শ্রাবন্তী নাহা অথই
স্যমন্তক বাংলা সাহিত্যের একটি অনবদ্য উপন্যাস
স্যমন্তক আমার পড়া শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। কিন্তু কেন, তা জানার জন্য নিচের কয়েকটি আলোচনা দেখতে পারেন। উপন্যাসটির লেখক ড. মোহাম্মদ আমীন ( Mohammed Amin)। স্যমন্তক ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা এবং আমার পড়া একটি অতুলনীয় উপন্যাস।
“কর্তব্য যেখানে প্রবল, ভালোবাসা সেখানে রাঁধুনির বঁটির তলায় ধড়ফড় করা পুঁটি মাছের মতো অসহায়।” (২) পেনসিলের আগে

যদি ইরেজার শেষ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে, তোমার চলার পথে ভুলের পরিমাণ শুদ্ধের চেয়ে বেশি ছিল।(৩) প্রতিষ্ঠা করতে না-পারলে প্রতিবাদ করা অর্থহীন।(৪) ভুলে যাওয়া এত সহজ হলে মানুষের কষ্ট আরও কমে যেত।(৫) মরেছি বলেই আমি ভয়হীন, নিঃশঙ্কায় কাটে আমার রাত, আমার দিন। (৬) ঈশ্বরের কাছে তার সৃষ্টির চাওয়ার শেষ থাকতে নেই। তাহলে স্রষ্টা আর সৃষ্টির সম্পর্কটাই পাল্টে যায়।
১৫) শ্রদ্ধা পদগামী কিন্তু ভালোবাসা অন্তর্গামী, আপাদমস্তক সমানভাবে ছড়িয়ে। এজন্য মাথা নুইয়ে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানাতে হয় অন্তরে অন্তরে নিবিড় মমতায়। (১৬) সারা পৃথিবীতে নিয়মের এত বেশি ছড়াছড়ি যে, নিয়মের মতো পানশে ও সস্তা আর কিছু আছে বলে মনে হয় না। (১৭) কিছু কথা নিজের জন্য রেখে দিতে হয়। এগুলো কেবল নিজেকে শোনানোর জন্য। (১৮) অনুপস্থিতি

ভালোবাসাকে ধারালো করে, উপস্থিতি ভালোবাসাকে করে শক্তিশালী। ধার ও শক্তি দুটোরই প্রয়োজন। নইলে ভালোবাসা খুব সাধারণ হয়ে যায়। (১৯) অক্সফোর্ডে অন্ধকার নেই, তাই আলোর দাম কম। (২০) ভোট একটি মারাত্মক অস্ত্র। এর প্রয়োজনীয়তা ব্যবহারকারীর আচরণের উপর নির্ভরশীল। (২১) সুন্দরের প্রতি আগ্রহ দেখাতে লজ্জা কিছুটা বিসর্জন দিতেই হয়। ব্যক্তিত্ব আর লজ্জা বেশি হলে তো চোখই খোলা যাবে না। (২২) নিরবতা সব প্রশ্নের সর্বোত্তম উত্তর আর হাসি সব অবস্থানের অত্যুত্তম প্রতিক্রিয়া। (২৩) পুরুষেরা জানে না কখন বিদায় বলতে হয়, মেয়েরা জানে না কোথায় বলতে হয়। বিদায় বেলায় পুরুষ আর নারী দুজন আবেগে কান্ডজ্ঞানহীন হয়ে যায়।