ড. মোহাম্মদ আমীন
ছেলেবেলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাল্যস্মৃতি। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৩৪৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে (ইং ১৯৪০ খ্রি.)। রবীন্দ্রনাথের এই গ্রন্থটি শিশুদর্শনের একটি অনুপম দলিল। গোঁসাইজি একবার রবীন্দ্রনাথকে ছেলেদের জন্য কিছু লেখার অনুরোধ করেন। নেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থটি লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, গোঁসাইজির অনুরোধে কাছ থেকে অনুরোধ এল ছেলেদের জন্যে কিছু লিখি । ভাবলুম ছেলেমানুষ রবীন্দ্রনাথের কথা লেখা যাক ।” গ্রন্থটিতে রবীন্দ্রনাথ নিজের ছেলেবেলাকে বয়সবেলায় এসে দেখেছেন পেছনে তাকিয়ে, তারপর লিখেছেন নিজেরে নিজেকে শিশুবেলার আঙ্গিকে। ফলে ছেলেবেলার স্মৃতি হয়ে উঠেছে গভীর নীরিক্ষণধর্মী একটি শিশুমনোবৃত্তিক দর্শনে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ছেলেমানুষি কল্পনাজাল মন থেকে কুয়াশার মতো যখন কেটে যেতে লাগল তখনকার কালের বর্ণনার ভাষা বদল করি নি কিন্তু ভাবটা আপনিই শৈশবকে ছাড়িয়ে গেছে । এই বিবরণটিকে ছেলেবেলাকার সীমা অতিক্রম করতে দেওয়া হয় নি — কিন্তু শেষকালে এই স্মৃতি কিশোর-বয়সের মুখোমুখি এসে পৌঁছিয়েছে। সেইখানে একবার স্থির হয়ে দাঁড়ালে বোঝা যাবে কেমন করে বালকের মনঃপ্রকৃতি বিচিত্র পারিপার্শ্বিকের আকস্মিক এবং অপরিহার্য সমবায়ে ক্রমশ পরিণত হয়ে উঠেছে । সমস্ত বিবরণটাকেই ছেলেবেলা আখ্যা দেওয়ার বিশেষ সার্থকতা এই যে , ছেলেমানুষের বৃদ্ধি তার প্রাণশক্তির বৃদ্ধি । জীবনের আদিপর্বে প্রধানত সেইটেরই গতি অনুসরণযোগ্য । যে পোষণপদার্থ তার প্রাণের সঙ্গে আপনি মেলে বালক তাই চারি দিক থেকে সহজে আত্মসাৎ করে চলে এসেছে । প্রচলিত শিক্ষাপ্রণালী দ্বারা তাকে মানুষ করবার চেষ্টাকে সে মেনে নিয়েছে অতি সামান্য পরিমাণেই ।”
বিসিএস প্রিলি থেকে ভাইভা কৃতকার্য কৌশল
ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা বইয়ের তালিকা
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক