শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) গ্রুপের নীতিমালার কিয়দংশ
শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) গ্রুপের নীতিমালা ও যযাতি অনুমোদন
শুবাচে আপনাকে স্বাগত।
[ যযাতি ( পোস্ট) দেওয়ার আগে অনুগ্রহপূর্বক ৬ নম্বর ৭ নম্বর ও ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ দেখুন। এ নীতি অনুসৃত না-হওয়ার কারণে

অনেক শুবাচির অনেক ভালো যযাতিও অনুমোদন করা যায় না।]
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। মাতৃভাষা মায়ের মতো। মাতৃভাষা বাংলার সার্বিক উন্নয়ন ও প্রচার-প্রসার, আধুনিকায়ন, প্রভৃতি শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য। মাতৃভাষা হিসেবে আপনিও নিঃসন্দেহে এমনটি চান। শুবাচের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে আপনি, আপনার নিজের অনিন্দ্য অনুভূতি, শালীন মন্তব্য, জ্ঞানগর্ভ লেখা বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এই গোষ্ঠীর সমৃদ্ধি আনয়নে সচেষ্ট হবেন– আপনার কাছে শুবাচের এটিই প্রত্যাশা।
(অ) শুবাচের স্লোগান ও লোগো
‘শুদ্ধ বানান শুদ্ধ ভাষা, বাংলা আমার ভালোবাসা’। এই স্লোগানটি প্রদান করেছেন শুবাচি Mosharraf Hossain Mukto। শুবাচের লোগো দিয়েছেন : শুবাচি জনাব Parvez Rana। শুবাচ তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
(আ) শুবাচের উদ্দেশ্য
১. শুদ্ধ বানান চর্চা ও বাংলা বানানে প্রমিত নিয়ম প্রয়োগে উৎসাহ প্রদান, বাংলা বানান ও শব্দচয়নে ভুল কিংবা যথেচ্ছাচার সম্পর্কে সচেতনতা

সৃষ্টি, বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসার ও সমৃদ্ধায়নের লক্ষ্যে আলোচনা-পর্যালোচনা, গবেষণা ও উপযুক্ত গ্রন্থাদি প্রকাশ এবং লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ শুবাচ গোষ্ঠীর (group) অন্যতম উদ্দেশ্য।
২. দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাভাষী ছাড়াও যে সকল বিদেশি বাংলা ভাষা শেখার জন্য আগ্রহী, শুবাচ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা প্রদানও ‘শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)’ গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য।
৩. শুদ্ধ বানান চর্চা গোষ্ঠী (শুবাচ)-এর আর একটি উদ্দেশ্য হলো: শুবাচ গ্রুপের একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা সব ধরনের বিশেষ করে বাংলা বানান ও বাংলা ভাষাবিষয়ক বইসমূহের প্রচার। যাতে তাঁর লেখা ও প্রকাশিত বই এবং বইয়ের বিষয়বস্তু আগ্রহী পাঠকবর্গ জানতে পারেন।
৪. সাধারণভাবে শুবাচ গ্রুপে ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা বই ছাড়া অন্য কারো লেখা বই প্রচার করা হবে না। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবর্গের লেখা বই প্রকাশ করা হবে কি না তা ড. মোহাম্মদ আমীন নির্ধারণ করবেন।
(ই) নীতিমালা পরিবর্তন
প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডমিন ড. মোহাম্মদ আমীন বা এতদ্বিষয়ে তাঁর নিয়োজিত বা তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং অন্য যে-কোনো তিন জন অ্যাডমিন একমত হলে নীতিমালার যে-কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধণ, সংযোজন, বিয়োজন বা অন্য যে-কোনো সংস্কার করতে পারবেন। এ বিষয়ে তাঁরা কারো সঙ্গে আলাপ করতে বাধ্য নন।
(ঈ) অ্যাডমিন ও মডারেটর
শুবাচ অ্যাডমিনের বাংলা হবে সম্পাদক। অ্যাডমিনের সংখ্যা কত জন হবেন তা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আমীনই নির্ধারণ করবেন। প্রয়োজন মনে করলে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। তবে কারো সঙ্গে আলোচনা করতে তিনি বাধ্য নন।
(ক) নীতিমালার প্রাসঙ্গিকতায় সম্মানিত সদস্যবর্গের প্রতি নিবেদন
১. সদস্য হওয়ার যোগ্যতা: শুবাচকে ঐকান্তিক আগ্রহে নিজের সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সমৃদ্ধি আনয়নের লক্ষ্যে মাতৃভাষার সার্বিক কল্যাণে অধিক অবদান রাখার যোগ্য একটি গ্রুপ হিসেবে গড়ে তুলবেন। আপনাদের অবদান ছাড়া তা কখনো সম্ভব হবে না। এজন্য প্রয়োজন শুবাচের বিস্তৃতি ও প্রসার। সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে আপনি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তাই অনুরোধ, আপনার বন্ধুবর্গ এবং অন্য কোনো গোষ্ঠী থাকলে ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের যৌক্তিক বিবেচনায় শুবাচে যুক্ত হওয়ার আহ্বান করুন। শুবাচের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ শর্ত বা বাধানিষেধ নেই। যে কেউ শুবাচের সদস্য হতে পারেন। তবে কারো কর্মকাণ্ড যদি শুবাচের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে তাহলে তাকে সদস্য হিসেবে রাখা হয় না।
২. শুবাচ ও শুবাচি: শুবাচের প্রত্যেক সদস্য প্রকৃতপক্ষে, বাংলা বিষয়ে কিছু জানার জন্য আসেন। তাই বলা যায়, একজন প্রকৃত শুবাচি, শর্তহীনভাবে একজন প্রকৃত শিক্ষার্থী; সংগত কারণে— তিনি শোভন, ভদ্র, অমায়িক এবং দেশপ্রেমিক। তাই সম্পাদক-সঞ্চালক (Admin- Moderator) নির্বিশেষে শুবাচের প্রত্যেক শিক্ষার্থী সমমর্যাদার অধিকারী। এখানে প্রত্যেকে শিক্ষার্থী আবার প্রত্যেকে শিক্ষক— কেউ কারো ছাত্র বা অধস্তন নন। পরস্পরকে যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা শুবাচের অন্যতম বন্ধন। ব্যক্তিক আক্রোশ, অশালীন মন্তব্য, অপ্রাসঙ্গিক কথা এবং কেউ হেয় বা অপমানিত বোধ করেন এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব। কোনো যযাতি কারো অপছন্দ হলে অশালীন মন্তব্য
করার চেয়ে এড়িয়ে যাওয়াই হবে উত্তম। কোনো অভিযোগ থাকলে সম্পাদককে (Admin) অবহিত করবেন। কোনো যযাতি একবার প্রকাশিত হলে তা সহজে মুছে দেওয়া হয় না।
৩. রাজনীতি ও ধর্মবিষয়ক যযাতি: কোনো প্রকার রাজনীতিক, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক বিরূপ-মন্তব্য বা এসব বিষয়ে কোনো উস্কানিমূলক যযাতি (পোস্ট) প্রদান বা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। অনুগ্রহপূর্ক এমন কোনো পোস্ট দেবেন না বা এমন কোনো মন্তব্য করবেন না, যাতে রাজনীতিক, ধর্মীয় কিংবা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটতে পারে বা কেউ আহত হতে পারে বা ক্ষুব্ধ হতে পারে। তবে কবি সাহিত্যিকের লেখার বিষয়ে তথ্যবহুল সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু শব্দচয়নে হতে হবে শালীন।
৪. যযাতি অনুমোদনে ব্যক্তিবিশেষের গুরুত্ব: যযাতি (post) অনুমোদনে কাউকে কোনো অবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কেবল যযাতির বিষয়বস্তুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোন যযাতি অনুমোদিত হবে বা কোনটা হবে না– এর নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তবে এই বিষয়ে প্রশাসক বা সম্পাদকবৃন্দের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কোনো যযাতি (পোস্ট) মুছে দেওয়া হলে হলে সাধারণত বিষয়টি লেখককে অবহিত করার সুযোগ হয় না। কোনো যযাতি মুছে দেওয়া হলে বা অপেক্ষমাণ রাখা হলে শুবাচ কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে কাউকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নন। তবে বিশেষ বিবেচনায় অনেকসময় মুছে দেওয়ার বিষয়টি অবহিত করা হয়। এছাড়া যে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে সম্ভব হলে তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
৫. শুবাচি-আচরণ: শুবাচ প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে মাতৃভাষা প্রেমবোধসম্পন্ন নিষ্ঠায় ব্যাকুলিত মনোভাবের নান্দনিক আচরণ প্রত্যাশা করে। শুবাচ আশা করে— বাংলা ভাষাকে হেয় করে বা হেয় করার অনুভূতি সৃষ্টি করে এমন কোনো যযাতি বা মন্তব্য করা হতে সবাই

সচেতনভাবে বিরত থাকবেন। শুবাচিগণ মন্তব্য প্রদানে সহনশীল, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, শোভন ও অমায়িক থাকবেন। কোনো শুবাচির আচরণ শুবাচ-নীতিমালার লঙ্ঘন মনে করা হলে— তাঁকে শুবাচ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়।
৬. রঙিন যযাতি ও পুনরাবৃত্তি : শুবাচে প্রকাশনীয় যযাতি (পোস্ট/স্ট্যাটাস) লেখার জন্য অযথা রঙিন-ক্ষেত্র বা কালার অপশন ব্যবহার করবেন না। সাদা-কালো ক্যানভাসে যযাতি লিখবেন। রঙিন ক্যানভাসে যযাতি লিখলে এবং কোনে লেখা বা ছবি বা ছবির অত্যাবশ্যক লেখা অস্পষ্ট হলে তা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন— অনুমোদন করা হয় না। তবে লেখা বা যযাতির
(পোস্ট) সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বা প্রয়োজনীয় ছবি দেওয়া যাবে। কোনো সঞ্চালক(মডারেটর) ভুলবশত এরূপ রঙিন ক্যানভাসের কোনো যযাতি অনুমোদন করে দিলেও তা পরবর্তীকালে দেখামাত্র মুছে দেওয়া হয়। তবে কুরুচিপূর্ণ কোনো লেখা বা প্রশ্ন অনুমোদন করা হবে না।
৬.১. কারও ব্যক্তিগতভাবে বিষয়ে কিংবা ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে জানতে চাওয়া কোনো প্রশ্ন কিংবা এতৎসংক্রান্ত বিষয়ে দেওয়া কোনো যযাতি শুবাচে প্রকাশের জন্য অনুমোদন করা হবে না।
৬.২. পোস্ট বা যযাতি বা কোনো প্রশ্ন কিংবা লেখার সঙ্গে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বা অপ্রয়োজনীয় কোনো সংযুক্তি অথবা কেবল প্রচার করার উদ্দেশ্যে দেওয়া ছবিযুক্ত কোনো পোস্ট বা যযাতি অনুমোদন করা হবে না। প্রয়োজনে অপ্রাসঙ্গিক ছবি বা সংযুক্তি বাদ দিয়ে তা কপি করে যযাতি বা পোস্টদাতার নামে প্রকাশ করা হবে।
৭. পোস্টের পুনরাবৃত্তি : শুবাচে কোনো যযাতি (পোস্ট) দেওয়ার আগে সে বিষয়ে অনুরূপ প্রাসঙ্গিকতায় এবং সমবিশ্লেষণ-প্রত্যাশায় ইতঃপূর্বে কোনো পোস্ট দেওয়া হয়েছে কি না তা অনুসন্ধান করে দেখা আবশ্যক। একই বিষয়ে সমব্যাখ্যায় বারবার পোস্ট দিলে অযথা গ্রুপের কলেবর বৃ্দ্ধি পায়। গ্রুপের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্মানিত সদস্যবর্গ যাতে সহজে প্রয়োজনীয় বিষয় খুঁজে পায় সেটি নিশ্চিত করা— শুবাচ চায় না, নিম্নমানের লেখার ভিড়ে ভালো মানের লেখাগুলো চাপা পড়ে
যাক। এ লক্ষ্যে একই বিষয়ে একই উদ্দেশ্য বা অভিন্ন ব্যাখ্যা চেয়ে বা একই ব্যাখ্যা দিয়ে প্রদত্ত একাধিক যযাতি অনুমোদন করা হলেও তা মুছে দেওয়া হবে। যেসব শব্দের অর্থ অভিধান হতে সহজে জানা যায়, সেসব শব্দের অর্থ জানার জন্য শুবাচে স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেসব প্রশ্ন অহেতুক কিংবা অপ্রয়োজনীয় কিংবা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পক্ষে হাস্যকর মনে হয়- সেসব প্রশ্ন অনুমোদন করা হবে না।
৮. সম্পাদক-সঞ্চালক ও অভিযোগ: যযাতি অনুমোদন হয় না বলে অনেকে অভিযোগ করেন। যতই অভিযোগ করা হোক না, যোগ্য বিবেচিত না-হলে কোনো পোস্ট অনুমোদন করা হবে না। যোগ্য নির্ধারণের মাপকাঠি নিয়মাবলিতে লেখা আছে। এরপর নীতিমালা অনুযায়ী— যযাতি অনুমোদনে দায়িত্বপ্রাপ্তগণ যা যোগ্য মনে করেন তাই যোগ্য যযাতি বিবেচিত হয়। কোনো সঞ্চালক যদি অযোগ্য কোনো যযাতি অনুমোদনও করেন- তাহলে তাও মুছে দেওয়া হবে। বাজে লেখার ভিড়ে শুবাচ জঞ্জাল হয়ে যাক— এটি শুবাচ কর্তৃপক্ষ চায় না।
৯. সম্পাদক ও সঞ্চালক: সম্পাদক ও সঞ্চালকগণ কোনো লেখা অনুমোদনে বা যযাতি প্রকাশে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করবেন। তাঁরা যযাতি অনুমোদনে সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনাবোধ প্রয়োগ করবেন।নীতিমালা অনুযায়ী শুবাচ গ্রুপে কোনো শেয়ার-পোস্ট অনুমোদন করা হয় না।
(খ) যযাতি (post) অনুমোদন নীতিমালা

‘শুবাচ’ যযাতি অনুমোদনে কঠোর নয়, কেবল সচেতন এবং যোগ্য যযাতি অনুমোদনে বেশ উদার। শুবাচের লক্ষ্য একটাই – যাতে যোগ্য যযাতিগুলো অযোগ্য যযাতির নিম্নে চাপা পড়ে বা হারিয়ে না যায়। কোনো অবস্থাতে ‘শুবাচ’ অযোগ্য যযাতি অনুমোদন করবে না। ব্যতিক্রান্ত ক্ষেত্র ছাড়া সাধারণ ও স্বাভাবিকভাবে শুবাচ গোষ্ঠীতে লেখা/যযাতি প্রকাশে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়:
১. শুদ্ধ বানান চর্চা ও বাংলা বানানে প্রমিত নিয়ম প্রয়োগে উৎসাহ প্রদান, শুদ্ধাশুদ্ধ চিহ্নিতকরণ, ভুল কিংবা যথেচ্ছাচার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসার ও সমৃদ্ধায়নে ভূমিকা রাখতে পারে কিংবা প্রচলিত ভুল ও শুদ্ধতা সম্পর্কে অভিজ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে ভুল থেকে উত্তরণের আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো লেখা/ ছবি/ ভিডিও;
২. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলা ভাষা সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে বা দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাভাষী ছাড়াও বাংলা ভাষা সম্পর্কে আগ্রহী বিদেশিদের বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা প্রদান করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা সম্পর্কে বিশ্বে শ্রদ্ধা ও ভক্তিমূলক অভিব্যক্তি সৃষ্টি করতে পারে এমন লেখা/ ছবি/ ভিডিও;
৩. যযাতি সাধারণত বাংলা ভাষায় লিখতে হবে। তবে যে সকল লেখা/ ছবি/ ভিডিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলা বানান কিংবা বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসার, মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক, কিন্তু লেখক বিদেশি বলে বাংলায় লিখতে পারছেন না– তা ইংরেজি ভাষায় লিখলেও প্রকাশ করা যেতে পারে;
৪. বাংলা শব্দের ব্যুৎপত্তিবিষয়ক বিবরণ, বাক্যে ব্যবহৃত পদের অর্থ, বাংলা বাক্যবিষয়ক বিবিধ বিশ্লেষণ, বাংলা ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম ও আকর্ষণ সৃষ্টিকারী মার্জিত কৌতুক, ছড়া, ছবি, ভিডিও প্রভৃতি শুবাচ গোষ্ঠীর জানালায় প্রকাশ করা হবে;
৫। কোনো সদস্য বাংলা বানান ও প্রমিত নিয়ম, বাক্যগঠন কিংবা শব্দচয়ন সম্পর্কে কোনো বিষয় জানার জন্য প্রশ্ন করতে পারেন। প্রশ্নের উত্তর সদস্যগণের যে কেউ দিতে পারবেন। তবে নিশ্চিত না-হয়ে স্বাভাবিক জানা থেকে উত্তর দেওয়া সমীচীন হবে না। শব্দের অর্থ জানার সময় তা যেন বাক্যের সঙ্গে দেওয়া হয়। কেননা, শব্দের

অর্থ বহুলাংশে বাক্যের উপর নির্ভরশীল।
৬। শুবাচ বাংলা বানান ও বাংলা ভাষা সম্পর্কে আলোচনা-পর্যালোচনার একটি শোভন ক্ষেত্র। যে সকল বিষয় এখানে বর্ণিত হয়নি সে সকল বিষয়ে কেউ কোনো লেখা/ ছবি/ ভিডিও প্রেরণ করলে অনুমোদন কমিটি যদি তা গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যের অনুকূল মনে করেন তাহলে প্রকাশ করার অনুমতি দিতে পারেন। এই বিষয়ে অনুমোদন কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
৭. লেখা প্রকাশে ব্যক্তি নয়, লেখার মানকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। কোনো যযাতির বিবরণ বা উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন কিংবা সংশয় অথবা আপত্তি দেখা দিলে তার জন্য লেখক সম্পূর্ণভাবে দায়ী থাকবেন। অন্য কারো লেখা প্রকাশের জন্য প্রেরণ করলে সংগৃহীত বা কৃতজ্ঞতা না দিয়ে মূল লেখকের নাম দিতে হবে।
৮. কারো লেখায় ভুল হতে পারে, মাতৃভাষা বলে ভুল হবে না তা ঠিক নয়। তাই ভুল বানানের যযাতিও শুবাচ জানালায় প্রকাশ করা হবে, কিন্তু ভুলের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় কিংবা তা দৃষ্টিকটু মনে হয় তাহলে তেমন যযাতি প্রকাশ করা হবে না।
৯. কমপক্ষে তিন মাস আগে অন্য কোনো গোষ্ঠী, পৃষ্ঠা (পেজ), পঠ (ব্লগ) বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এমন কোনো লেখা অবিকল নাম ও অভিন্ন বর্ণনায় শুবাচ গোষ্ঠীতে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করা হলে তা অনুমোদন করা হবে না। একই সঙ্গে, শুবাচ গোষ্ঠীতে প্রকাশিত কোনো লেখা প্রকাশের তারিখ থেকে

অন্তত পরবর্তী তিন মাস অতিক্রম না-হওয়া পর্যন্ত অবিকল নাম ও অভিন্ন বর্ণনায় অন্য কোনো গোষ্ঠী, পৃষ্ঠা, পঠ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। এই নিয়ম লঙ্ঘিত হলে তা অবগত হওয়া মাত্র প্রকাশিত যযাতি শুবাচ থেকে অবলুপ্ত করে দেওয়া হবে।
১০. রাষ্ট্রীয়, রাজনীতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, জাতিগত কিংবা অন্যভাবে ধর্মীয় বা রাজনীতিক বিরোধ বা বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে কিংবা অনুরূপ বিরোধ সৃষ্টি আশঙ্কা রয়েছে এমন কোনো লেখা/ছবি/ভিডিও প্রকাশ করা হবে না। যে সকল বিষয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুব্ধ করতে পারে বা যে যযাতি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিব্রত বোধ, মানহানিজনক পরিস্থিতি, ক্রোধ বা অন্য কোনো প্রকার অবাঞ্চিত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হয় তেমন লেখা প্রকাশ করা হবে না। তবে কবি-সাহিত্যিকের লেখার সমালোচনায় এটি প্রযোজ্য হবে না।
১১. কোনো পোস্ট বা যযাতিতে চার বা ততোধিক অ্যাডমিন ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় মন্তব্য করলে সেই পোস্ট বা যযাতিকে শ্রেষ্ঠ পোস্ট বা যযাতি বিবেচিত করা হবে। সকল অ্যাডমিন ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় মন্তব্য করলে তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ যযাতি বিবেচনা করা হবে।
(গ) যযাতি মুছে দেওয়া সম্পর্কিত নীতি

১. কোনো ভাগ করা যযাতি (শেয়ার করা পোস্ট) এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে কালার অপশনে লেখা কোনো লেখা অনুমোদন করা হবে না। কোনো মডারেটর অসাবধানতাবশত তা অনুমোদন করলেও পরে দেখামাত্র মুছে দেওয়া হবে।
২. যযাতিতে ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। ভুল থেকে ফুল। যযাতি লেখার করার পর যদি ভুল ধরা পড়ে কিংবা কেউ ধরিয়ে দেন, তাহলে ওই ভুল পোস্টদাতার নজরে আসার পর যথাসম্ভব দ্রুত সংশোধন করে দেওয়া উচিত। নইলে ওই পোস্ট মুছে ফেলা হবে।
৩ কোনো যযাতি (পোস্ট) অনুমোদনের পর যদি কোনো কারণে বিতর্কিত হয়ে ওঠে এবং তা শুবাচের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে হয়, কিংবা অন্য কোনো কারণে অপ্রয়োজনীয় বা মুছে দেওয়ার সমীচীন মনে হয় তাহলে তা সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে মুছে দেওয়া হবে। তবে মুছে দেওয়ার আগে তা শুবাচের প্রধান উপদেষ্টার

সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাঁকে পাওয়া না-গেলে শুবাচের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
৪. শুবাচ ‘বাংলা একাডেমি’ প্রণীত ‘প্রমিত বানান-রীতি’ অনুসরণ করে। কেউ সচেতনভাবে ‘বাংলা একাডেমি’ প্রণীত ‘প্রমিত বানান-রীতি-বিরুদ্ধ’ পোস্ট দিলে তা অনুমোদন করা হবে না। অসাবধানতাবশত অনুমোদন করা হলেও পরবর্তীকালে পোস্ট প্রদানকারীকে অপ্রমিত বা অশুদ্ধ বানান শুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে। তারপরও যদি শুদ্ধ না-করা হয় তাহলে ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হবে। তবে বাংলা বানান নিয়ে গবেষণামূলক লেখায় বানানের পরিবর্তন সম্পর্কিত ইতিবৃত্তমূলক বিষয় উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। অধিকন্তু, বাংলা একাডেমির বানানে কোনো সাংর্ঘষিকতা থাকলে তা তুলে ধরে প্রদত্ত কোনো তথ্যবহুল লেখা যথামর্যাদায় প্রকাশ করা হয়।
৫. অন্যের লেখা যযাতি প্রকাশের ক্ষেত্রে অবশ্যই লেখকের নাম উল্লেখ করতে হবে। ‘সংগৃহীত’ নামধারী লেখকের ( ? ) কোনো যযাতি অনুমোদন করা হবে না। অনবধানবশত কোনো সঞ্চালক এরূপ যাযাতি অনুমোদন করে ফেললেও দৃষ্টিগোচর হওয়ামাত্রই অবলুপ্ত করা হবে।
৬. যযাতিদাতার যে কাজের জন্য যযাতি মুছে দেওয়া হয়: বিষয়বস্তু সার্বিক বিবেচনা করে একটি যযাতি অনুমোদন করা হয়। অনুমোদনের পর যযাতিদাতা যযাতির মুদ্রণপ্রমাদ সংশোধন করতে পারেন। প্রারম্ভিক বিষয়বস্তু অবিকল রেখে যযাতির সংযোজন বিয়োজন পরিবর্ধন ও পরিমার্জনও তিনি করতে পারেন। কিন্তু যযাতিদাতা কোনো যযাতি অনুমোদনের পর যদি নতুনভাবে প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক কোনো চিত্র সংযোজন করেন কিংবা এমন কোনো লেখা যুক্ত করেন, যা অনুমোদিত যযাতির বিষয়বস্তু থেকে ভিন্নতর বা অন্য প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটায়, তাহলে ওই যযাতি কোনোরূপ অবহিতকরণ ছাড়া সঙ্গে সঙ্গে মুছে

দেওয়া হয়। অধিকন্তু, কোনো যযাতিতে মুদ্রণপ্রমাদ কিংবা বানান ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য যদি যযাতিদাতাকে অনুরোধ করা হয় এবং তিনি যদি পর্যাপ্ত ও যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে তা সংশোধন না করেন তাহলে ওই যযাতিও মুছে দেওয়া হয়।
(ঙ) সদস্য বহিষ্কার সংক্রান্ত বিষয়
১. শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) গোষ্ঠীর কোনো সদস্য নীতিমালা ভঙ্গ করলে তাঁকে বিবেচনা অনুযায়ী মৌন বা বহিষ্কার করা যাবে। তবে বিষয়টি শুবাচ সভাপতি কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্চালক পালন করবেন। বর্তমানে শুবাচ সঞ্চালক অধ্যাপক অনি এই দয়িত্ব পালন করছেন।
২. কোনো সদস্যকে একবার বহিষ্কার করা হলে তাকে পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের আওতাভুক্ত হয়ে যায়।
(চ) মন্তব্য (কমেন্টস)

১. কোনো যযাতির বিষয়ে অপ্রাসঙ্গিক, অশালীন, অশোভন বা উস্কানিমূলক কিংবা অন্যকে অপমান বা আহত করতে পারে এমন কোনো মন্তব্য করা হতে বিরত থাকতে হবে। এরূপ মন্তব্য করা হলে তা মুছে দেওয়া হবে এবং একাধিক বার অনুরূপ করলে ওই সদস্যকে শুবাচ হতে বহিষ্কার করে দেওয়া যাবে।
২. শুবাচ গোষ্ঠীর প্রশাসক ছাড়া অন্য কেউ মন্তব্যের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে শুবাচে এমন কোনো লিংক, ছবি বা তথ্য দেবেন না, যা শুবাচ ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ের প্রচারের উদ্দেশ্য সাঁটানো হয়েছে– এমন মনে করার যথেষ্ট কারণ থাকে। এরূপ মন্তব্য দেখামাত্র মুছে দেওয়া হবে। বার বার এরূপ করা হলে ওই সদস্যকেও বহিষ্কার করা যাবে। সঙ্গত, শুবাচের আপনা ওয়েবসাইট ( https://www.draminbd.com ) রয়েছে। সকল গুরুত্বপূর্ণ যযাতি সেখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কোনো জিজ্ঞাসামূলক যযাতির প্রেক্ষিতে দরকার পড়লে সেখান থেকে কিংবা শুবাচ থেকে লিঙ্ক উল্লেখ করা যাবে। পাশাপাশি প্রাসঙ্গিকতার বিচারে কোনো রাষ্ট্রীয় কিংবা সর্বজনীন প্রতিষ্ঠানের লিঙ্ক উল্লেখ করা যাবে।
(ছ) শুবাচ ও বাংলা একাডেমি
(জ) শুবাচের যযাতি ও ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ
শুবাচের জানালায় প্রকাশিত ও নির্বাচিত যযাতিগুলো লেখকের দেওয়া শিরোনামে অথবা উপযুক্ত শিরোনামে লেখকের নাম-সূত্র উল্লেখপূর্বক ছবিসহ (যদি পাওয়া যায়) শুবাচের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ( www.draminbd.com/ ) -এ সংরক্ষণ ও প্রচার করা

হবে। যদি সম্মানিত কোনো সদস্য মনে করেন, তাঁর যযাতি এভাবে সংরক্ষণ ও প্রচার করা যাবে না, তাহলে তিনি শুবাচে প্রকাশের জন্য কোনো যযাতি দেবেন না।যদি কোনো যযাতি প্রকাশের জন্য দেওয়া হয়, তাহলে ধরে নেওয়া হবে, এটি শুবাচের ওয়েবসাইটে প্রকাশের সম্মতি তাঁর রয়েছে। পরবর্তীকালে নীতিমালা ‘জানা-নেই’-বিষয়ক কোনো অজুহাত তোলা যাবে না।
(ঝ) কার্যক্রম
১. শুবাচের যাবতীয় কার্যক্রম শুবাচ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহ কমিটি ও কমিটির সভাপতির নেতৃত্ব এবং নির্দেশনায় সম্পাদিত হবে। তবে তা কার্যকর করার আগে প্রধান উপদেষ্টার অনুমতি গ্রহণ করা হবে। তিন দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অনুমতি প্রদান করতে কোনো কারণে সক্ষম না-হলে অনুমতি প্রদান করেছেন গণ্য করে তা কার্যকর করা যাবে।
২. শুবাচে প্রকাশিত প্রত্যেকটি লেখা শুবাচের নিজস্ব ওয়েব সাইটে সংগ্রহ করা হবে। এবং তা থেকে যোগ্যতানুসারে নির্বাচন করে পুস্তক প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অসম্পূর্ণ: ক্রমশ
গীতি ও সংগীত : নজরুলগীতি ও রবীন্দ্রসংগীতের পার্থক্য
প্রায়শ ভুল হয় এমন কিছু শব্দের বানান/২
প্রশাসনিক প্রাশাসনিক ও সমসাময়িক ও সামসময়িক
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১
কি না বনাম কিনা এবং না কি বনাম নাকি
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
ভূ ভূমি ভূগোল ভূতল ভূলোক কিন্তু ত্রিভুবন : ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
লক্ষ বনাম লক্ষ্য : বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন
ব্যাঘ্র শব্দের অর্থ এবং পাণিনির মৃত্যু
যুক্তবর্ণ সরলীকরণ আন্দোলন : হাস্যকর অবতারণা
রংপুরের আঞ্চলিক ভাষার কিছু শব্দ
করোনাভাইরাস : শব্দ অর্থ বিকাশ এবং ইতিবৃত্ত