ড. মোহাম্মদ আমীন
ই: বাক্যের কর্তা উত্তম পুরুষ হলে সংশ্লিষ্ট ক্রিয়াপদের শেষে ই বসে। যেমন: আমি স্কুলে যাই। আমরা খাই। আমি যাই নাই। তোমাকে চাই শুধু তোমাকে, শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই।
কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা বিষয়-কর্মকে গুরুত্ব প্রদানের জন্য শব্দের শেষে ই যুক্ত করা হয়।যেমন:
কাজটা আমাকে নয়, তোমাকেই করতে হবে; যেভাবেই হোক।
আমিই যাব যেখানেই হোক যখনই হোক যাবই যাব।
আমি যাবই। তখনই বলছিলাম যেতে দিতে।
এখনই আমাকে বের হতে হবে।
কখনো কখনো বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে ই যুক্ত হয়। যেমন:
সব থেকে সবাই। সবাই তো সুখী হতে চায়- – -।
য়: নাম পুরুষ (থার্ড পারসন ) এর ক্ষেত্রে ক্রিয়াপদের শেষে য় বসে। যেমন- সে খায়।তাহারা ঘুমায়। কল্যাণী স্কুলে যায়।
ক্রিয়াপদ ছাড়াও শব্দের শেষে উপযুক্ত ক্ষেত্রে য় বর্ণটি বিভক্তি রূপেও যুক্ত হয়। যেমন:
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
তুমি অনেক যত্ন করে আমায় দুঃখ দিতে চেয়েছ
বাসায় কেউ নেই, ঢাকায় গেছে সবাই।
জানালায় দাঁড়িয়ে একা।
ও: মধ্যম পুরুষে বাক্যে ক্রিয়াপদের শেষে ও বসে। যেমন: তুমি গাও। তোমারা কোথায় যাও? তোমরা যাও বা না যাও আমি যাব।
আধিক্য বা অতিরিক্ত কিংবা সংযোজন বা দলভুক্ত হওয়া প্রভৃতি প্রকাশে বাক্যে শব্দের শেষে ও যুক্ত করা হয়। যেমন:
আমিও পথের মতো হারিয়ে যাব- – -।
তুমিও কি একটুও হারোনি – – -।
বাবার সঙ্গে আমিও যাব, দাদাও যাবেন; তুমিও যাবে।
কোন ও কোনো
“কোন ও কোনো কখন কোথায় হবে?”
কোথায় যাচ্ছ?
বাজারে, পিতার প্রশ্নের উত্তরে ছেলে বলল।
কোন বাজারে যাচ্ছ?
শান্তিনগর বাজারে।
ভালো কোনো মাছ পেলে নিয়ে আসো।
আমার কাছে কোনো টাকা নেই।
তোমাকে না টাকা দিয়েছিলাম।
কোনদিন দিয়েছ?
বাবা টাকা দিল। টাকা নিয়ে ছেলে গুনগুন করে গাইছে, “কোনো এক গাঁয়ের বধূর কথা তোমায় শোনাই শোনো—”। ছেলের গান শুনে বাবাও গুনগুন শুরু করে দিল, “বধূ কোন আলো লাগল চোখে- – -”।