কীভাবে হলো দেশের নাম (এশিয়া)
ড. মোহাম্মদ আমীন
সৌদি আরব (Saudi Arabia)
বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন রহমান আল সাউদ বা ইবনে সাউদকে সাউদি আরবের নামের উৎপত্তি। তাকে সাউদি জাতির পিতা বলা হয়। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে সৌদি আরবের বাদশা ঘোষণা করে।
সৌদি আরব মূলত চারটি সতন্ত্র অঞ্চল হেজাজ, নজদ, আল হাসা পুর্বাঞ্চলীয় আরব এবং আসির দক্ষিণাঞ্চলীয় আরব নিয়ে গঠিত। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরব সা¤্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দের প্রারম্ভে রিয়াদ ও তার পুর্ব পুরুষের রাজ্য দখলসহ ধারাবাহিক যুদ্ধের মাধ্যমে চারটি অঞ্চলকে একত্রিত করে একটি অভিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেন। তার নামের শেষ অংশ নিয়ে দেশটির নাম রাখা হয় সৌদি আরব। আরবি সৌদ শব্দের অর্থ একত্রীকরণ। অ্যারাবিয়া একটি ল্যাটিন শব্দ। এর উৎপত্তি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে অনেকে মনে করেন এটি সেমিটিক। প্রাচীন মিশরের বিশাল এক অঞ্চলের নাম ছিল আর রাবি (Ar Rabi)।
সৌদি আরব পুরোপুরি রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। যে কয়জন ব্যক্তির নামে পৃথিবীতে দেশের নামকরণ করা হয়েছে, তন্মধ্যে ইবনে সাউদ অন্যতম। জীবদ্দশায় তিনি ১৭ জন মেয়েকে বিয়ে করেন এবং তার জ্ঞাত সন্তানের সংখ্যা ছিল ৪৪। সন্ততির সংখ্যা জানা যায়নি। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার সন্তানসন্ততিদের অনেকে এখনও জীবিত আছেন।
সৌদ আরবের আরবি নাম আল মামলাকাহ আল আরাবিয়াহ্ আস সাউদিয়াহ বা কিংডম অব সৌদি আরাবিয়া। নদীবিহীন দেশের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। এর মোট আয়তন ২১,৪৯,৬৯০ বর্গকিলোমিটার বা ৮,৩০,০০০ বর্গমাইল। তন্মধ্যে জলীয় অংশ ০.৭%। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের হিসাবমতে, সৌদি আরবের অনুমিত জনসংখ্যা ৩,০৭,৭০,৩৭৫ এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১২.৩। আয়তনের দিক হতে সৌদি আরব পৃথিবীর ১৩-তম বৃহত্তম দেশ কিন্তু জনসংখ্যার দিক হতে ৪১-তম। তবে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় এটি পৃথিবীর ২১৬-তম জনবহুল দেশ। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের হিসাবমতে, সৌদি আরবের জিডিপি (পিপিপি) ১.৬৬৮ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার (১৪-তম), সে হিসাবে মাথাপিছু আয় ৫৩,১৪৯ ইউএস ডলার(১২-তম)। অন্যদিকে, জিডিপি (নমিনাল) ৬৪৮.৯৭১ বিলিয়ন ইউএস ডলার (২০-তম), সে হিসাবে মাথাপিছু আয় ২০,৬৭৭ ইউএস ডলার(৩৮-তম)। মুদ্রার নাম সৌদি রিয়াল। সৌদি আরবের কর্মীবাহিনীর ৮০ ভাগ অভিবাসী, যারা সৌদি আরবের নাগরিক নন। জাতিসংঘের ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের তথ্য অনুযায়ী সৌদি আরবের মোট জনগণের ৩০% অভিবাসী। সৌদি আরব, আলজেরিয়ার পর আরব বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে জর্ডান ও ইরাক, উত্তরপূর্বে কুয়েত, কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত পূর্বে, ওমান দক্ষিণপুর্বে আর ইয়েমেন দক্ষিণে অবস্থিত। সৌদি আরবের মোট ভূমির ৯৫ ভাগ মরুভূমি বা আধা-মরুভূমি। পৃথিবীর বৃহত্তম কয়েকটি মরুভূমির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি সৌদি আরবে অবস্থিত।
পৃথিবীর কয়েকটি নৃশংস দেশের মধ্যে সৌদি আরব নিষ্ঠুরতম। যেখানে কোনো নির্বাচন, কোনো দল, কোনো সংসদ এবং ভিন্নমতের অস্তিত্ব নেই। মজলিশ আল সুরা নামের আড়ালে বাদশা তার ইচ্ছাকে পূরণ করে মাত্র। সামান্য সমালোচনা করলেও কঠোর শাস্তি পেতে হয়। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরবের বিখ্যাত বিরোধীকর্মী আবদাল করিম আল কাদের সাংবিধানিক রাজতন্ত্র পরিবর্তন করার দাবি করায় ৮ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার লংঘন ও উদ্ভট রাষ্ট্রীয় আচরণের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের স্থান দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে কোনো অংশে কম ভয়ঙ্কর নেই। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক শহর ও ওয়াশিংটন ডিসিতে সন্ত্রাসী আক্রমণের পর ধৃত ১৯ জন হ্যাইজাকারের মধ্যে ১৫ জনই ছিল সৌদি আরবের নাগরিক। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের পূর্ব পর্যন্ত সৌদি আরবে দাসত্ব প্রথা অনুমোদিত ছিল। তলোয়ারির অভাবে সৌদি আরব গর্দান কর্তনের পরিবর্তে ফায়ার স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদ- কার্যকর করার কথা বিবেচনা করছে। একবিংশ শতকেও এসেও সৌদিরা মধ্যযুগে রয়ে গিয়েছে। তাদের পতাকায় এখনও তলোয়ারের ছবি, মধ্যযুগীয় অস্ত্র।
সৌদি আরব এমন একটি দেশ, যাদের আইন কড়া হলেও সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হয় না। আইনকে কেবল রাজকীয় পরিবারের স্বার্থে বিবেচনা করেন। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পানীয়ের অন্যতম কফিকে আরবীয়রা বলে কফি গাওয়া। আরবি ভাষায় পরবর্তীকালে যার অর্থ হয় নিদ্রা নিবারণকারী দ্রব্য। ১৫ শতকের শেষদিকে মক্কায় প্রথম কফি হাউজ খোলা হয়। তবে ধর্মীয় মোল্লারা কঠিন ব্যাখ্যার মাধ্যমে কফিকে উত্তেজক দ্রব্য বলায়, তা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সৌদি আরবের অধিকাংশ লোক কফি পান করে, শুধু তাই নয় অনেকে মসজিদে নামাজ আদায় করার সময় মুখে কফিবীজ রেখে আয়েশ করে চুষে। সৌদি আরবে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। তবে এখানে বিভিন্ন স্থানে মদ্য ও বিয়ার তৈরির অনেক ছোট ছোট কারখানা আছে। বাজারে যে কোনো প্রকার মাদক দ্রব্য কালোবাজারে সহজে পাওয়া যায়। আইনে নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সৌদি আরবে সিদ্দিকি নামের একজাতীয় মদ্য প্রচুর পরিমাণে প্রস্তুত হয়। উল্লেখ্য, সিদ্দিকি অর্থ আমার খুদে বন্ধু (my little friend)। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সৌদ সরকার সরকারি অফিস ও অধিকাংশ প্রকাশ্য স্থানে ধূমাপান নিষিদ্ধ করে। এ আইনে শিশুদের কাছে সিগারেট বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সৌদি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সৌদি আরব সিগারেট আমদানিতে পৃথিবীর ৪র্থ এবং সৌদি আরব প্রতিদিন সিগারেটের পেছনে ৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় করে। সৌদি আরবের শহরে মহিলাদের গাড়ি চালান নিষিদ্ধ। তবে সৌদি ও বিদেশি মহিলারা বিদেশি তেল কোম্পানির অধিক্ষেত্রসমূহে গাড়ি চালাতে পারেন।
সৌদি আরবে আইনের ক্ষেত্রে ইসলামি আইনের অনুসরণ করা হয়। ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদ মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর কারণে এই দেশটাকে দুই পবিত্র মসজিদেও দেশ বলা হয়। সৌদি আরবের লোক সংখ্যা ২,৮৭,০০০০০। তন্মধ্যে দুই কোটি সৌদিয়ান এবং ৮৭,০০,০০০ বিদেশি। এটি পৃথিবীর এক নাম্বার তেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হাইড্রোকার্বন মজুদকারি। পৃথিবীর চতুর্থ সামরিক খরচ দেশটি বহন করে।
সৌদি আরব ইসলাম ধর্মের জন্মস্থান। এখানে ইসলাম ধর্মের প্রচারক জন্মগ্রহণ করেন। মক্কা ও মদিনয়া ইসলাম ধর্মানুসারীদের জন্য পবিত্র অনেক স্থান রয়েছে। সৌদি আরবের রাজার দাপ্তরিক পদবি ‘দুটি পবিত্র মসজিদের খাদেম’। সালমান বিন আবদুল আজিজ ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি হতে বাদশার দায়িত্বে আছেন। সরকারিভাবে সৌদি আরবের সকল নাগরিক মুসলিম। তন্মধ্যে ১৫% শিয়া। তারা সাধারণত সৌদি আরবের পূর্বপ্রদেশে ধর্ম পালন করেন। আবদাল ওয়াহাব প্রতিষ্ঠিত ওয়াহাবিজম সৌদি আরবে অত্যন্ত প্রভাবশালী মুসলিম গ্রুপ। কোনো নন-মুসলিমকে সৌদি আরবের ভূমিতে সমাধিস্থ করা যায় না।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরবের কিংডম টাওয়ার নির্মাণের কাজ শরু হয়। এর উচ্চতা হবে, ৩,২৮০ ফুট বা ১ কিলোমিটার। এটার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে আবু ধাবির বুরুজ খালিফা, কিংডম টাওয়ারের চেয়ে ১৮৩ মিটার নিচু হয়ে যাবে।
সৌদি আরবে দিয়া (diyya) আইন বা রক্তের মূল্য পরিশোধ আইন প্রচলিত রয়েছে। চোখের জন্য চোখ আইনের বিপরীতে কোরআন অধিকতর মানবিক এ আইনটি প্রচলন করে। প্রকৃতপক্ষে, এটি আদালতের বাইরে ওয়েস্টার্ন পদ্ধতির একটি নিষ্পত্তি। খুনিকে বিচারক হত্যার রায় দিলে যাকে হত্যা করা হয়েছে তার উত্তরাধিকারীকে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ দিলে মৃত্যুদ- হতে রেহাই দেওয়া হয়।
সিভিল পুলিশ ফোর্সের সঙ্গে সঙ্গে সৌদি আরবে ধর্মীয় পুলিশ ফোর্সও রয়েছে। এ ফোর্সকে মিতুয়াইন (Mutaween) বলা হয়। সৌদি সমাজে ধর্মীয় চেতনা ও নির্দেশনা কার্যকর এবং অপব্যবহার রোধ করা তাদের কাজ। এ ফোর্সের পূর্ণ নাম সদগুণের সরক্ষণ এবং পাপ প্রতিরোধক কমিটি। সৌদি আরবে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথকভাবে বিবাহ উৎস সম্পন্ন করা হয়। তবে বিয়ের পর বর-কনে একত্রে মিলিত হতে পারে। সৌদি আরবে জন্মনিয়ন্ত্রণ অবৈধ। সমকামিতার শস্তি মৃত্যুদ- বা আজীবন কারাদ-। সৌদি আরবে নামাজের সময় সবকিছু বন্ধ থাকে। এটাকে খুব কঠিনভাবে অনুসরণ করা হয়।
সৌদি আরবের সকল সরকারি স্কুল ধর্মীয়। প্রত্যেক স্কুলে প্রথম গ্রেডের শিক্ষার্থীদের স্কুল সময়ের অর্ধেক সময় কোরআন অধ্যয়ন করতে হয়। বাকি সময় অন্যান্য বিষয় পড়ান হয়। সবকিছু মিলিয়ে সৌদি আরবের স্কুলে শিক্ষার্থীদের ১২ ঘণ্টা অধ্যয়ন করতে হয়। নন-মুসলিম সৌদি আরবের নাগরিক হতে পারে না এবং নন-মুসলিমদের কোনো প্রার্থনাগৃহ নির্মাণও সৌদি আরবে অনুমোদিত নয়। হজযাত্রীদের রক্ষার উদ্দেশ্যে নিয়োজিত ক্রীতদাস রক্ষীর ছদ্মবেশে ইতালিয়ান লুডোভিকো ডি ভার্থমা (Ludovico de Varthema) ১৫০৩ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা ভ্রমণ করে কাবা শরিফের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন। সেখানে তিনি ৩ সপ্তাহ মক্কা নগরে অবস্থান করেছিলেন। কোনোরূপ দুর্ঘটনা ছাড়া তিনি মক্কা ত্যাগ করেন। তবে উল্লেখ্য, তিনিই মক্কা ভ্রমণকারী পৃথিবীর প্রথম নন-মুসলিম। তবে ইয়েমেনে এসে ধৃত হন। তাকে হাজতে দেওয়া হয় কিন্তু একজন সুলতানের উপপত্নীর আনুকূল্যের কারণে তিন মাস পর মুক্তি পান।
সৌদি আরবে জমির দাম অত্যন্ত বেশি। ২০০৩-২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জমির মূল্য যেন আকাশ ছুঁয়েছে। গ্র্যান্ড মসজিদের নিকটবর্তীস্থানে অবস্থিত ১ বর্গমিটার জমির মূল্য ১,০৬,৭০০ ডলার। এটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশিমূল্য। যা ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে টোকিওর জমির মূল্যের কাছাকাছি। একটি কিংবদন্তী রয়েছে। উইনস্টন চার্চিল সৌদি আরব ও জর্ডানের সীমান্ত নির্ধারণের জন্য এলেন। অতিরিক্ত ব্র্যান্ডি পান করার কারণে তিনি হিক্কা তুলে প্রচ-ভাবে ঢুলছিলেন। তার হাত পিছলে গেল। জর্ডানের জন্য তত মূল্যবান নয় গণ্যে তিনি সৌদি আরবকে কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দান করে দিলেন। এলাকাটিকে এখনও উইনন্সটনের হিক্কা (Winston’s Hiccup) বলা হয়।
১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে কিং ফয়সাল সৌদি আরবে টেলিভিশনের সূচনা করেন। তবে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা টেলিভিশনকে লাম্পট্য মনে করে এর প্রচারের ঘোর বিরোধিত করেছিলেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বাদশাহ ফয়সলের এক ভ্রাতষ্পুত্র টেলিভিশন স্টেশনে হামলা চালাতে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। একই বছর বাদশাহ ফয়সল নিজেই তার মৃত ভ্রাতষ্পুত্রের ভাইয়ের গুলিতে নিহত হন। খুনের অপরাধে ওই ভ্রাতষ্পুত্রের গর্দান প্রকাশ্যে কর্তন করা হয়। একেই বলে টিট ফর ট্যাট। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি বাদশাহ ফয়সলকে টাইম ম্যাগাজিন ম্যান অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত করেছিলেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি নাগরিক প্রিন্স সুলতান বিন সালমান ইউএস স্পেস সাটল ডিসকভারিতে চড়ে মহাশূণ্যে গমন করেন। তিনি হচ্ছে মহাশূণ্যে ভ্রমণকারী প্রথম সৌদি, প্রথম আরব এবং প্রথম মুসলিম।
সৌদি আরবের সরকারি ভাষা আরবি। অনেক আরবি শব্দ ইংরেজিতে আত্তীকৃত হয়েছে। এসব শব্দের মধ্যে alchemy/chemistry, alcohol, algebra, alkaline, almanac, arsenal, assassin, candy, cipher, coffee, cotton, elixir, garbage, gauze, giraffe, guitar, harem, hazard, humus, jar, jasmine, lemon, lime, magazine, mattress, mohair, mosque, mummy, nadir, orange, ream, rook, safari, saffron, sash, sequin, silk, spinach, sugar, syrup, tamarind, tangerine, tariff, tuna, and zero. . প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

সৌদি আরবের আইনে মেয়েদের বাড়ির বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। তাই মেয়েদের আন্ড্যারওয়্যার ও বক্ষবন্ধনী বিক্রির দোকানে পুরুষরাই সেলম্যান হিসাবে কাজ করত। তবে সৌদি আরবের মেয়েরা দোকানে গিয়ে পুরুষ বিক্রেতার কাছ থেকে আন্ডারওয়্যার ও বক্ষবন্ধনী ক্রয়ে বিব্রত বোধ করায় নীতি পরিবর্তনের জন্য প্রচ- চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে কিং আবদুল্লাহ আইনটা সামান্য পরিবর্তন করে, এসব দোকানে মেয়ে বিক্রেতা রাখার সিদ্ধান্ত দেন। এরপর হতে এমন দোকানে কোনো পুরুষ কর্মচারী নিয়োগ নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
ইবনে সাউদের প্রথম পুত্র সাত্তাম বিন আবদুল আজিজ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিগ্রি অর্জন করার প্রদর্শক হিসাবে খ্যাত। তিনিই ইবনে সাউেেদর একমাত্র পুত্র যিনি কেবল একটি বিয়ে করেন। উল্লেখ্য, প্রিন্স সাত্তাম ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজিনিস এডমিনিস্ট্রেশনের উপর ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্যালেস্টাইন (Palestine) : ইতিহাস ও নামকরণ
ফিলিপিনস (Philippines) : ইতিহাস ও নামকরণ
কাতার (Qatar) : ইতিহাস ও নামকরণ
রাশিয়া (Russia) : ইতিহাস ও নামকরণ
সূত্র: কীভাবে হলো দেশের নাম, ড. মোহাম্মদ আমীন, পুথিনিলয়, বাংলাবাজার, ঢাকা।