ড. মোহাম্মদ আমীন
সোনালী ব্যাংকের সোনা রঙের সোনালি ভবনে ঢুকে রুপালি জামা পরিহিত মামুদ মিয়া কাচ-ঢাকা রুপালী ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে অবাক। অবাক হওয়ার কারণ আছে। শিক্ষক বলেছিলেন, “সব –আলি বানানে ই-কার।” তাহলে ব্যাংক –আলি বানানে ঈ-কার দিয়ে ভুল করল কেন? ব্যাংকের লোকজন কি লেখাপড়া করেনি? না কি টাকা থাকলে ধনীর ঈ-কার দিতে হয়? ”
ডানদিকে ইসলামী ব্যাংক দেখে ইসলামি আদর্শের অনুসারী মামুদ মিয়ার মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল। ইসলামি বিদেশি শব্দ হলেও ইসলামী ব্যাংক বানানে ম-য়ে ঈ-কার দেখা যাচ্ছে।
অথচ গ্রন্থে আছে—বিদেশি শব্দের বাংলা বানানে ঈ-কার হয় না।
ব্যাংকের লোকজন বাংলা বানানে এত কাঁচা!
এত পচা?
মামুদ মিয়া মতিঝিল থেকে বাংলা একাডেমি গিয়ে মহাপরিচালককে বললেন, এসব কী দেখছি?
কী?
ব্যাংকগুলো বাংলা বানানে এত ভুল করছে আর আপনি বসে বসে দেখছেন, কারণটা কি বলেবেন?
মহাপরিচালক বললেন, মামুদ সাহেব, নামে কোনো ভুল নেই।
লিখব কীভাবে?
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেমন বানান করে, কিংবা যেভাবে নিবন্ধিত হয়েছে অবিকল তেমন লিখতে হবে। যেমন: বিষাদ সিন্ধুর লেখক, মশাররফ হোসেন। তাঁর নাম মশাররফ হোসেনই শুদ্ধ। অন্যরকম লিখলে ভুল হবে। বন্দ্যোপাধ্যায় বানানের ন্দ-য়ে য-ফলার উচ্চারণ নেই। তু দিতে হবে।
শুবাচ গ্রুপ এর লিংক: www.draminbd.com