প্রবাদ, সাহিত্য-প্রবাদ: বাংলা ভাষার প্রথম সাহিত্য-প্রবাদ: বিসিএস বাংলা: প্রিলিমিনারি ও ভাইভা

ড. মোহাম্মদ আমীন প্রবাদ, সাহিত্য-প্রবাদ: বাংলা ভাষার প্রথম সাহিত্য-প্রবাদ: বিসিএস বাংলা: প্রিলিমিনারি ও ভাইভা সাহিত্য-প্রবাদ অভিজ্ঞতার আলোকে লোকমুখে সৃষ্ট বাণী। বাণী বা প্রবাদের জন্যই ভাষা এবং পরবর্তীকালে সাহিত্যের সৃষ্টি। তাই ভাষা সৃষ্টির প্রথম বাণী বা কথাটিই ছিল প্রবাদ। ভাষা সৃষ্টির সূচনায় কথাই ছিল সাহিত্য এবং সাহিত্যই ছিল কথা। সংগত কারণে প্রথম সাহিত্য-প্রবাদ কোনটি তা জানা … Read more

দাদখানি চাল

ড. মোহাম্মদ আমীন দাদখানি চাল ‘দাদখানি’ অতি উৎকৃষ্ট মানের এক প্রকার চাল। চালটির নাম কীভাবে দাদখানি হলো? কথিত হয়, বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান দাউদ খান (১৫৭৩-১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ)-এর আমলে বঙ্গদেশে এ চালের চাষাবাদ শুরু হয়। সুলতানের দরবারে চালটির বেশ চাহিদা ছিল। দাউদ খান নিজেও চালটি পছন্দ করতেন। তাঁর প্রাত্যহিক খাবার টেবিলে   এই চালের ভাত আবশ্যিকভাবে থাকত। … Read more

বিপদমুক্ত নয়, বিপন্মুক্ত: বিপদমুক্ত ভুল বানান, শুদ্ধ বানান বিপন্মুক্ত

ড. মোহাম্মদ আমীন বিপদমুক্ত নয়, বিপন্মুক্ত: বিপদমুক্ত ভুল বানান, শুদ্ধ বানান বিপন্মুক্ত  ‘বিপদ হতে মুক্তি বা পরিত্রাণ পেয়েছে’ এমন অর্থ প্রকাশে ‘বিপন্মুক্ত’ ও ‘বিপদমুক্ত’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বাক্যে বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত সংস্কৃত ‘বিপন্মুক্ত’ শব্দের নির্মাণচিত্র হলো : বিপদ্+উন্মুক্ত = বিপন্মুক্ত। যার অর্থ বিপদ হতে ‍মুক্তি বা পরিত্রাণ পেয়েছে এমন। যেমন : ঘূর্ণিঝড় দূরে সরে গেছে, … Read more

মাতারি ও মাতা: মাতা থেকে মাতারি: মাতা বনাম মাতারি; জনীন ও মাতারি

ড. মোহাম্মদ আমীন মাতারি ও মাতা: মাতা থেকে মাতারি: মাতা বনাম মাতারি; ; জনীন ও মাতারি মাতারি কী? মাতারি একটি আঞ্চলিক শব্দ। বাংলা একাডেমী বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধানমতে এটি কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া ও ঢাকা অঞ্চলের শব্দ। তবে এসব অঞ্চল ছাড়াও বাংলাদশের আরো অনেক অঞ্চল; ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যাকার বিভিন্ন এলাকায় মাতারি … Read more

শুদ্ধ বানান: শুদ্ধ-অশুদ্ধ: বাংলা বানান: বিসিএস বাংলা বানান

ড. মোহাম্মদ আমীন শুদ্ধ বানান: শুদ্ধ-অশুদ্ধ: বাংলা বানান: বিসিএস বাংলা বানান অংক নয়, অঙ্ক। তেমনি : অঙ্কন, অঙ্কুর, অঙ্গ। অংশীদারিত্ব নয়, অংশীদারত্ব অকষ্মাৎ নয়, অকস্মাৎ অচিন্ত্যনীয় নয়, অচিন্তনীয় অন্তর্ভূক্ত নয়, অন্তর্ভুক্ত আঙ্গুল নয়, আঙুল (কিন্তু অঙ্গুলি।) আতংক নয়, আতঙ্ক আমদানী নয়, আমদানি আদ্র নয়, আর্দ্র আস্তাকুঁড় নয়, আঁস্তাকুড় ইতিপূর্বে নয়, ইতঃপূর্বে (তবে ইতিপূর্বে অশুদ্ধ প্রয়োগ … Read more

বর্গীয়-ব ও অন্তঃস্থ-ব: উভয়ের পার্থক্য

ড. মোহাম্মদ আমীন বর্গীয়-ব ও অন্তঃস্থ-ব: উভয়ের পার্থক্য বাংলার সবচেয়ে মর্যাদাশীল বর্ণ কোনটি? ‘বর্গীয়–ব’। কেন? কারণ, বাংলা ও বাংলাদেশ নামের বানানের প্রথম অক্ষর হলো ‘বর্গীয়–ব’। অধিকন্তু, মানুষের জন্মদাতা হিসেবে পরিচিত ‘বাবা’ নামের সম্বোধন-শব্দটির দুটি বর্ণই ‘বর্গীয়–ব’। কোনো বর্ণের মর্যাদাশীল হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করার জন্য— এর চেয়ে বেশি আর কী লাগে? ‘বর্গীয়–ব’ বর্ণের অবিকল চেহারার … Read more

শেষ বনাম সমাপ্তি: শেষ ও সমাপ্তি শব্দের পার্থক্য ও প্রয়োগ

ড. মোহাম্মদ আমীন শেষ বনাম সমাপ্তি: শেষ ও সমাপ্তি শব্দের পার্থক্য ও প্রয়োগ সংস্কৃত ‘শেষ’ শব্দের অর্থ বিশেষ্যে — সমাপ্তি, অবসান, ধ্বংস, বিনাশ, সীমা, নিষ্পত্তি এবং বিশেষণে — সমাপ্ত, বিনষ্ট, বিধ্বস্ত, অন্তিম, চরম, চূড়ান্ত প্রভৃতি; ইংরেজিতে যাকে বলা যায় finish। বাক্যে বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত ‘সমাপ্ত’ শব্দের অর্থ শেষ, নিষ্পন্ন, সম্পূর্ণ, বিগত, অতীত প্রভৃতি; ইংরেজিতে বলা … Read more

কারক: বাংলা ব্যাকরণ

ড. মোহাম্মদ আমীন কারক: বাংলা ব্যাকরণ বাক্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক থাকে, তাকে কারক বলে। কারক প্রধানত ছয় প্রকার। ছয় প্রকার কারকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং নির্ণয়ের সহজ কৌশল নিয়ে এই ছোটো লেখা: ১. কর্তৃকারক: বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। নির্ণয়ের কৌশল: ক্রিয়াকে ‘কে’ বা ‘কারা’ যোগে প্রশ্ন … Read more

ঈদ ইদ: ইদ হবে না কেন: ঈদ ও ইদ বানানের ইতিহাস আদি-অন্ত

ড. মোহাম্মদ আমীন ঈদ ইদ: ইদ হবে না কেন: ঈদ ও ইদ বানানের ইতিহাস আদি-অন্ত ইদ ও ঈদ  বাংলা একাডেমি আধুনি বাংলা অভিধানমতে ইদ ও ঈদ–এর অর্থ ইদ: ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব (ইদুল ফিতর বা ইদুল আজহা); খুশি, উৎসব; ঈদ-এর সংগততর ও অপ্রচলিত বানান। ইদগাহ: যে স্থানে একত্র হয়ে ইদের নামাজ পড়া হয়। ঈদগাহ-এর সংগততর … Read more

বিসিএস বাংলা: মঙ্গলকাব্য ও মনসামঙ্গল: একনজরে বাংলা সাহিত্য

ড. মোহাম্মদ আমীন বিসিএস বাংলা: মঙ্গলকাব্য ও মনসামঙ্গল: একনজরে বাংলা সাহিত্য মনসামঙ্গল সর্পের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনসার কাহিনী নিয়ে রচিত কাব্য মনসামঙ্গল কাব্য। ড. দীনেশ চন্দ্র সেনের মতে, কমপক্ষে ৬২ জন কবি ‘মনসামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেছেন। নারায়ণ দেব, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ, ষোড়শ শতকের কবি গঙ্গাদাস সেন, সপ্তদশ সতকের রামজীবন বিদ্যাভূষণ, বাণেশ্বর, জীবন … Read more