ড. মোহাম্মদ আমীন
শুবাচে যযাতি হিসেবে প্রকাশের জন্য এই পৃষ্ঠায় খসড়া রাখা হয়। এখানকার খসড়া শুবাচে এবং ওয়েবসাইটে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। এই পৃষ্ঠার লেখাগুলো খসড়ামাত্র।
প্রতিদিন খসড়া
— √
ড. মোহাম্মদ আমীন
শ্রাগ করা অর্থ কী? প্রশ্নের উত্তরে শুবাচি চৌধুরী নজরুলের জবাব
শ্রাগ হলো দুই কাঁধ ঝাঁকানোর মাধ্যমে করা বিশেষ ধরনের অঙ্গভঙ্গি। এর মধ্য দিয়ে কোনো বিষয়ে অনাসক্তি প্রকাশ করা হয়, অথবা কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা নেই এমন অনুভূতি প্রকাশিত হয়। শ্রাগ এক ধরনের প্রতীকি প্রকাশ। যা কিছু সংস্কৃতির শব্দভাণ্ডারকে একত্রিত করে; যেন শব্দের পরিবর্তে এই অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করা যায়। কোনো প্রশ্ন উপেক্ষা করার সময়ও এটি ব্যবহার করা হয়। ভ্রু উঁচু করা, মুখ বাঁকানো, কিংবা চমকিত ভ্রু, এবং হাত উঁচু করা ইত্যাদি শ্রাগের সাথে যুক্ত হতে পারে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে এটা বহুল ব্যবহৃত একটি অঙ্গভঙ্গি। সাধারণভাবে — “আমি জানি না” বলার পরিবর্তে কেউ কাঁধ ঝাঁকুনি দিয়ে তার মনের কথা প্রকাশ করে দিতে পারে।
হাজত
হাজত শব্দের বর্তমান আভিধানিক অর্থ বিচারের পূর্বে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিকে আদালতে হাজির করার জন্য পুলিশের জিম্মায় রাখার স্থান। ‘হাজত’ আরবি শব্দ। এর আদি ও মূল অর্থ ছিল— প্রয়োজন, চাহিদা, প্রাপ্যতা প্রভৃতি। বাংলায় আসার পর শব্দটি তার মূল অর্থ হারিয়ে কেবল আদালতের প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে আসামিদের রাখার স্থানে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। বাংলায় ‘হাজত’ শব্দটি এখন আরবির মতো আর সাধারণ অর্থে ব্যবহার করা হয় না। এটি এখন আইনগত শব্দ। ‘হাজত’ শব্দটিকে সাধারণ মানুষ এখন আর চাহিদা মনে করে না। এটি একটি ভয়ঙ্কর স্থান।
উৎস: ড. মোহাম্মদ আমীন, পৌরাণিক শব্দের উৎসকথন ও বিবর্তন অভিধান।
কৃষ্ণের জীব একটি বাংলা বাংলা বাগ্ধারা। এর প্রায়োগিক ও আভিধানিক অর্থ দুর্বল ও অসহায় ব্যক্তি।
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে
এটি বাংলার একটি প্রাচীন প্রবাদ/ বাগ্ধারা। উদো, পিণ্ডি ও বুধো এই তিনিটি শব্দ নিয়ে বাগ্ধারাটি নির্মিত।বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, বাংলা উদো শব্দের অর্থ: (বিশেষণে) নির্বোধ, হাবাগোবা, বোকা, কাণ্ডজ্ঞানহীন, অলস, অকর্মা। হিন্দি বুদ্ধু অর্থ: (বিশেষণে) বোকা, মূর্খ। বুধো, বুদ্ধু শব্দের আঞ্চলিক রূপ। যার অর্থ: বোকা, মূর্খ প্রভৃতি। পিণ্ডি শব্দের অনেকগুলো অর্থ আছে। এখানে প্রাসঙ্গিক আলংকারিক অর্থ: দোষ, কাজ, দেহ। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে কথার শাব্দিক অর্থ: এক বোকার দোষ অন্য বোকার ঘাড়ে চাপানো। আলংকারিক অর্থ: একজনের দোষ অন্য জনের ওপর আরোপ করা।
সুকুমার রায়ের লেখা হযবরল গল্পের দুটি চরিত্রের নাম উদো ও বুধো।প্রধান চরিত্রের নাম কাকেশ্বর কুচকুচে। গল্পে একটি হিসেবে নিয়ে দুই চরিত্রের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে থাকে। তখনই প্রসঙ্গক্রমে উচ্চকিত হয়, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে।
জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের ‘বাঙ্গালা ভাষার অভিধান’, প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের দশম মুদ্রণ (জানুয়ারি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে পাওয়া যায় : “সম্বন্ধ-নির্ণয় নামক কুলগ্রন্থ মতে উৎসাহ মুখোপাধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত নাম ‘উধো’। …উৎসাহ মুখোপাধ্যায়ের (উধোর) পত্নীর সহিত যোগেশ পণ্ডিতের (বুধোর) অবৈধ প্রণয় জন্মে, দৈবকীনন্দন তাদের এ অবৈধ প্রণয়জাত সন্তান।” উধোর মৃত্যুতে দৈবকীনন্দন উধোর নামে পিণ্ডদান করিলে বুধ যোগেশ বীজী অধিকারে তাহা পেয়েছিলেন। যথা : “যোগেশের উপজায়া প্রসবিল যোগ ছায়া দৈবকীনন্দন উধোর পত্নী।” “পঞ্চানন নুলো কয় দৈবদত্ত পিণ্ডচয়, ক্ষেত্রী বীজী কেহ নাহি ছাড়ে। পণ্ডিতের বুধ খ্যাতি নহ্যমুলা জনশ্রুতি তি, উদোর পিণ্ডি পড়ে বুধোর ঘাড়ে।” সম্বন্ধ-নির্ণয়। যোগেশ বুধ বা পণ্ডিতের নামের অনুপ্রাস ঘটাবার জন্য বুধ শব্দটি থেকে এসেছে বুধো বা বুদো। ‘বুধ’ শব্দটির অন্যতম অর্থ: পণ্ডিত, বিদ্বান, জ্ঞানী, প্রতিভাধর ব্যক্তি।
আঁতেল
আঁতেল হল আধুনিক বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত একটি ফরাসি-ভাষা-আগত বিশেষ্য ও বিশেষণবাচক শব্দ, যা “বুদ্ধিজীবী” বা ‘ইন্টেলেকচুয়াল’ (Intellectual) শব্দের অপভ্রংশ।[১][২] আভিধানিক অর্থে, আঁতেল হল (ব্যঙ্গে) পণ্ডিত, বিদ্বান, বুদ্ধিজীবীর ধরনধারণবিশিষ্ট (ব্যক্তি), যা ফরাসি তেঁলেক্তুয়াল (intellectual) এর অপভ্রংশ, কিংবা ইং. intellectual এর ফরাসিভঙ্গিম উচ্চারণ থেকে আগত।[৩] পুথিগত বিদ্যায় পারদর্শী তবে বাস্তববুদ্ধি ও কাণ্ডজ্ঞানের অভাব এমন ব্যক্তিকে আঁতেল বলা হয়। যে জ্ঞানীর ভান করে তাকেও আঁতেল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।[১] ভাষাতত্ত্ববিদ পবিত্র সরকারের মতে, “চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকে এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী বাঙালির আত্মপ্রকাশ ঘটে, যারা নিয়মিত কফি হাউসে বসতেন, পাঞ্জাবি পরতেন ও নিজেদের সেরা মনে করতেন; এসব বুদ্ধিজীবীকে দেখে অন্যান্যদের বিদ্রুপ এবং প্রতিক্রিয়াতেই ‘আঁতেল’ শব্দটির প্রয়োগ শুরু।
বাংলা ভাষায় আঁতেল শব্দটি ইংরেজি (মূলে ফরাসী) ইন্টেলেকচুয়াল (বুদ্ধিজীবী) শব্দ থেকে এসেছে মনে করা হয়। সাধারনত: সেই ব্যক্তিকে ‘ইন্টেলেকচুয়াল’ বলা হয় যে কি না কোনো বিষয়ে একই সাথে ‘জ্ঞানী ও পারদর্শী’| তবে কথ্য ভাষায় আঁতেল শব্দটি নেতিবাচক বা নিন্দার্থে ব্যবহৃত হয়।-
কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ
পৌষ মাসের সাথে প্রাচীন ভারত থেকে বর্তমান পর্যন্ত অত্যন্ত আনন্দের সম্পর্ক রয়েছে।এই মাসটি পূর্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিকট প্রিয় হলেও বর্তমানে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের নিকটই প্রিয়।এই সময় সূর্যের উত্তরায়ণ ঘটে।অগ্রহায়নের তোলা ধান থেকে নতুন চাল বের হয়,নতুন গুড় বের হয়।প্রাথমিক শীতের আমেজে পিঠাপুলির ধুমধাম থাকে সারা মাস।সারা বছরে এইমাসেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ হতো।তাই এই প্রবাদটি প্রচলিত হয়েগিয়েছে কারো পৌষমাস আর কারো সর্বনাশ। পৌষ মাসে নতুন ধান ওঠে। তাই কৃষকদের কাছে এটা খুব ভালো সময়। এই সময় এইজন্য পিঠে পুলি খাওয়া হয়। কিন্তু যাদের হাতে পয়সা থাকে না, এই পৌষ মাসেই তারা ঠাণ্ডায় মরে যায়, তাদের কাছে পৌষ মাস সর্বনাশের মাস । পৌষ মাসে কেউ পিঠা-পুলি খেয়ে আনন্দ উপভোগ করে, আবার কেউ শীতে দারুন কষ্ট পায়। কারো জন্য যে সময়টা আনন্দের, ঠিক একই সময়টা অন্য কারো জন্যে দুঃখের। অর্থাৎ কারো সুসময়, কারো দুঃসময়।
মূলত হিন্দুদের একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে প্রবাদটা তৈরী। মকর-সংক্রান্তি, গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান এসব কথা হয়তো শুনে থাকবেন।
সবচেয়ে ভালো হয়। যদি ঈশ্বর গুপ্ত’র লেখা “পৌষপার্ব্বণ” কবিতাটা একবার পড়ে দেখেন। ওখানে অসাধারণভাবে বর্ণনা দেওয়া আছে।
এছাড়াও পৌষের প্রচন্ড শীতে যাদের সামর্থ্য আছে তারা আরামে কাটিয়ে দিতে পারে। যাদের সামর্থ্য নেই তারা প্রচন্ড শীতে বাইরে বের হয় কর্ম করতে, কাপড় চোপড়ের অভাবে কষ্ট করে দিনাতিপাত করতে হয়।
আরেকটি বিষয় আছে। দারুন শীতে যাদের বউ আছে তারা কত সুখে রাত কাটায়! যাদের নাই তারা কত কষ্টে রাত কাটায়!! গ্ৰাম্য প্রবাদ।
প্রতিস্থাপন পদ্ধতিঃ যে পদ্ধতিতে প্রদত্ত সমীকরণ জোটের যে কোন একটি অজ্ঞাত রাশির মান অপরটি দ্ধারা প্রকাশ করে ঐ প্রাপ্তমান অপর সমীকরণে স্থাপন করা হয় তাকে প্রতিস্থাপন পদ্ধতি বলে।
অপনয়ন পদ্ধতি: যে পদ্ধতিতে প্রয়োজন বোধে সমীকরণদ্বয়কে প্রয়োজনীয় সংখ্যা দ্বারা গুণ করে তাদের সহগদ্বয়ের পরম মান উভয় সমীকরণেই সমান হয়। অতপর , সমীকরণ দুটি যোগ বা বিয়োগ করে অপর একটি মাত্র অজ্ঞাত রাশি থাকে, এভাবে একটির মান বের করে অপর রাশির মান বের করা হয়, সেই পদ্ধতিই হলো অপনয়ন পদ্ধতি।
ঘোড়দৌড় ও ঘোড়াদৌড়: ঘোড়দৌড় ও ঘোড়াদৌড় দুটিই শুদ্ধ। তবে অর্থ ভিন্ন। ঘোড়দৌড় অর্থ— (বিশেষ্যে) বাজি রেখে ঘোড়া দৌড়ানোর প্রতিযোগিতা। ইংরেজিতে যাকে বলা হয়— horse race. একসময় ঢাকায় ঘোড়দৌড় বেশ জনপ্রিয় ছিল। ঘোড়াদৌড় অর্থ— ঘোড়ার মতো দৌড়ানো, (আলাংকারিক) অতি ব্যস্ত জীবন, সংসার জীবনের বিশ্রামহীনতা। প্রয়োগ: একটুও বিশ্রাম নিতে পারলাম না, পুরো জীবনটা সংসার নামক ঘোড়দৌড়ের মাটে ঘোড়াদৌড়ের ওপর কাটিয়ে দিতে হলো।
সম্+গীত = সংগীত, কিন্তু সম্+বোধন =সংবোধন নয় কেন?
কারণ, ‘ম্’-এর পর ‘বর্গীয়-ব’ থাকলে ওই ‘ম্’ অবিকল থাকবে, অনুস্বার (ং) হবে না। যেমন: সম্বন্ধ, সম্বোধি, সম্বন্ধী, সম্বরা, সম্বল, সম্বাধ, সম্বুদ্ধ, সম্বোধন প্রভৃতি।
অন্যদিকে, ‘ম্’-এর পর ‘অন্তঃস্থ-ব’ থাকলে সেটি পরিবর্তিত হয়ে অনুস্বার (ং) হয়ে যায়। যেমন: কিংবদন্তি, কিংবা, সংবর্ধনা, সংবাদ প্রভৃতি। এখন কেউ যদি প্রশ্ন করেন, ‘বর্গীয়-ব’ এবং ‘অন্তঃস্থ-ব’ কীভাবে বোঝা যাবে? হায়াৎ মামুদ বললেন, বোঝার কোনো উপায় নেই। অধ্যয়ন আর অনুশীলনই একমাত্র নির্দেশক।
সূত্র: ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমমগ্র, ড. মোহাম্মদ আমীন, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.
ঙ, ঞ, ন, ণ, ম, এবং অনুস্বার (ং) এ নাসিক্যব্যঞ্জনগুলোর সাথে চন্দ্রবিন্দু যুক্ত হয় না কেন?
ঙ, ঞ, ন, ণ, ম এবং ং (অনুস্বার) ব্যঞ্জনগুলোর একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও বুৎপত্তি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এ বর্ণগুলো মূল সংস্কৃত শব্দ থেকে সুস্পষ্টভাবে অপভ্রষ্ট হয়ে তদ্ভব শব্দে চন্দ্রবিন্দুর রূপ ধারণ করে বাংলা ভাষায় অবস্থান করে। যেমন: অন্ত্র থেকে আঁত, অঞ্চল থেকে আঁচল, ষণ্ড থেকে ষাঁড়, গ্রাম থেকে গাঁ, শঙ্খ থেকে শাঁখ, ঝম্প থেকে ঝাঁপ, বংশ থেকে বাঁশ, সিন্দুর থেকে সিঁদুর, সামন্তপাল থেকে সাঁওতাল, চম্পা থেকে চাঁপা, কঙ্কন থেকে কাঁকন, কণ্টক থেকে কাঁটা, ভাণ্ড থেকে ভাঁড় ইত্যাদি। এ জন্য নাসিক্যব্যঞ্জনগুলোর সাথে চন্দ্রবিন্দু যুক্ত হয় না।
[বিধুভূষণের মন্তব্য: ওরা নিজেরাই চন্দ্রবিন্দুর আশ্রয়ে অন্যের মাথায় বসে, তাই বোধ হয় তাদের মাথায় চন্দ্রবিন্দুকে বসতে বলার সাহস পায় না! আচ্ছা, এই নাসিক্য বর্ণগুলোর অদৃশ্য হয়ে ঁ হওয়ার সাথে কী আমাদের মরার পর নামের আগে ঁ ব্যবহারের (যেমন- আমি মরার পর ঁবিধুভূষন হয়ে যাবো) কোন যোগসূত্র আছে?!]
অঙ্ক বা সংখ্যা লেখার নিয়ম
সংখ্যার পূরকে কোনোটির পর ম (১ম), কোনোটির পর য় (২য়), কোনোটির পর র্থ (৪র্থ), কোনোটির পর শ (২০শ) আবার কোনোটির পর তম (৮৭তম) প্রভৃতি বর্ণ বা যুক্তব্যঞ্জন বসে। কিন্তু কেন বসে? এ বর্ণচিহ্নগুলো হচ্ছে অঙ্ক বা সংখ্যার পূরক নামের সংক্ষিপ্ত রূপ। বিষয়টি নিচে ব্যাখ্যা করা হলো?
১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১১৮ ৩০৪০ ৪৮ ৪৯৫০ ৫৯৯০ ৯৩১০০ ১০০০ প্রভৃতি হচ্ছে সংখ্যা। এসব সংখ্যার পূরক হলো যথাক্রমে— প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম ষষ্ঠ সপ্তম অষ্টম নবম দশমএকাদশ অষ্টাবিংশ ত্রিংশচত্বারিংশ অষ্টচত্বারিংশঊনপঞ্চাশত্তমপঞ্চাশত্তমঊনষষ্টিতমনবতিতম ত্রিনবতিতম শততম এবং সহস্রতম। এই পূরকসমূহের সংক্ষিপ্ত রূপ যথাক্রমে— ১ম ২য় ৩য় ৪র্থ ৫ম ৬ষ্ঠ ৭ম ৮ম ৯ম ১০ম ১১শ১৮শ ৩০শ ৪০শ ৪৮শ ৪৯তম ৫০তম ৫৯তম ৯০তম ৯৩তম ১০০তম ১০০০তম। সংখ্যার সঙ্গে পূরকের পূর্ণ নামের শেষ অংশটি দিয়ে সংক্ষিপ্ত পূরক লেখা হয়। যেমন—
১ প্রথম (১ম)
২ দ্বিতীয় (২য়)
৪ চতুর্থ (৪র্থ)
৫ পঞ্চম (৫)ম
৬ ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ)
১১ একাদশ (১১শ)
৩০ ত্রিংশ (৩০শ)
৪৯ ঊপঞ্চাশত্তম>ঊনপঞ্চাশত্তম (৪৯তম)।
৫০ পঞ্চাশত্তম> পঞ্চাশত্তম (৫০তম)
৫৯ ঊনষষ্টিতম (৫৯তম)
১০০০ সহস্রতম (১০০০তম)
— √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √ — √
যেসব লেখা এখানকার খসড়া থেকে চূড়ান্ত হয়ে শুবাচ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে তাদের লিংক নিচে নাম-সহ দেওয়া হলো:
প্রয়োজনীয় লিংক
অজানা অনেক মজার বিষয়
সোনালী ব্যাংকের সোনালি ভবন
নিশ্চয়ার্থক ই: একটি নিয়মের বিশ্লেষণ
পরিবেশ প্রতিবেশ এবং প্রেসক্রিপশন
বাংলাদেশ ভবন কী এবং কোথায় অবস্থিত
বীতশ্রদ্ধ, বীতি ও বীথি, হতশ্রী, হতভাগা ও হতাস্মি
চুলবুল চুলুবুল কমিলওয়ালা জনকজননী-জননী
রাম ধনু, রামধনু রংধনু; দোষ ঘুষ দোসরা এবং দোষী
উপকরণ বনাম উপাদান: অভিযোগ বনাম অনুযোগ
ফাইফরমাশ, ঘর পোড়া গোরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়
সংগীত কিন্তু সম্বোধন কেন; অসূর্যম্পশ্যা; চন্দ্রবিন্দু হয় না কেন
জাহান্নাম নয় জাহান্নম; কীভাবে এটি সম্ভব এবং রাজমিস্ত্রি
মুক্ত, হস্ত, মুক্তহস্ত, মুক্তহস্তে দান এবং পরিপালন ও প্রতিপালন
আসক্তি বনাম আসত্তি, অ-সঙ্গ বনাম অসঙ্গ; ধূসর বানানে ষ নয় কেন
সরকারি কিন্তু সহকারী কেন? রোগী কিন্তু রুগি কেন? রেয়াত ও রেয়াতি
নিধিরাম সর্দার: সম্রাট বাহাদুর শাহ, রাষ্ট্রপতি, সম্রাট, রাজা রানি নিধিরাম সর্দার
বানানে বর্গীয়-জ; জ; অন্তস্থ-য, য ব্যবহারের নিয়ম: আ-কার কোথায়, আ-কার নেই
ভুল আর ভুল থেকে ফুল; সংগৃহীত বনাম সংগ্রহীত; অসাধারণ ভুল, উচিত তফাত দারুণ
ষড়যন্ত্র ব্যুৎপত্তি, ষড়যন্ত্র তৎসম না অতৎসম, সড় সড়ক ও সড় করা, তৎসম ও ণত্ব-ষত্ব
ম-ফলা উচ্চারণ, ব্যতিক্রম, স্বর্ণ ও স্মরণ ব ম অনুচ্চারিত থাকে কেন; ম-ম বনাম মম; মম চিত্তে নিতি নৃত্যে
চাটাই মানে ছাত্রদের ঠাঁই; ছাত্র ও চাটাই; নোটন নোটন পায়রা: নোটন ও লোটন; এমভি, টাইটানিক
জাতীয় সংগীতের ঘ্রাণ অঘ্রান: কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই; অতৎসম শব্দে ণ : কুর্নিশ; শিরহণ না কি শিহরণ
কিছু প্রবাদ কিছু কথা: ভিটেয় ঘুঘু চরানো, ভূতের মুখে রামনাম, বকধার্মিক, ঘরকা মুরগি ডাল/ দাল বরাবর
বাবুর্চি বাবুর্চিখানা, আত্মহনন আত্মহত্যা, নতুন পাসপোর্ট ভুল বানান; ক্রীড়মান কিন্তু ক্রিয়মাণ, ক্রমমাণ ও ভ্রাম্যমাণ কেন
প্রয়োজনীয় কিছু লিংক
বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম
দাপ্তরিক প্রমিত বাংলা বানান
কি বনাম কী, কীভাবে ও কিভাবে কোথায় কোনটি লিখবেন কেন লিখবেন
বাংলা একাডেমি নির্ধারিত সর্বশেষ প্রমিত ও সংগততর বানান অভিধান
শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) থেকে শুবাচির প্রশ্ন থেকে উত্তর সমগ্র
প্রাত্যহিক প্রায়োগিক আধুনিক প্রমিত বাংলা বানান অভিধান সমগ্র
অবাক বানান কৌশল সহজ সূত্রে কঠিন বানান নিমোনিক বাংলা বানান অভিধান অভিধান
বাংলা শব্দের পৌরাণিক উৎস সম্পূর্ণ বই, এক মলাটে বাংলা শব্দের পৌরাণিক উৎস পিডিএফ
খানকি মাগি ফাজিল কাফের মালাউন চুদুরবুদুর বোদা ভোঁদা ভোদা: শব্দার্থ
চুত চুতমারানি চোদা চোত, চূত চ্যুত: বাংলা বানান শ্লীল অশ্লীল ব্যবহার অর্থ প্রয়োগ
সন্মিত্রা
পঞ্চাশ পর্ব হতে ওয়েবসাইটে যায়নি।
সন্মিত্রা পুরো উপন্যাস একসঙ্গে