SalMa Sara
হাতের সুন্দর লেখা এক নান্দনিক শিল্প
একথা অনস্বীকার্য যে, হাতের লেখা সুন্দর হওয়াটা রুচিশীল মন- মানসিকতার পরিচায়ক।
যুগে যুগে তাই দেখা গিয়েছে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের হাতের লেখার উপর খুব জোর দিয়ে এসেছেন। কারণ হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার মাধ্যমে শিশুর মনে যেমন শিল্পের বিকাশ ঘটে তেমনি শিশুরা হয়ে ওঠে স্থির বুদ্ধি সম্পন্ন।তাছাড়া হাতের লেখার নিয়মিত অনুশীলন শিক্ষার্থীর চিন্তা-চেতনা, আবেগ-অনুভূতি, মননশীলতা ও মেধার বিকাশ ঘটায়।
তাই শিক্ষার্থীদের কাছে হাতের সুন্দর লেখা এক মহামূল্যবান সম্পদ। হাতের লেখা সুন্দর হলে শিক্ষকদের মন জয় করা যায়। এমনকি পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া যায় বেশি। হাতের লেখা সুন্দর হওয়াটা তাই খুবই জরুরী।
যারা হাতের লেখা সুন্দর করতে চায়, পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেতে চায় কিংবা লেখার সৌন্দর্য দিয়ে নিজের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে চায়, শুধুমাত্র তাদের জন্য হাতের লেখা সুন্দর করার কিছু অনন্য উপায়।
★সঠিকভাবে কলম ধরা: হাতের লেখা হচ্ছে তিন আঙ্গুলের কারুকাজ। তাই হাতের লেখা সুন্দর করতে হলে সর্বপ্রথম সঠিকভাবে কলম ধরা শিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকের সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
★বর্ণ লেখার নিয়ম: হাতের লেখা সুন্দর করতে হলে বর্ণের সঠিক আকৃতি এবং বর্ণটি লেখার নিয়মাবলী সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে।
★বর্ণে মাত্রার ব্যবহার: বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন, অর্ধমাত্রা ও পূর্ণমাত্রার বর্ণ রয়েছে। এগুলো ভালোভাবে চিনতে হবে এবং লেখার সময় মাত্রার সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
★যতি চিহ্ন বা বিরাম চিহ্নের ব্যবহার: হাতের লেখা সুন্দর করতে হলে যতি চিহ্ন বা বিরাম চিহ্নের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।
★শব্দ থেকে শব্দের দূরত্ব: লেখা সুন্দর করতে হলে পাশাপাশি দুই শব্দের মাঝখানে কমপক্ষে দুই থেকে তিন বর্ণ ফাঁক রাখতে হবে। এমনকি পরপর দুই লাইনের মাঝখানেও নির্দিষ্ট পরিমাণ ফাঁক রাখতে হবে।অর্থাৎ পরীক্ষার খাতার এক পৃষ্ঠায় ১৫ থেকে ১৬ লাইনের বেশি লেখা ঠিক হবে না।
★লাইন সোজা রাখা: হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে লাইন সোজা রাখা।তাই লাইন সোজা রাখার জন্য লেখার আগেই খাতায় মার্জিন করে মার্জিন বরাবর লেখা শুরু করতে হবে কিংবা রুল করা খাতায় অথবা কালি ছাড়া কলম দিয়ে খাতায় রুল টেনেও লেখা যেতে পারে।
★কাটাকাটি না করা: লেখার সময় অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে লিখতে হবে যাতে লেখার মাঝে কাটাকাটি না হয়। আর যদি কোনো কারণে ভুল হয়েই যায় তাহলে একটানে কেটে দিতে হবে। খাতায় কাটাকাটি কম হলে লেখা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয় এবং দেখতে সুন্দর লাগে।
★অনুশীলন: হাতের সুন্দর লেখা হচ্ছে নিয়মিত অনুশীলনের ফসল। তাই বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। এতে একদিকে যেমন হাতের লেখা সুন্দর হবে, অপরদিকে বানান শুদ্ধ হবে, লেখার ভাষা সাবলীল হবে।
পরিশেষে বলা যায় হাতের সুন্দর লেখা একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তাই যে কোনো বয়সে, যে কোনো সময়ে, চাইলেই আমরা আমাদের হাতের লেখা সুন্দর করতে পারি। আর এই লেখাই হতে পারে আমাদের জীবনে ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম হাতিয়ার।
উম্মে সালমা, ১৯/০৬/২০২০
SalMa Sara, শুবাচ লিংক
হাতের সুন্দর লেখা এক নান্দনিক শিল্প, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
পড়ুন, হাসুন আর ইদ আনন্দে মেতে উঠুন, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
পড়ুন হাসুন আর বাংলা শিখুন, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
উক্তি, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা ( শুবাচ)
ছড়ায় ছড়ায় শিখি – ১, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
ছড়ায় ছড়ায় শিখি – ২, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
ছড়ায় ছড়ায় শিখি—৩, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
ছড়ায় ছড়ায় শিখি – ৪, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
আবেগ-শব্দ, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
ছড়ায় ছড়ায় শিখি—৩, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
কান নিয়ে টানাটানি, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
চাল নিয়ে চালাচালি, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
বহুরূপী কাটা, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
বই, SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
SalMa Sara, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)