ড. মোহাম্মদ আমীন
হ-এর কথা/৩ বাংলা বানান নিমোনিক
‘হাট করা’ ও ‘হাট বসা’ ও হাটবসা: ‘হাট করা’ ও ‘হাট বসা’ অসংলগ্ন শব্দজোড়, কিন্তু হাটবসা একটি একক জোড়শব্দ। কারণ প্রথম দুটোয় ফাঁক হবে, কিন্তু হাটবার’ শব্দে ফাঁক হবে না। কারণ সাপ্তাহিক বার লেখার সময় আমরা ফাঁক রাখি না। যেমন: শুক্রবার শনিবার, রবিবার- – -। কিন্তু বসতে হলে হাটের সঙ্গে বা যেখানে বসা হবে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসতে হয়। তাই ‘হাটবসা’ ‘হাট’ ও ‘বসা’ পরস্পর সেঁটে বসে।
হাশর: হাশর বানানে ‘শর’ হবে, সর হবে না। শর মানে তির। হাশরের দিন সর পাওয়ার চেয়ে শর পাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
হাশিশ নামের মাদকের বানানে স নেই। সব শ। কারণ হাশিশ খেতেন শিব। হাশিশ খেলে শব হতে হয় তাড়িাতাড়ি।
হীনদের সামনে কিছু থাকে না। সব পিছনে থাকে। এজন্য সব হীন ঈ-কার নিয়ে চলে। যেমন : হীন, হীনচেতা, হীনপ্রাণ, হীনবর্ণ হীনবল, হীনবীর্য, হীনবুদ্ধি, হীনমতি, হীনম্মন্যতা, হীনযান, হীনস্বাস্থ্য, হীনাবস্থা। তবে হীরা বানে ঈ-কার। কারণ হীরা সামনে রাখলে কেউ নিয়ে যেতে পারে। তাই পেছনে লুকিয়ে রাখতে হয়। যেমন: হীরা, হীরক, হীরকজয়ন্তী, হীরাপান্না, হারার টুকরা।
হুঁকো বানানের চন্দ্রবিন্দু হুঁকোর কল্কির মতো। চন্দ্রবিন্দু ছাড়া হুঁকো অর্থহীন। তবে হুক্কা বানানে চন্দ্রবিন্দু নেই। তেমনি, হুঁশ বানানেও চন্দ্রবিন্দু দিতে হবে। নইলে হুঁশ ফেরানোর জল কীভাবে আনবে? বেহুঁশ মানুষ হুঁশ ফেরতে হলে চন্দ্রবিন্দু দিয়ে জল আনতে হয়। হুঁশ না হলে হুঁশিয়ার হয় না। এজন্য হুঁশিয়ার বানানেও চন্দ্রবিন্দু।
হুবহু: হু বহু হয়ে হুবহু। তাই ব-য়ে উ-কার নেই।
হেড বানানে চন্দ্রবিন্দু নেই। কিন্তু হেডকে হেঁট বা নিচু করে অবনত হতে হলে চন্দ্রবিন্দু লাগে। হোঁচট বানানেও চন্দ্রবিন্দু দিতে হয়। হাঁটার সময় হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে দুই বানানে চন্দ্রবিন্দু।
হ-এর কথা /২ বাংলা বানান নিমোনিক
——————————————-