের শেষে অযথা ও-কার বসান তাদের জন্য নিবেদিত]।
সূত্র: বাঙালির বাংলা হাসি, ড. মোহাম্মদ আমীন, পুথিনিলয়, বাংলাবাজার।
বাংলাদেশের পড়ালেখা সকল তথ্য পেতে ক্লিক করুন