ষাঁড় ও স্যার

ষাঁড় ও স্যার

রাশিদা আকতার মিশু

সাধারণভাবে ‘স্যার’ মানে জনাব। শিক্ষক আর সম্মানিত গুরুজনদের সম্মান করে ‘স্যার’ ডাকা হয়। তবে, ব্রিটিশ গোলামির স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশের রানি প্রদত্ত আর একটি ‘স্যার’ আছে। নাইট উপাধি পেলে ব্রিটিশ নাগরিকগণ স্যার লিখতে পারেন নামের আগে। রবীন্দ্রনাথও ‘স্যার’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন, পরে জালিয়ানওয়ালাবাগ’ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পরিত্যাগ করেছিলেন।
ব্রিটিশ রাজা-রানির উপাধিধারী ‘স্যার’কে অনেকে ‘সার’ও বলেন। কেননা, এদের মাধ্যমে উপাধি প্রদানকারী প্রভুরা তাদের উন্নয়ন খেতকে উর্বর করে । এ যেমন— গোবর সার।
এ ‘স্যার’ সম্মানের জন্য দেওয়া হয় না, বরং অসম্মানজনকভাবে গোলামি করার জন্য দেওয়া হয়। যারা ব্রিটিশের গোলামিতে যত নত হয় তারা তত তাড়াতাড়ি ‘স্যার’ মানে ‘ষাঁড়’ বা ‘সার’ উপাধিতে ভূষিত হয়। উপনিবেশে আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত দেখুন, বুঝতে পারবেন।
১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জ, স্ক্রনেলশন্ নামের এক যুদ্ধ-জাহাজের একটি কুকুরকে স্যার উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্য। এরপর কুকুরটির নাম হয় স্যার উইলিয়াম।
বিডিনিউজ২৪ ডটকমে জনাব আশরাফুল আলম লিখেছেন,ব্র্যাক চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ আমাদের গর্ব নিঃসন্দেহে। তবে নামের আগে স্যার উপাধি কতটা সন্মানজনক তা ভাববার বিষয়। যেখানে তিনি এই উপাধি কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারেন না। ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু এবং অসম্মানজনক। কারণ যতবার ব্রিটিশরা এই ধরনের খবর দেখছে ততবার আমাদের নিয়ে উপহাস করছে। মনে মনে হলেও।
আসুন জেনে নিই, স্যার উপাধি কীভাবে পায় আর এর ব্যবহার কীভাবে বা কারা করতে পারেন। ব্রিটিশ সরকার ১৩৪৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য নাইট উপাধি ঘোষণা করে। প্রথমে সেনাবহিনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ক্রমে এই উপাধি অন্যান্য সাধারণ মানুষের মাঝেও বিতরণ শুরু হয়। পাঁচটি ভিন্ন উপাধির মাধ্যমে স্যার শব্দটার ব্যাবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। অর্থাৎ আপনি যদি নাইট উপাথি পান তবে আপনার নামের আগে ‘স্যার’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে ব্রিটিশ নাগরিক হতে হবে। আপনি যদি অন্য-কোনো দেশের নাগরিক হন এবং নাইট উপাধিতে ভূষিত হন তবে আপনি ‘স্যার’ শব্দটি নামের আগে ব্যাবহার করতে পারবেন না। তবে চাইলে আপনি কে বি ই ইংরেজির এই তিনটি শব্দ ব্যবহার করতে পারেন।”
ব্রিটিশ রানি প্রদত্ত ‘স্যার’ অর্থ— বলদ এবং এসব বলদের কাজ হলো হালটানা। এই বলদদের দিয়ে প্রভু ব্রিটিশেশ্বর ঔপনিবেশিক আমলে, এমনকি এখনও তাদের স্বার্থে হাল টানিয়ে নিচ্ছে, চতুষ্পদ জন্তর মতো। ব্রিটিশ প্রভুর বলদ উপাধি পেয়ে উপাধিধারী মানুষগুলো সত্যি সত্যি বলদের মতো মোটাতাজা হওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়। এটি অনেকটা কোরবানির গোরু মোটাতাজা করার মতো— মোটা হলে বিক্রি বা জবাই। কী মজা! কেবল দু-অক্ষরের একটি শব্দ দিলেই হলো।
এই ‘স্যার’ ‍উপাধি পেলে বাঙালি মনে করে ইশ্বরের তাজ পেয়েছে এবং অন্যরা মনে করে এমন ইশ্বরতাজপ্রাপ্ত বাঙালি. প্রভুর খাস বান্দা হয়ে গেছে।সবাই ব্রিটিশ-বলদকে পুজো করা শুরু করে। ব্রিটিশ প্রভু হাসে— বলদদের কাণ্ড দেখে। কী সহজ কৌশলে ব্রিটিশ, তার উপনিবেশের বড়ো শিংওয়ালা ষাঁড়গুলোকে ‘স্যার’ নামের রশি দিয়ে বেঁধে বলদ বানিয়ে হাল টানিয়ে নিত এবং এখনো নিচ্ছে।
————————————–

বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১

কি না  বনাম কিনা এবং না কি বনাম নাকি

মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন

ভূ ভূমি ভূগোল ভূতল ভূলোক কিন্তু ত্রিভুবন : ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ

মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১

দৈনন্দিন বিজ্ঞান লিংক

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৩

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৪

কীভাবে হলো দেশের নাম

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র/১

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র/২

মন্তব্য: 

Rohan Ferdous শুনেছি, তীব্র শীত নাকি মস্তিষ্কবিকৃতিরও কারণ হয়।

নুরুজ্জামান আকন্দ মানিক আমিন স্যার এই দালালকে প্রশ্রয় দেন।
Syed Ashique Mahmood একশ ভাগ সহমত।কতিপয় পাগল ছাগল আপনার সমালোচনায় ভ্যা ভ্যা করছে! ওরা হল আবেদের মত গোলামের পা চাটা গোলাম।
এস এম তন্ময় Rashida Akter Mishu আপনার মত ভন্ড যারা তারা নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখে ! ছেলে হয়ে মেয়ের পরিচয় ধারণ করেন লজ্জা করে না ! আবার সমাজে আসেন জ্ঞানের পসরা বিলাতে ?
Fazlul Karim Rashida Akter Mishu এর বিতর্কিত লেখাটি অবিলম্বে জ্ঞানচর্চামূলক এ পেজটি থেকে ডিলিট করার জন্য এ গ্রুপের সম্মানিত এডমিন / এপ্রুভারগনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিশেষকরে আমার অনুজ সহকর্মী ড. মোহাম্মদ আমীনকে।

Novaak Alamin ড. আমীন স্যার চাটুকারিতা খুব পছন্দ করেন, এমনটাই মনে হচ্ছে। কারণ! Rashida Akter Mishu, এই মেয়েটা এর আগেও অনেকবার গ্রুপে বিতর্ক তৈরি করেছে। ধর্ম নিয়ে যাচ্ছেতাই ভাষা ব্যবহার, প্রখ্যাত লেখকদের নিয়ে মনগড়া কথা বলা ইত্যাদি। আমীন স্যার এ ব্যাপারে অবগত আছেন। কারণ, তিনি নিজেও বিতর্কিত পোস্ট মুছে দিয়েছেন। তবে কেন এর প্রতিবিধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি? মেয়েটাকে দেখা গেছে আমীন স্যারের বইয়ের বিজ্ঞাপন দিতে, সেটা কি চাটুকারিতা ছিল? মেয়েটার এক মন্তব্যে অন্য একজন আক্রমণাত্মক প্রতিমন্তব্য করলে সেই ‘অন্য একজন’কে গ্রুপ থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। প্রশ্ন তৈরি হয়; তিনি কি প্রশাসকবৃন্দের মনোনীত চাটুকার!

কারো মেম্বারশিপ নিয়ে প্রশ্ন নেই। সেটা প্রশাসকবৃন্দ বুঝবেন। কিন্তু অযোগ্য পোস্ট কেন অ্যাপ্রুভ হবে? চাটুকারিতা ভালো লাগে?

নুরুজ্জামান আকন্দ মানিক আগে দালালি করেন।পরে হাঁচি দিলেও গ্রুপে প্রকাশ করতে পারবেন।
এস এম তন্ময় নুরুজ্জামান আকন্দ মানিক এই হিজড়ার আইডি এখানে খুঁটি হয়ে থাকার একটাই কারণ এইটা #ডক্টর আমিন সাহেব নিজে মুখে যা বলতে পারেন না , ফেক মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তা বলতে পারেন ! নইলে এই পুরুষ রুপি ( থু ) হিজড়া এখানে জায়গা পেত না !
নুরুজ্জামান আকন্দ মানিক আমিন স্যার এই দালালকে প্রশ্রয় দেন।
Emran Mohammad Khan অনেকের পশ্চাৎদেশে আগুন জ্বললেও আপ্নার লেখার সাথে আমি সহমত জ্ঞাপন করছি।
Language
error: Content is protected !!