‘সাধের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী’ সিলেট অঞ্চলের গান। এর প্রথম চার লাইন বহুকাল পূর্ব হতে সিলেটে সাধারণ মানুষের মুখে গাওয়া হতো। তবে রচয়িতা কে জানা যায়নি। অনেকে অনেক চেষ্টা করেও গানের বাকি লাইনগুলোও সংগ্রহ করতে পারেননি। যে চার লাইন প্রথম হতে সবার জানা ছিল সে চারটি লাইন হচ্ছে :
সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী
লাউয়ের আগা খাইলাম,
ডোগা গো খাইলাম
লাউ দি বানাইলাম ডুগডুগী ।
সিলেটে একটি গানের অনুষ্ঠানে গানটির বাকি আট লাইনে লেখা হয়। ওই অনুষ্ঠানে সিলেটের দুই গীতিকার কবি গিয়াসউদ্দিন ও ব্রাক্ষণ রাজবেরী চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।ব্রাক্ষণ রাজবেরী চক্রবর্তী ছিলেন পণ্ডিত রামকানাই দাশের গুরু। ‘সাধের লাউ’ গানটি সম্পূর্ণ করার জন্য তাঁরা আলোচনায় বসে গেলেন। আলোচনার মাঝে কবি গিয়াসউদ্দিন ‘সাধের লাউ’ গানের পরবর্তী তিন লাইন লিখে ফেলেন :“লাউয়ের এত মধু জানে গো যাদু, (এত মধু গো) লাউ ধরলাম সঙ্গের সংগী। ”
ততক্ষণে ব্রাক্ষন রাজবেরী চক্রববর্তীও চার লাইন লিখে ফেলেন :“আমি গয়া গেলাম কাশী গো গেলাম, ( গয়া গেলাম গো) সঙ্গে নাই মোর বৈষ্ণবী ।”রাজবেরী চক্রবর্তী গানটির প্রথম সুর করেন, তবে তেমন আকর্ষণীয় না-হওয়ায় আরও সুন্দর সুর তৈরির চেষ্টা চলে। পন্ডিত রামকানাই দাশ একটি সুর দেন ।
রামকানাই দাশের দেওয়া সুরটি মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট শিল্পী ও সুরকার বিদিত লাল দাস কিছুটা পরিমার্জিত করেন। বর্তমানে রামকানাই দাশ ও বিদিত লাল দাসের পরিমার্জিত সুরে গানটি গাওয়া হয়।
গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক :
মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণ ও ঐতিহ্য
হাতিয়া উপজেলার নামকরণ ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পটুয়াখালী আগুনমুখা নদীর নামকরণ
ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও ইউনিয়নসমূহের নামকরণ
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভুল আর ভুল
তৈরি তৈরী দুঃসংবাদ