ড. মোহাম্মদ আমীন
মুক্তিযুদ্ধে খেতাবধারী বীর
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই ডিসেম্বর পূর্বে নির্বাচিত সকল মুক্তিযোদ্ধার নাম-সহ মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে খেতাব প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ -৭ জন, বীর উত্তম- ৬৮ জন, বীর বিক্রম- ১৭৫ জন এবং বীর প্রতীক- ৪২৬ জন। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাব প্রাপ্তদের পদক ও ফিতা প্রদান করা হয়। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক পুরস্কার এবং সনদ প্রদান করা হয়।
বাহিনীভিত্তিক খেতাবপ্রাপ্তদের সংখ্যা
সেনাবাহিনী – ২৮৮ জন, নৌবাহিনী ২৪ জন, বিমান বাহিনী— ২১ জন, বাংলাদেশ রাইফেলস— ১৪৯ জন, পুলিশ—৫ জন, মুজাহিদ/ আনসার— ১৪ জন এবং গণবাহিনী – ১৭৫ জন।
বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্ত মহিলা ও বিদেশি
খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দুজন মহিলা, তাদের নাম ডা. ক্যপ্টেন সিতারা বেগম ও তারামন বিবি। পাঁচজন অবাঙালিও বীরত্বসূচক খেতাব পান, যাদের মধ্যে একজন বিদেশি। বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বিদেশির নাম উইলিয়াম আব্রাহাম সাইমন ঔডারল্যান্ড।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বীরত্বসূচক খেতাব
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বীরত্বসূচক খেতাব সামরিক বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্যও প্রযোজ্য রয়েছে। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও অন্যান্য স্থানে পরিচালিত অপারেশনে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ রাইফেলেসর ১২৬ জন বীরত্বসূচক খেতাব পেয়েছেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র : লিংক
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ : মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডার