ড. মোহাম্মদ আমীন
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত ও পরাশক্তির প্রশাসন
মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন : ভি ভা গিরি; ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন : শরণ সিং; মাকিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন : রিচার্ড নিক্সন; মাকিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি-রজাস, মার্কিন `Advisor of the National Security Council’ ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার; ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এডওয়াথ হিথ; সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আলেক্সেই নিকোলাই কোসিগিন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট ছিলেন : নিকোলাই পদগোনি চীনের প্রেসিডেন্ট : মাও সেতুং; মিশরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আনোয়ার সাদাত এবং জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন উ থান্ট।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের সেনাপ্রধান
ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধান ছিলেন স্যাম হরমুজজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশ; ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সেনাধ্যক্ষ ছিলেন লেফটেনেন্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা; পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চীপ অব স্টাফ ছিলেন লেফটেনেন্ট জেনারেল ফ্রেডারিক রালফ জ্যাকব
ভারত বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী গঠন
ভারত-বাংলাদেশ যৌথবাহিনী গঠিত হয় ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২১ শে নভেম্বর। ভারত-বাংলাদেশ মিত্রবাহিনীর প্রধান ছিলেন ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ। ভারত-বাংলাদেশ যৌথবাহিনীর সেনাধ্যক্ষ ছিলেন জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। অন্যদিকে, পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান ছিলেন, জেনারেল এ এ কে নিয়াজী।
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যুদ্ধ ঘোষণা এবং পরবর্তী প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে পাকিস্তান ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বরের ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ভারতের সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যৌথবাহিনী গঠনপূর্বক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় স্থলবাহিনীর সম্মুখ অভিযান শুরু হয় চারটি অঞ্চল থেকে: (১) পূর্বে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে তিন ডিভিশনের সমবায়ে গঠিত ৪র্থ কোর সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-কুমিল্লা-নোয়াখালী অভিমুখে; (২) উত্তরাঞ্চল থেকে দু ডিভিশনের সমবায়ে গঠিত ৩৩তম কোর রংপুর-দিনাজপুর-বগুড়াা অভিমুখে; (৩) পশ্চিমাঞ্চল থেকে দু’ডিভিশনের সমবায়ে গঠিত ২য় কোর যশোর-খুলনা-কুষ্টিয়া-ফরিদপুর অভিমুখে; এবং (৪) মেঘালয় রাজ্যের তুরা থেকে ডিভিশন অপেক্ষা কম আর একটি বাহিনী জামালপুর-ময়মনসিংহ অভিমুখে।
ধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ : অপারেশন জ্যাকপট
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ : মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহিদ প্রথম প্রতিরোধকারী