Warning: Constant DISALLOW_FILE_MODS already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 102

Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/draminb1/public_html/wp-config.php on line 103
শুবাচ প্রায়োগিক বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান – Dr. Mohammed Amin

শুবাচ প্রায়োগিক বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান

ড. মোহাম্মদ আমীন

শুবাচ প্রায়োগিক বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান

সংযোগ: https://draminbd.com/শুবাচ-প্রায়োগিক-বাংলা-ও-স/

শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) থেকে শুবাচির প্রশ্ন শুবাচির উত্তর সমগ্র

শুবাচ -ওয়েবসাইট: www.draminbd.com
 
১. ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও’ কথাটা কোত্থেকে এসেছে? নাকে তেল দিলে কি ভালো ঘুম হয়?

“নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো” কথাটির আলংকারিক অর্থ দুশ্চিন্তাহীন নিদ্রা। এখানে তেল বলতে সরিষার তেলের কথা বুঝানো হয়েছে। আগেকার দিনে স্নানের আগে কানে, নাকে দু-এক ফোঁটা সরিষার তেল দেওয়া হতো। সরিষার তেলের অনেক রকম গুণ। সরিষার তেল নাসারন্ধ্রকে পরিষ্কার রাখে। ফলে প্রশ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া খুব মসৃণ হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত হয় না। সরিষার তেলে “গ্লুকোসাইনোলেট” নামে একটি রাসায়নিক উপাদান থাকে যা “মাইক্রোব” ও “ব্যাক্টেরিয়া” ধ্বংস করে। সর্দি লেগে নাক বদ্ধ হয়ে গেলেও, নাকে এই তেল দেওয়া হয় উপকার পাওয়ার জন্য। বলা বাহুল্য, খাঁটি সরষের তেলেই এই উপাদানটি থাকে।ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে কারো নাক বন্ধ হয়ে গেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটত অর্থাৎ ঘুম ভেঙে যেত । এই সমস্যার সমাধানের জন্য তখনকার চিকিৎসকগণ  ঝাঁঝাল গন্ধের সরিষার তেল নাকে দিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিতেন । ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট কমে যেত। ভালো ঘুম হতো।  দুশ্চিন্তামুক্ত ঘুমকে ইঙ্গিত করে দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন বোঝাতে কথাটি ব্যবহৃত হয়।  যেমন, “যাক, পরীক্ষা শেষ, এখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও। আর চিন্তা নেই, এবার নাকে তেল দিয়ে ঘুমাই।

২. করবো  করব; ধরবো  ধরব; আসবো আসব; দেখবো  দেখবসঠিক কোনটি?
 
করব, ধরব, আসব, দেখব শুদ্ধ। অর্থ বিভ্রাটের আশঙ্কা না থাকলে ক্রিয়াপদে অযথা ও-কার দেবেন না। অর্থ বিভ্রাটের আশঙ্কা থাকলে ওকার দেবেন। যেমন: হলো (হইল অর্থে), মতো ( অভিন্নতা প্রকাশে), হত( মৃত অর্থে)। তবে অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়ায় ও-কার দেওয়া হয়। যেমন: এক্ষুনি বলো। আমার সঙ্গে স্কুলে চলো।
 
৩. কেঁচে গণ্ডূষ কথার অর্থ কী?
‘কেঁচে গণ্ডূষ’ কথার অর্থ নতুন করে পুনরায় শুরু করা। কেঁচে <কাঁচিয়া=ভণ্ডুল। গণ্ডূষ অর্থ  খাওয়া শুরু করার পূর্বে হিন্দুরা হাতে একটু জল নিয়ে ইষ্ট দেবতাকে স্মরণ করার পর সেই জলটি গ্রহণ করে আহার পর্ব শুরু করে। গণ্ডূষের অর্থ অঞ্জলি ভরা জল। কোনো কারণে আহার পর্ব শুরু করার পর যদি বিঘ্ন ঘটে তখন পুনরায় গণ্ডূষ করে আহার পর্ব শুরু করতে হয়। একেই ‘কেঁচে গণ্ডূষ’ বলে। অন্যান্য অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এরকম ঘটলে পুনরায় প্রথম থেকে শুরু করতে হয়। এটাই ‘কেঁচে গণ্ডূষ’। হিন্দু শাস্ত্রমতে পুজা বা মন্ত্র পাঠ করে পবিত্র (গণ্ডূষ) হয়ে পুনরায় কাজ আরম্ভ করতে হয় আর এই আচরণ থেকেই কেঁচে গণ্ডূষ বাগধারার উৎপত্তি।
 
 
৪. কোমা এবং কোমায় চলে যাওয়া মানে কী?
 
কোমা, ব্যক্তি বা প্রাণীর এমন একটি গভীর অচেতন অবস্থা যেখান থেকে জাগানো সম্ভব হয় না। ওই অবস্থায় থাকা কেউ ব্যথায় কোনো উদ্দীপনা কিংবা আলো বা শব্দের উপস্থিতি-অনুপস্থিতে কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে পারে না। কোনো ব্যক্তির এমন অবস্থায় অবস্থানকে কোমায় চলে যাওয়া বলে। কোমায় থাকা ব্যক্তির স্বাভাবিক ঘুমচক্র থাকে না। কোমা শুধু অসুস্থতার কারণে বা প্রাকৃতিক কারণে নয়: চিকিৎসার অংশ হিসেবে কৃত্রিমভাবেও সৃষ্টি করা হতে পারে।
মাথার বাইরে অথবা ভেতরে কিংবা উভয় দিকে আঘাত প্রাপ্ত হওয়া, মস্তিষ্কের যেকোনো ধরনের রোগ, শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, তীব্র ভয় পাওয়া, উদ্‌বিগ্নতা, যেকোনো ধরনের স্ট্রোক, প্রচণ্ড আঘাত পাওয়াসহ অন্যান্য কারণে যখন কেউ গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় অথবা অচেতন হয়ে যায় তখন এই তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কোমায় চলে যাওয়া বলা হয়ে থাকে। কোমা এমন একটা অবস্থা যেটা রোগীর মানসিক নিয়ন্ত্রণকারী সত্তাকে জাগতিক ও বাস্তবতা থেকে অবচেতম জগতে নিয়ে যায়। যেহেতু এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে যায় তাই এখানে চলে যাওয়া কথাটার ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
 
 
৫. ‘ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না’ প্রবাদ বাক্যটির মর্মার্থ কী?
কথাটির আলংকারিক অর্থ বুঝেও না বোঝার ভান করা, ভণ্ডামি করা, জেনেও না জানার অজুহাত উপস্থাপন করা। ভাজা মাছ উলটে খাওয়া সহজ কাজ। যে-কেউ এটি পারে। কিন্তু যখন কেউ এমন ভান করে যে সহজ কাজটি পারে না বা  পারলেও নিজেকে নিরীহ প্রমাণের জন্য না-জানার বা না পারার অজুহাত তুলে নিষ্ক্রিয় থাকে তখন তাকে উদ্দেশ করে কথাটি বলা হয়। এটি একটি নেতিবাচক কথা। কারো থালায় খাবার হিসেবে মাছ দেওয়া হলো। ভোজক এমন ভান করে  আছে যে মাছের এক পাশ খাবার পর আরেক পাশ উল্টালেই যে একই আরেকটি পাশ পাওয়া যাবে, সে তা না-জানার ভান করে এড়িয়ে যায়।এর উদ্দেশ্য থাকে নিজেকে ভালো, নিরীহ, সহজসরলভাবে উপস্থাপন করে অন্যের সহানুভূতি আদায়ের প্রয়াস। যদিও তা শেষ পর্যন্ত অপপ্রয়াস হিসেবে চিহ্নিত হয়। 
 
৬. কিভাবে না কি কীভাবে?
কি এবং কী এ দুটির পার্থক্য থেকেই এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।  হ্যাঁ বা না দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া গেলে ‘কি’ হয়। অন্যসব ক্ষেত্রে লেখা হয় ‘কী’। ‘কীভাবে’ কথার সঙ্গে যুক্ত বিষয়ের উত্তর হ্যাঁ বা না দিয়ে দেওয়া যায় না। তাই ‘কীভাবে’ শুদ্ধ। আবার ‘কি ভাবে’, ‘কী ভাবে’ এগুলোও শুদ্ধ। যেমন
সে কী ভাবে? ( What does he think?)
সে কী ভাবে? (Does he think?)
সে কীভাবে এটা করল? (How did he do it?)
 
৭. ‘মাৎসন্যায়’ শব্দটা শুনি।কিন্তু এর অর্থ কী?
‘মাৎস্যন্যায়ম’ শব্দটি সংস্কৃত। যার অর্থ- বড়ো মাছ যেভাবে ছোটো মাছকে খেয়ে ফেলে। পাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রাজা গোপাল ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় ২০০ বছর পূর্বেকার কোন ইতিহাস জানা যায় না। যতটুকু জানা যায়, ওই সময় দেশে চরম অরাজকতা বিদ্যমান ছিল। তখন জোর যার মুল্লুক তারথঅবস্থা বিরাজ করছিল। ছোটো মাছ বড়ো মাছকে খেয়ে পুষ্ট হওয়ার মতো আরাজকতা চলছি। ইতিহাসে সেই সময়কে ‘মাৎস্যন্যায়ম’ বলে।
 
৮. ভিক্ষা চায় না, কুত্তা সামলাওএকথার ব্যাখ্যা জানতে চাই।
ভিক্ষে করতে এসে গৃহস্থের কুকুরের পাল্লায় পড়ে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন ভিক্ষুক ভিক্ষার প্রত্যাশা ত্যাগ করে নিজেকে কুকুরের আক্রমণ হতে রক্ষা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন তার মনে ধ্বনিত হয়, “ভিক্ষা চাই না, কুত্তা সামলাও”। অর্থাৎ, লাভের উদ্দেশ্যে গিয়ে যখন দেখে আসলটাও যাচ্ছে, কিংবা প্রাপ্তির চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি; তখন লাভ নয়,  আসলটা রক্ষা করাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।  কেউ যখন কারো কাছে উপকারের প্রত্যাশায় গিয়ে তার কাছে অপকারের আশঙ্কায় পড়ে যায় তখন কথাটি বলা হয়।
 
৯. নন-ফিকশন এর বাংলা প্রতিশব্দ কি হবে?
সাহিত্যের যে সকল অংশ কাল্পনিক নয়; সাধারণত রচনা, জীবনী, আত্মজীবনী প্রভৃতি ইংরেজিতে নন-ফিকশন নামে পরিচিত।  অনেকের মতো, এরকেম লেখা সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত।। তাই এর বাংলা হতে পারে তথ্যসাহিত্য। অনেকে বলেন, নন-ফিকশন বাস্তব ঘটনা নিয়ে রচিত সাহিত্য। তাই নাম হতে পারে বাস্তবধর্মী। শুবাচি মোহাম্মদ মামুন মিয়ার মতে নন-ফিকশন শব্দের পরিভাষা নিষ্কল্প।  শুবাচি জনাব মেহেদি হাসানের ভাষায়, Fiction এর বাংলা করা হয়েছে কথাসাহিত্য। তাই একটু ভেবেচিন্তে নন-ফিকশনের জন্য বলতে পারি অকথ্যসাহিত্য।
 
১০. কোন অর্থ নৈকট্যের জন্য “পাগল-ছাগল” শব্দদ্বয়কে পাশাপাশি বলা হয়ে থাকে?
কাউকে বোধহীন, এলোমেলো, উন্নাসিক বোঝাতে এই কথাটি ব্যবহৃত হয়। পাগল আর ছাগলকে নির্বোধ মনে করে এমন উক্তির সৃষ্টি করা হয়েছে।  ধারণা করা হয় গৃহপালিত পশুদের মধ্যে ছাগল বুদ্ধিহীন। অনুরূপ বুদ্ধিহীন হচ্ছে পাগল। তখনকার লোকের ধারণা ছিল মানুষ পাগল হয়ে গেলে ছাগলের মতো বুদ্ধিহীন হয়ে যায়।
 
১১. ব্যবহার আর ব্যবহৃত শব্দ দুটির সঠিক ব্যবহার জানতে চাই।
ব্যবহার শব্দটি বিশেষ্যপদ। যেমন:  আমরা লেখার জন্য কলম ব্যবহার করি।  ভদ্র ব্যবহার সুশিক্ষার পরিচায়ক। ব্যবহৃত বিশেষণপদ। যেমন: অপরের ব্যবহৃত চিরুণী,গামছা ব্যবহার করা অনুচিত। তোমার ব্যবহার এত খারাপ কেন? কারো ব্যবহৃত মাস্ক কখনো ব্যবহার করবে না।
 
 
১২. দিবাগত’ শব্দটি কী অর্থ প্রকাশ করে?
 
দিবাগত অর্থ ১. দিবা+গত। শুক্রবার দিবাগত রাত বলতে শুক্রবার দিন গত হওয়ার পর যে রাত আসে  সে রাতে। মধ্য রাতের পর শনিবার এসে যায়। দিবা অর্থাৎ দিবস। তাই দিবস গত হবার পর যে রাতের শুরু তাই ‘দিবাগত’ রাত। অর্থাৎ, দিন শেষে যে রাত আসে সেটাই দিবাগত রাত। দিনের শুরু হয় সূর্যোদয় থেকে এবং দিনের ১ম অর্ধাংশ দিন আর শেষ অর্ধাংশ রাত। তাই দিবাগত রাতের অর্থ সহজেই অনুমেয়। সোমবার দিবাগত রাত মানে সোমবার দিনের অংশ গত হওয়ার পরে যে রাত অর্থাৎ মঙ্গল বার এর ঊষা উদিত হওয়ার আগের রাত ।দিবা বা দিন দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। একটি হলো পুরো ২৪ ঘণ্টা অর্থে; অন্যটি শুধু সূর্যের আলো থাকাকালীন সময় বোঝাতে। দিবাগত শব্দটিতে সূর্যের আলো বোঝানো হয়েছে। দিবাগত রাত হলো দিনের পর যে রাত আসে। খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী রাত ১২ টায় নতুন দিন শুরু হয়। কিন্তু তখন সূর্যের আলো থাকে না। পরে ভোরবেলায় সূর্য উঠে। এরপর আবার সন্ধ্যার সময় অস্ত যায়। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২ টার পূর্ব পর্যন্ত (অর্থাৎ নতুন দিন শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত) হলো ওই তারিখের দিবাগত রাত। অর্থাৎ এই রাতটি দিনের পর আগমন করে।
 
 
১৩. উৎস ও উৎপত্তি বনাম ব্যুৎপত্তি জানতে চাই।
 
সংস্কৃত উৎস অর্থ (উ্‌+স) অর্থ উৎপত্তিস্থল, আদিকারণ; প্রস্রবণ, ঝরনা, ফোয়ারা প্রভৃতি। যেমন:
জলাশয় মাছের উৎস। চাঁদ শব্দটির উৎস সংস্কৃত। বাক্‌স্বাধীনতা জ্ঞানের উৎস। বিশ্বাস কুসংস্কারের উৎস।
সংস্কৃত উৎপত্তি (উৎ+√পদ্‌+তি) অর্থ— (বিশেষ্যে) উৎস, উদ্ভব, শুরু, জন্ম, সূচনা, প্রকাশ, অভ্যুদয়। যেমন:
বিশ্বের উৎপত্তি, প্রাণের উৎপত্তি, পানির উৎপত্তি, মানুষের উৎপত্তি, ভাষার উৎপত্তি, রাষ্ট্রের উৎপত্তি, বিজ্ঞানের উৎপত্তি, ধর্মের উৎপত্তি, বাংলাদেশের উৎপত্তি, সাগরের উৎপত্তি; অগ্নিপরীক্ষা কথার উৎপত্তি, ব্যাকরণের প্রভৃতি।
ব্যুৎপত্তি মূলত একটি ব্যাকরণিক শব্দ।বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান মতে ব্যুৎপত্তি (বি+উদ্‌+√পদ্‌+তি) অর্থ (ব্যা.) প্রকৃতি-প্রত্যয়াদি বিশ্লেষণদ্বারা শব্দের গঠনবিচার’; যেমন:
অগ্নিপরীক্ষা শব্দের ব্যুৎপত্তি— [স. অগ্নি+পরীক্ষা]’;
ব্যুৎপত্তি শব্দের ব্যুৎপত্তি—[স. বি+উদ্‌+√পদ্‌+তি];
প্রত্যেক শব্দের ব্যুৎপত্তি— [স. প্রতি+এক];
ব্যূহ শব্দের ব্যুৎপত্তি— [স. √বি+ঊহ্‌+অ]।
মনে রাখুন, য-ফলা পরের বিষয়। ভাষার উৎপত্তির পর শব্দের ব্যুৎপত্তি। তাই উৎপত্তিতে য-ফলা নেই, ব্যুৎপত্তিতে আছে।

 ১৪. নিচ নীচ বনাম নিচ নিচে
‘নীচ’ আর ‘নিচ’ শব্দকে অনেকে অভিন্নার্থক মনে করেন। প্রকৃতপক্ষে শব্দ-দুটো ভিন্নার্থক। ‘নিচ’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ (under)। স্থান-জ্ঞাপক এই (নিচ) শব্দটি ‘উর্ধ্ব/ ঊর্ধ্ব’ শব্দের বিপরীত তথা ‘নিম্ন’ অর্থ প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন— (১) ভবনের নিচে লাশের স্তূপ। (২) জাফর সাহেব আমাদের নিচ তলায় থাকেন।(৩) নিচু ক্লাশের শিক্ষার্থীরা দুষ্টোমিতে ওস্তাদ। (৪) পাহাড়ের নিচে শীতল জল, আনতে হবে নিচে চল।
অন্যদিকে ‘নীচ’ শব্দটি হীন, ইতর, নিকৃষ্ট, অবহেলা, অবজ্ঞা ইত্যাদি অর্থ প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন— (১) সন্তান হয়ে মায়ের গায়ে হাত তুললে, তুমি এত নীচ! (৩) নীচু জাত বলতে কিছু নেই, নীচ কর্মই মানুষকে উঁচু-নীচু করে।(৩) নিচ তলায় থাকা মানে নীচ তলায় থাকা নয়।

 
১৫. ‘যুগ্ম’ এই শব্দটির সঠিক উচ্চারণ কী: হবে যুগ-ন নাকি যুগ-ম?
 
শব্দটির প্রমিত উচ্চারণ: যুগ্‌মো। গ-যে ম যুক্ত হলে ম-এর উচ্চারণ সাধারণত অক্ষুণ্ন থাকে। যেমন: বাগ্মী।
 
সূত্র:

অভিধান ও বাংলা বানানবিধি লিংক

বাংলা অভিধান ও বাংলা বানানবিধির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লিংক এখানে দেওয়া হলো। নিচের লিংকসমূহে ক্লিক করলে বাংলা একাডেমির সর্বশেষ সংশোধন করা বাংলা বানানসমূহ পাওয়া যাবে। জানা যাবে বাংলা একাডেমি কেন এবং কোন বিধানের বলে কীভাবে বানানগুলো সংশোধন করেছে।
 

শুবাচ প্রমিত বাংলা বানান অভিধান, বাংলা একাডেমির সর্বশেষ সংশোধিত বানান-সহ

বাংলা অভিধান ও বাংলা বানানবিধির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লিংক

 

এক মিনিট সময় দিন বানানগুলো শিখে নিন