
ওটা কি মুদ্রণপ্রমাদ? অথবা, প্রাচীন কোনো উৎস থেকে সম্পাদনাহীন অন্ধ কপি-পেস্টের অপরিহার্য পরিণতি?
২। Epidemic-এর পরিভাষা ‘মহামারি’। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান ও বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক পরিভাষা ২০১৫ অভিন্নভাবে সে-কথাই বলেছে।
৩। Pandemic-এর পরিভাষা কী?
৪। বাংলা একাডেমির কোনো অভিধানে বা অন্য কারো কোনো অভিধান বা রেফারেন্স বইয়ে Pandemic-এর পরিভাষা আমি এখনও পাইনি। আপনি কি পাচ্ছেন?
৫। এক দশকেরও আগে—৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে— ‘সোয়াইন ফ্লু – আমাদের করণীয়’ শীর্ষক নিবন্ধে https://www.ebanglahealth.com লিখেছে: “সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা আর সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা মিলে তৈরি হয়েছে একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির ভাইরাস-নাম ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ১এন১। পরিচিতি পেয়েছে সোয়াইন ফ্লু নামে। গত শতাব্দীর তিনটি ভয়াবহ ‘ফ্লু বিশ্বমারি’র পর বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছিলেন আরেকটি ফ্লু বিশ্বমারির। এইচ১এন১ বা সোয়াইন ফ্লু সেই বিশ্বমারি হিসেবে এসেছে বিশ্বজুড়ে।”
৫। এখন চলমান কোভিড-১৯ বিশ্বমারির আগ্রাসনের সময়ে প্রথম আলোর ২১ মার্চ ২০২০ তারিখের সংখ্যায় অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম লড়াকু জেনিফার হলার’ শীর্ষক পাঁচমিশালি সংবাদে লিখেছেন: “করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বলেছে ‘বিশ্বমারি’।”
৬। ‘বিশ্বমারি’ আমার বোধে Pandemic-এর জুতসই পরিভাষা। আপনার কী মনে হয়? যেখানেই থাকুন, সুস্থ থাকুন, করোনা-মুক্ত থাকুন, প্রিয় শুবাচি!
সূত্র: মড়ক মারি মহামারি ও বিশ্বমারি, খুরশেদ আহমেদ, শুদ্ধ বানান চর্চা(শুবাচ)।