Warning: Constant DISALLOW_FILE_MODS already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 102

Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 103
শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) প্রমিত বানানবিধি – Page 4 – Dr. Mohammed Amin

শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) প্রমিত বানানবিধি

৩১. ‘ভাষা’ ও ’জাতি’ নামের বানান হ্রস্ব ই-কার

ভাষা ও জাতির নামের বানানে সাধারণত ‘হ্রস্ব ই-কার’ ব্যবহার করা হবে। যেমন: বাঙালি, জাপানি, ইংরেজি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, আরবি, ফারসি, গুজরাটি প্রভৃতি। তবে ‘চীন’ বানানটি বিকল্পে অধিকতর প্রচলনের কারণে এবং একই সঙ্গে কোনো কোনো বৈয়াকরণ দ্বারা সংস্কৃত শব্দ হিসেবে বর্ণিত হওয়ার কারণে ঈ-কার (চীন) গ্রহণযোগ্য। অতএব, যে-কোনো দেশ, ভাষা ও জাতির নাম লিখতে ই/ঈ-কার দেওয়া নিয়ে সংশয় হলে নিশ্চিন্তে ই-কার দেবেন। ব্যতিক্রম : মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা। প্রসঙ্গত, এগুলো ইংরেজি বা বিদেশি নামের প্রতিবর্ণায়ন নয়। নামগুলো সংস্কৃত গ্রন্থে সংস্কৃত শব্দ হিসেবে এরূপ বানান নির্দেশিত হয়েছে।

পূর্বে বলা হয়েছে, বাংলায় ব্যবহৃত  ভাষা ও জাতিসমূহের বানানে সাধারণত ‘ঈ-কার’ হয় না, ই-কার হয়। তবে, ঈয়-প্রত্যয় যুক্ত হলে বিদেশি  ভাষা ও জাতিসমূহের নামের বানানেও ঈ-কার দিতে হয়। কারণ, ঈয়-প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রত্যয়ের পূর্বের বর্ণ ঈ-কার লাভ করে। যেমন: জাতি+ঈয়= জাতীয়, ভারত+ঈয়= ভারতীয়। আফ্রিকা+ঈয়= আফ্রিকীয়। ইতালি+ ঈয়= ইতালীয়। ইংরেজ+ঈয়= ইংরেজীয়। এশিয়া+ঈয়= এশীয়। তুর্কি+ঈয়= তুর্কীয়। বেঞ্চি+ঈয়= বেঞ্চীয়। ইউরোপ+ঈয়= ইউরোপীয়। আরব+ঈয়= আরবীয়। গ্রিক+ঈয়= গ্রিকীয়।

 

৩২. -কারী ও -কারি; -গণ যুক্তে ঈ-কার নাশ

 ব্যক্তির ক্ষেত্রে ‘-কারী’ বা ‘-আরী’- শব্দাংশে ঈ-কার হয়। যেমন : সহকারী (সহ+কারী), উপকারী(উপ+কারী); আবেদনকারী, পথচারী, হত্যাকারী, অনিষ্টকারী, কর্মচারী, প্রদানকারী, সাহায্যকারী, প্রবেশকারী ইত্যাদি। শুধু ‘-কারী’  নয়; ‘-চারী’ বা ‘-আরী’ যুক্ত হলেও ব্যক্তির ক্ষেত্রে ‘ঈ-কার’ হবে। যেমন : অত্যাচারী, নভোচারী, ব্যভিচারী, আকাশচারী, সহচারী ইত্যাদি। ‘-যোগী’ বা ‘-চরী’ যুক্ত হলেও ব্যক্তির ক্ষেত্রে ‘ঈ-কার’ হবে। যেমন : সহযোগী, সহচরী। অর্থাৎ এসব তৎসম শব্দের বানানের অর্থ ব্যক্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘ঈ-কার’ হবে।

ব্যক্তি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে  ‘ই-কার’ হবে। যেমন : সরকারি, দরকারি, তরকারি, বাহারি ইত্যাদি। তবে, অতৎসম শব্দে ‘ই-কার’ হবে। যেমন : বাহাদুরি  (তুর্কি বাহাদুর+ফারিস ই); শিকারি (ফারসি), শাঁখারি(অতৎসম) প্রভৃতি শব্দ ব্যক্তি প্রকাশ করলেও অতৎসম  হওয়ায় বানানে ‘ই-কার’ হয়েছে। আর একটা বিষয়, ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে ‘–গণ’ যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন— সহকারী > সহকারিগণ, কর্মচারী> কর্মচারিগণ, আবেদনকারী> আবেদনকারিগণ, কর্মী> কর্মিগণ, মন্ত্রী>মন্ত্রিসভা ইত্যাদি।

নিমোনিক: ব্যক্তি না হলে সেসব শব্দের বানানে সাধারণত তরকারি বানানের ‘-কারি’ দেবেন। যেমন: পাইকারি, পায়চারি, সরকারি, দরকারি, তরকারি। এসব শব্দ ব্যক্তি বোঝায় না। তাই তরকারি বানানের -কারি। ব্যক্তি প্রকাশ করলে ‘-কারী’ দিতে হবে। কারণ, ব্যক্তির সঙ্গে তরকারি দিলে খেয়ে ফেলবে। তাই ব্যক্তি প্রকাশে ‘-কারি’ হয় না; ‘কারী’ হয়। যেমন: সহকারী, উপকারী, কর্মচারী, দরখাস্তকারী, হঠকারী, নভোচারী, অন্যায়কারী।
 

৩৩. বহুবচনবাচক পদ ও বানান পরিবর্তন

বাংলা প্রমিত বানানে শব্দের শেষে ‘ঈ-কার’ থাকলে ইন্‌-প্রত্যয়ান্ত শব্দের বহুবচনবাচক ‘গণ’- অনুপদযোগে গঠিত শব্দের ‘দীর্ঘ ঈ-কার’ পরিবর্তন হয়ে ‘হ্রস্ব ই-কার’ হবে। যেমন: মন্ত্রী > মন্ত্রিবৃন্দ, সহকারী> সহকারিগণ, কর্মচারী> কর্মচারিগণ, কর্মী> কর্মিগণ, আবেদনকারী >

৩৪. প্রত্যয়ান্ত হ্রস্ব ই-কার

ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব প্রভৃতি শব্দাণু কোনো শব্দের অন্তে যোগ হলে ‘দীর্ঘ ঈ-কার’ পরিবর্তন হয়ে ‘হ্রস্ব ই-কার’ হয়ে যাবে। যেমন: দায়িত্ব (দায়ী), প্রতিদ্বন্দ্বিতা (প্রতিদ্বন্দ্বী), প্রার্থিতা (প্রার্থী), দুঃখিনী (দুঃখী), অধিকারিণী (অধিকারী), সহযোগিতা (সহযোগী), মন্ত্রিত্ব (মন্ত্রী), মন্ত্রিসভা (মন্ত্রী), মন্ত্রিপরিষদ (মন্ত্রী), প্রাণিবিদ্যা (প্রাণী), প্রাণিতত্ত্ব (প্রাণী), প্রাণিজগৎ (প্রাণী), প্রাণিসম্পদ (প্রাণী), স্থায়িত্ব (স্থায়ী) প্রভৃতি।

 

৩৫. ঈ, ঈয়, অনীয় প্রত্যয়ের প্রভাব

ঈ, ঈয়, অনীয় প্রভৃতি প্রত্যয়-যুক্ত হলে শব্দের ‘হ্রস্ব ই-কার’ পরিবর্তন হয়ে ‘দীর্ঘ ঈ-কার’ হয়। যেমন: জাতীয় (জাতি), দেশীয় (দেশি), পানীয় (পানি), জলীয় (জল), স্থানীয় (স্থানিক), স্মরণীয় (স্মরণ), বরণীয় (বরণ), গোপনীয় (গোপন), ভারতীয় (ভারত)। তেমনি, মাননীয়, বায়বীয়, প্রয়োজনীয়, পালনীয়, তুলনীয়, শোচনীয়, রাজকীয়, লক্ষণীয়, করণীয়, মার্জনীয় প্রভৃতি।

৩৬. খণ্ড-ৎ, অনুস্বার (ং) এবং  স্বরচিহ্ন

 কোনো শব্দের বানানে বিদ্যমান ‘খণ্ড-ৎ’ বা অনুস্বার (ং)-এর  সঙ্গে স্বরচিহ্ন বা প্রত্যয় যুক্ত হলে ‘খণ্ড-ৎ’ পরিবর্তন হয়ে ‘ত’ এবং অনুস্বার পরিবর্তন  হয়ে ঙ হবে। যাবে। যেমন:  জগৎ > জগতে, জাগতিক, বিদ্যুৎ> বিদ্যুতে, বৈদ্যুতিক, ভবিষ্যৎ> ভবিষ্যতে, আত্মসাৎ> আত্মসাতের, সাক্ষাৎ> সাক্ষাতে, সাক্ষাতের। রং> রঙের, সং>সঙের প্রভৃতি।

৩৭. ইক-প্রত্যয়ের প্রভাব (অ থেকে আ)

কোনো শব্দের সঙ্গে ‘-ইক’ প্রত্যয় যুক্ত হলে যদি সংশ্লিষ্ট শব্দের প্রথমে ‘অ-কার’ থাকে তা পরিবর্তন হয়ে ‘আ-কার’ হবে। যেমন: অর্থ > আর্থিক, অঙ্গ > আঙ্গিক, বর্ষ > বার্ষিক, মন > মানসিক, পরস্পর > পারস্পরিক, সংস্কৃত > সাংস্কৃতিক, পরলোক > পারলৌকিক, প্রকৃত > প্রাকৃতিক, ধর্ম > ধার্মিক, প্রসঙ্গ > প্রাসঙ্গিক, সংসার > সাংসারিক, সপ্তাহ > সাপ্তাহিক, সময় > সাময়িক, সংবাদ > সাংবাদিক, প্রদেশ > প্রাদেশিক, সম্প্রদায় > সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি। প্রসঙ্গত, ইক প্রত্যয়-যুক্ত শব্দগুলি বাক্যে সাধারণত বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 
৩৮. ইক-প্রত্যয়ের প্রভাব (ই/ঈ বা ই/ঈ-কার থেকে ঐ/ঐ-কার) 
প্রারম্ভে ঐ বা ঐ-কার যুক্ত মৌলিক শব্দ বিরল। সাধারণত প্রত্যয় যুক্ত হলে শব্দের প্রারম্ভে ঐ বা ঐ-কার আসে। যেমন: এক+অ= ঐক, এক+তান= ঐকতান, একবাক্য+অ=ঐকবাক্য, ঈশ্বর+য= ঐশ্বর্য, দেহ+ইক= দৈহিক প্রভৃতি। প্রারম্ভে ই/ঈ বা ই/ঈ-কার যুক্ত কোনো শব্দের সঙ্গে ইক প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রারম্ভিক ই/ঈ বা ই/ঈ-কার সাধারণত ঐ বা ঐ-কার হয়ে যায়। যেমন: এক+ইক= ঐকিক; ইচ্ছা+ইক= ঐচ্ছিক; ইতিহাস+ইক= ঐতিহাসিক; ঈশ্বর+ইক= ঐশ্বরিক; চিত্ত+ইক= চৈত্তিক; জীবন+ইক= জৈবনিক; নীতি+ইক= নৈতিক; নির্‌+ব্যক্তি+ইক= নৈর্ব্যক্তিক; বিদেশ+ইক= বৈদেশিক; বিদ্যুৎ+ইক= বৈদ্যুতিক; বিশ্ববিদ্যালয়=ইক= বৈশ্ববিদ্যালয়িক; বিচার+ ইক= বৈচারিক।
প্রসঙ্গত, ইক প্রত্যয়-যুক্ত শব্দগুলি বাক্যে সাধারণত বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
 
৩৮. ইক-প্রত্যয়ের প্রভাব (উ/ঊ/ও বা উ/ঊ-কার বা ও-কার থেকে ঔ-কার) 
প্রারম্ভে ও বা ও-কার যুক্ত মৌলিক শব্দ বিরল। সাধারণত প্রত্যয় যুক্ত হলে শব্দের প্রারম্ভে ও বা ও-কার আসে। কোনো শব্দের প্রথম  ‍উ বা ঊ বা ও কিংবা উ/ঊ-কার বা ও-কার থাকলে  ইক-প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার পর তা ঔ বা ঔ-কার হয়ে যায়। যেমন: লোক+ইক= লৌকিক;  যোগ+ইক= যৌগিক;  উপনিবেশ+ইক= ঔপনিবেশিক, উপন্যাস+ইক= ঔপন্যাসিক;  ভূগোল+ইক= ভৌগোলিক, মুখ+ইক= মৌখিক।
 
 

৩৮. প্রশাসনিক না কি প্রাশাসনিক

‘প্রশাসন’ শব্দের সঙ্গে ‘ইক্’ প্রত্যয় যুক্ত করলে হয়, ‘প্রশাসন+ ইক = প্রাশাসনিক’। যেমন: সময় + ইক = সাময়িক, বর্ষ+ ইক = বার্ষিক, প্রত্যহ + ইক = প্রাত্যহিক, নন্দন+ইক= নান্দনিক, সমষ্টি+ ইক = সামষ্টিক, প্রমাণ+ইক= প্রামাণিক, ভ্রমণ+ইক= ভ্রামণিক, প্রথম+ইক= প্রাথমিক ইত্যাদি। এ হিসেবে ‘প্রাশাসনিক’ শব্দটি শুদ্ধ। কোন অভিধানে কীভাবে শব্দটির ব্যুৎপত্তি লেখা হয়েছে, এখানে তা বলা হচ্ছে না। এখানে ব্যাকরণের নিয়মটা বলা হচ্ছে। যদি কোনো অভিধানে লেখা থাকে, প্রশাসন+ ইক = প্রশাসনিক, তাহলে এটি সঠিক হবে না।

 ‘শাসন’ শব্দের সঙ্গে ইক্ প্রত্যয় যুক্ত করলে হয়, ‘শাসন + ইক =শাসনিক’। যেমন : মাস+ ইক = মাসিক, কাল + ইক = কালিক, আত্মন্ + ইক = আত্মিক, জাল+ ইক = জালিক ইত্যাদি। এভাবে শাসন শব্দের সঙ্গে ‘ইক’ প্রত্যয় যোগে প্রাপ্ত ‘শাসনিক’ শব্দের সঙ্গে ‘প্র’ উপসর্গ যোগ করলে হয় ‘প্র+ শাসনিক= প্রশাসনিক’। এ হিসেবে ‘প্রশাসনিক’ শব্দটি শুদ্ধ।

 অতএব ব্যাকরণগতভাবে ‘প্রশাসনিক’ এবং ‘প্রাশাসনিক’- দুটোই শুদ্ধ। ‘সমসাময়িক’ এবং ‘সামসময়িক’ শব্দদ্বয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

৩৯. আর্ষপ্রয়োগ

ঋষি থেকে আর্ষ। অনেক সময় পণ্ডিত ও খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকগণও ব্যাকরণগতভাবে অশুদ্ধ অনেক শব্দ তাঁদের সাহিত্যকর্মে বসিয়ে দেন। লেখকের আকাশচুম্বী খ্যাতির কারণে এগুলোকে অশুদ্ধ বা ভুল বাতিল করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। কালক্রমে বৈয়াকরণগণও এ সব অশুদ্ধ শব্দগুলোকে মেনে নেন এবং নাম দেন ‘আর্ষপ্রয়োগ’। ‘পূজারিণী’, ‘অশ্রুজল’, ‘সঞ্চয়িতা’ প্রভৃতি শব্দ ব্যাকরণের নিয়মানুসারে অশুদ্ধ, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন। তাই এগুলো আর্ষপ্রয়োগ। ‘কাবুলিওয়ালা’ শব্দটি বাহুল্য দোষে দুষ্ট। শরৎচন্দ্রের ‘অভাগী’ শব্দও ব্যাকরণগতভাবে অশুদ্ধ। তবে আর্ষপ্রয়োগের কারণে এগুলো এখন শুদ্ধের পঙ্‌ক্তিতে। একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন, প্রচলিত সব অশুদ্ধ শব্দ কিন্তু আর্ষপ্রয়োগ নয়। ঋষি বা খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকদের ব্যবহৃত অশুদ্ধ শব্দ সাধারণ্যে বহুলভাবে প্রচলিত হলেই কেবল কোনো শব্দকে আর্ষপ্রয়োগ বলা যায়।

শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) প্রমিত বানানবিধি

৪০. তুচ্ছার্থে টা

 কোনো শব্দে  পদাশ্রিত নির্দেশক হিসেবে টি না কি টা দেবেন তা  নিয়ে সংশয়ে পড়লে গুনগুন করে গাইতে পারেন:
“চুপ চুপ লক্ষ্মিটি শুনবে যদি গল্পটি
এক যে ছিল তোমার মতো ছোট্ট রাজকুমার- – -।”
এই গানেই পেয়ে যাবেন টি কোথায় বসাবেন— লক্ষ্মিটি আর গল্পটি। মাটি বানানেও টি, খাঁটি বানানেও টি।
অনেকে প্রশ্ন করেন, “শব্দের শেষে ‘টা’ বা ‘টি’ কখন কোনটি বসাব?” একটা না কি একটি? বাঁশটা না কি বাঁশটি? কলমটা নাকি কলমটি?
আসলে, এ বিষয়ে কঠিন কোনো লিখিত নিয়ম নেই। ব্যাকরণও কিছু বলে না, তবে বৈয়াকরণ অনেক কিছু বলেন। একটি বাংলা প্রবাদে তুচ্ছার্থে ‘টা’ এবং গৌরবার্থে ‘টি’ প্রত্যয় ব্যবহার করার নির্দেশনা পাওয়া যায়। প্রবাদটি দেখুন :
“আমার ছেলে ছেলেটি, খায় শুধু এতটি
বেড়ায় যেন গোপালটি।
ওদের ছেলে ছেলেটা, খায় দেখ কতটা
বেড়ায় যেন বাঁদরটা।”
আমি সাধারণত তুচ্ছার্থে ‘টা’ এবং অন্যার্থে ‘টি’ প্রয়োগ করে থাকি। মনে রাখবেন, টি বা চা অনেকের প্রিয়। তাই প্রিয় জিনিসে ‘টি’ বসান। এটি কিন্তু শক্ত কোনো বিধি নয়। এ নিয়ম পালিত না-হলে ভুল হবে— এমন বলা যাবে না।
 
সূত্র: ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.

 

 
 
 
 
 
 

—————————————————————————————————————————————————————

শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) প্রমিত বানানবিধি