ড. মোহাম্মদ আমীন
বীরাঙ্গনা
বীরাঙ্গনা হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ধর্ষিত ও নির্যাতিত নারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত একটি খেতাব। এর শাব্দিক অর্থ রণাঙ্গনের বীর। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রায় ২০০,০০০-৪০০,০০০ নারী পাকিস্তন সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা ধর্ষিত হয়।
বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধকালীন ধর্ষিত নারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দেয়। এসময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,“আজ থেকে পাকবাহিনী নির্যাতিত মহিলারা সাধারণ মহিলা নন,তারা এখন থেকে বীরাঙ্গনা খেতাবে ভূষিত।”
বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাব পাস হয়। এ পর্যন্ত ২৭১ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি লাভ করেছেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র : লিংক
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ : স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহিদ-প্রশাসক প্রথম প্রতিরোধকারী
১. বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ : প্রথম শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ
২. বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল : দ্বিতীয় শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ
৩. বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান : তৃতীয় শহিদর বীরশ্রেষ্ঠ
৪. বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ : চতুর্থ শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ
৫. বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ হামিদুর রহমান : পঞ্চম শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ.
৬. বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন : ষষ্ঠ শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ
৭. বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর : সপ্তম শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ
মুক্তিযুদ্ধে মহিলা : বীরপ্রতীক তারামন বিবি
মুক্তিযুদ্ধে মহিলা : বীরপ্রতীক ডা. ক্যাপ্টেন সিতারা ও কাকন বিবি
মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি : বরীপ্রতীক উপাধিপ্রাপ্ত বিদেশি : উইলিয়াম আব্রাহাম সাইমন ঔডারল্যান্ড