Abdullah Nabi
শুবাচে দেখছি কেউ কেউ বাংলাভাষার যুক্তবর্ণ সরলীকরণ”আন্দোলন” করছেন। আমার মাথায় ঢুকছে না তার কারণ বা প্রয়োজন কতটুকু।
১. শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন, যে সব শিশু জন্ম থেকেই একাধিক ভাষার ভিতর দিয়ে বেড়ে ওঠে, তাদের মস্তিস্ক, এক ভাষা ব্যবহার করা পরিবেশের শিশুদের তুলনায় অনেক সক্রিয়ভাবে বেড়ে ওঠে। ভাষার মিশ্রতাও যেখানে সমস্যা নয়, বরং উপকারী, সেখানে যুক্তবর্ণ ত্যাগ করা কোন যৌক্তিক কথা নয়। তাতে করে আমরা ক্রমাগত তুলনামূলক কম ধীশক্তি সম্পন্ন, কম স্মার্ট প্রজন্ম দেবো।
২. সম্প্রদায় (একই শ্রেণীর মানুষ)যা বুঝায় সম-প্রদায় (সমান দায়/দান)তাই কি বুঝায়? প্রভাত (প্রকৃষ্ট রূপে যে ভাত/আলো) আর পরভাত (অন্যের ভাতি/আলো) কি এক? প্রচেষ্টা আর পরচেষটা কি ভাবে এক হবে ?– এমন আরো সমস্যা আছে।
৩. সবচেয়ে বড় কথা, এরকম গর্দভসুলভ “আন্দোলন” করে কোন ভাষাকে বদলানো যায় নি, যায় না, প্রমাণ পাকিস্তান আমলে বাংলাভাষার ইতিহাস। আরো স্পষ্ট করে বললে ১৯৫২-র ইতিহাস। এই “আন্দোলন”-কারীরা যদি তা যদি না পড়ে থাকেন, তবে আজই পড়ে ফেলুন– এসব নিরর্থক আন্দোলনের চাইতে নিজে একটু প্রচেষ্টা দিয়ে যুক্তবর্ণ শিখে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
৪. প্রত্যেক জীবন্ত ভাষাই বদলায় (শব্দ, শব্দার্থ গ্রহণ-বর্জন করে) নিজ গতিতে। কারো আদেশ-নিষেধের তোয়াক্কা ভাষা করে না। এমনকি ব্যাকরণের তোয়াক্কাও করে না। অতএব, আপনাদের আন্দোলনেরও করবে না। আপনাদের শুভ বুদ্ধি জেগে উঠুক।
সূত্র: Abdullah Nabi, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)।
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১
কি না বনাম কিনা এবং না কি বনাম নাকি
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
ভূ ভূমি ভূগোল ভূতল ভূলোক কিন্তু ত্রিভুবন : ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
Enjoyed studying this, very good stuff, thanks. “A man may learn wisdom even from a foe.” by Aristophanes.