ড. মোহাম্মদ আমীন
সমবাহু শব্দের বিপরীত ‘বিসমবাহু’ না হয়ে ‘বিষমবাহু’ হওয়ার কারণ
ষত্ব বিধান অনুসারে উপসর্গ-সাধিত হওয়ার একটি নিয়মের জন্য সমবাহু শব্দের বিপরীত শব্দ ‘বিসমবাহু’ না হয়ে ‘বিষমবাহু’ হয় ।

‘বি’ একটি ‘ই-কারান্ত’ উপসর্গ। অর্থাৎ, এখানে বি= ব্+ই ব্যাকরণিক নিয়মানুসারে ‘ই-কারান্ত’ বা ‘উ-কারান্ত’ উপসর্গের পরে ‘দন্ত্য- স’ থাকলে সেটি পরিবর্তিত হয়ে ‘মূর্ধন্য- ষ’ হয়ে যায়। যেমন:
বি+সমবাহু = বিষমবাহু।
সু+সম = সুষম।
অভি+সেক = অভিষেক।
অনু+সঙ্গ = অনুষঙ্গ।
প্রতি+স্থান = প্রতিষ্ঠান (এটিতে আবার ধ্বনির সমীকরণঘটিত কারণে ‘থ’-কে ‘ঠ’ করা হয়েছে)।
তবে সবসময় নিয়মটি প্রযোজ্য হয় না। এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন :
বি+সদৃশ = বিসদৃশ।
সু+সংবাদ = সুসংবাদ।
সংশ্লিষ্ট উপসর্গটি যদি ‘ই-কারান্ত’ বা ‘উ-কারান্ত’ না হয় (‘অ/আ-কারান্ত’ ইত্যাদি) তবে সেক্ষেত্রে ‘দন্ত্য -স’ হবে। যেমন :
অ+সম = অসম।যথা+স্থান = যথাস্থান।
ক্রিসপি আরিফ
‘এ’-ধ্বনি বনাম ‘অ্যা’-ধ্বনি
《》’এ’ এবং ‘অ্যা’ (a) উভয় ধ্বনি উচ্চারণের প্রেক্ষিতে বাংলা ও তত্সম শব্দে সাধারণভাবে ‘এ’/’এ-কার’ দিয়েই লিখতে হবে। যেমন-
¤ ‘এ’-ধ্বনি উচ্চারণের ক্ষেত্রে : ‘এবং’, ‘বেতন’, ‘দেখি’, ‘খেলি’, ‘যেগুলো’, ‘দেশ’, ‘কেনো’ (ক্রয় কর) ইত্যাদি।
¤ ‘অ্যা’ (A)-ধ্বনি উচ্চারণের ক্ষেত্রেও : ‘খেলা’, ‘দেখা’, ‘মেলা’, ‘যেন’, ‘কেন’ (Why) ইত্যাদি।
《》বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ধ্বনি অনুসারে ‘এ’ অথবা ‘অ্যা’ বসবে। যেমন-
¤ ‘অ্যা’ (A)-ধ্বনির মত উচ্চারণের ক্ষেত্রে : ‘অ্যাকাউন্ট’, ‘ম্যানেজার’, ‘ব্যাংক’ ইত্যাদি।
¤ যেটি ‘ই’-ধ্বনির কাছাকাছি, অনেকটা ‘এ’-ধ্বনির উচ্চারণের মত বা সরাসরি ‘এ-ধ্বনির মত সেক্ষেত্রে : ‘একজ্যাক্টলি’, ‘এবাদত’, ‘এশায়াত’, ‘মে মাস’, ‘লেবার’ ইত্যাদি।
(‘লেবার’-এ ‘La’ হলেও উচ্চারণ ‘Le’-এর মত)।
《》কিছু তদ্ভব বা বিশেষ দেশি শব্দ রয়েছে যেগুলো সরাসরি ‘অ্যা’ ধ্বনিতেই বানান করা হবে। যেমন-
‘ব্যাঙ’, ‘ল্যাঠা’, ‘ট্যাংরা’, ‘ঠ্যাং’ ইত্যাদি।
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/২
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন /৩
ইউরোপ মহাদেশ : ইতিহাস ও নামকরণ লিংক
কি না বনাম কিনা এবং না কি বনাম নাকি
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
ভূ ভূমি ভূগোল ভূতল ভূলোক কিন্তু ত্রিভুবন : ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন