জাতীয় পতাকা বিধিমালা: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা

ড. মোহাম্মদ আমীন

জাতীয় পতাকা বিধিমালা: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকা বিধিমালা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ অনুযায়ী জাতীয় পতাকার সুনির্দিষ্ট আকার, আকৃতি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হয়। ‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যেরে এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যরে নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উলম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ

ড. মোহাম্মদ আমীন

বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হবে। অর্থাৎ পতাকার দৈর্ঘ্যরে বিশ ভাগের বাম দিকের নয় ভাগের শেষ বিন্দুর ওপর অঙ্কিত লম্ব এবং প্রস্থের দিকে মাঝখান বরাবর অঙ্কিত সরল রেখার ছেদ বিন্দু হলো বৃত্তের কেন্দ্র। পতাকার সবুজ পটভূমি হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট গ্রিন এইচ-২ আর এস ৫০ পার্টস এবং লাল বৃত্তাকার অংশ হবে প্রতিহাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট অরেঞ্জ এইচ-২ আর এস ৬০ পার্টস।

পতাকা অর্ধনমিত
২১ শে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং সরকার প্রজ্ঞাপিত অন্য যে-কোন দিবসে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। প্রসঙ্গত, পতাকা অর্ধনমিত হবে খুঁটির ওপর থেকে পতাকার প্রস্থের সমান নিচে।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন
মহানবীর জন্ম দিবস বা ইদ-এ-মিলাদুন্নবি, ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস; ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস; সরকার প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোনো দিবসে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে এবং বিদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের অফিস ও কনস্যুলারসমূহে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে হয়।

বাসভবনে পতাকা উত্তোলনের অধিকারী
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, মন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, উপমন্ত্রী, উপমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, বিদেশে বাংলাদেশের কূটনীতিক এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন।

গাড়ি বা জলযানে পতাকা উত্তোলন
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি এবং বিদেশে বাংলাদেশের কূটনীতিকবৃন্দ নিজেরা অবস্থানকালীন গাড়ি বা জলযানে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারেন।

ভবন, বাসস্থান, মোটরগাড়ি ইত্যাদিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন
প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও দপ্তর, যেমন রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রী ভবন, জাতীয় সংসদ ভবন ইত্যাদিতে কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। সকল মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, হাইকোর্ট ভবন, জেলা আদালত ও সেসন জজের আদালত এবং বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার/কালেক্টর, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগার, থানা, শুল্ক ঘাঁটি এবং সময়ে সময়ে সরকারের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক এ ধরনের অন্যান্য ভবনে প্রতিটি কার্যদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ চ্যান্সারি ও দূতাবাসভবনে জাতীয় পতাকা উড্ডীন থাকবে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, চীফ হুইপ, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা, বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাস প্রধানদের সরকারি বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। এদের প্রত্যেকে নিজস্ব গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারেন।

#subach

Leave a Comment

You cannot copy content of this page