বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল শুদ্ধীকরণ: বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল কারণ ও প্রতিকার

ড. মোহাম্মদ আমীন

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল শুদ্ধীকরণ: বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল কারণ ও প্রতিকার

২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (সেট নং ৪,পৃষ্ঠা নং ৮) থেকে।

সবুজ রঙের লেখা দিয়ে উত্তর চিহ্নিত করা হয়েছে।

১৬৬. প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় কোন স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে জিহ্বা উচ্চ অবস্থানে থাকে?
(ক) আ
(খ) এ
(গ) উ
(ঘ) ও
.
১৬৭. প্রশ্ন: বাংলা শব্দ ভাণ্ডারে অনার্য জাতির ব্যবহৃত শব্দ—
(ক) তৎসম
(খ) তদ্ভব
(গ) দেশি
(ঘ) বিদেশি

শুদ্ধীকরণ: ভাণ্ডারে> ভান্ডারে [শব্দটির বানানে ‘ণ’ হবে না। ‘ন’ হবে।] দ্রষ্টব্য: বিকল্প ‍উত্তর বিবেচনায় প্রশ্নটি যথোপযুক্ত হয়নি। অনার্য জাতিরা সব ধরনের (তৎসম তদ্ভব দেশি বিদেশি) শব্দ ব্যবহার করত। শব্দকে কী বলা হয় তা।১৬৮. প্রশ্ন: ‘ধ্বনি বিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ গ্রন্থের রচয়িতা—

(ক) মুহম্মদ আবদুল হাই
(খ) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
(গ) মুনীর চৌধুরী
(ঘ) মুহম্মদ এনামুল হক
.
১৬৯. প্রশ্ন: বাংলা বর্ণমালার যৌগিক স্বর কয়টি?
(ক) ১টি।
(খ) ২টি।
(গ) ৩টি
(ঘ) ৪টি
.
১৭০. প্রশ্ন: যোগরুঢ় শব্দ কোনটি?
(ক) কলম
(খ) মলম
(গ) বাঁশি
(ঘ) শাখামৃগ

শুদ্ধীকরণ:  যোগরুঢ়> যোগরূঢ়

১৭১. প্রশ্ন: উপসর্গযুক্ত শব্দ—
(ক) বিদ্যা (খ) বিদ্রোহী (গ) বিষয়  (ঘ) বিপুল 

বিদ্রোহী= বি+দ্রোহ+ইন্=বি+দ্রোহী; ‘বি’ একটি উপসর্গ। বিদ্রোহী’ উপসর্গযুক্ত শব্দ।
বিষয়= বি+√সি+অ= বি+ষয়; ‘বি’ একটি উপসর্গ। বিষয়’ উপসর্গযুক্ত শব্দ।
বিপুল= বি+√পুল্‌+অ= বি+পুল; ‘বি’ উপসর্গ। ‘বিপুল’ উপসর্গযুক্ত শব্দ।
বিকল্প উত্তরের মধ্যে তিনটি, যথাক্রমে বিদ্রোহী, বিষয় ও বিপুল উপসর্গযুক্ত শব্দ।
১৭২. প্রশ্ন: বিভক্তিযুক্ত শব্দ কোনটি?
(ক) সরোবরে 
(খ) চশমা
(গ) সরোজ
(ঘ) চম্পক
.
১৭৩. প্রশ্ন: কোনটি প্রত্যয়সাধিত শব্দ?

(ক) ভাইবোন
(খ) রাজপথ
(গ) বকলম
(ঘ) ঐকিক
এক+ইক; ইক-প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।
১৭৪. প্রশ্ন: শিরশ্ছেদ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ—
(ক) শির+ছেদ
(খ) শিরঃ+ছেদ
(গ) শিরশ্+ছেদ
(ঘ) শির+উচ্ছেদ
দ্র.শিরস্‌+ছেদ= শিরশ্ছেদ শিরঃ (-রস্)
১৭৫. প্রশ্ন: ‘নীলকর’ কোন সমাসের দৃষ্টান্ত?
(ক) দ্বন্ধ
(খ) বহুব্রীহি
(গ) নিত্য
(ঘ) উপপদ তৎপুরুষ
.
১৭৬. প্রশ্ন: ‘Pedagogy’ শব্দের পরিভাষা—
(ক) সহশিক্ষা
(খ) নারীশিক্ষা
(গ) শিক্ষাতত্ত্ব
(ঘ) শিক্ষানীতি
১৭৭. প্রশ্ন: ‘বঙ্কিম’ এর বিপরীত শব্দ কোনটি?
(ক) বন্ধুর
(খ) অসম
(গ) সুষম
(ঘ) ঋজু
শুদ্ধীকরণ: 
বঙ্কিমএর> বঙ্কিম’-এর [ষষ্ঠী বিভক্তি হিসেবে ব্যবহৃত ‘এর’ আগে হাইফেন অপরিহার্য। 
এটি সাধারণত  ধ্বনি হয়ে সংশ্লিষ্ট পদের সঙ্গে সেঁটে বসে। বিশেষ কারণে 
‘র’ ধ্বনিকে ‘এর’ বানানেমূল পদ হতে পৃথক রাখতে হলে আগে 
হাইফেন (-) অপরিহার্য। নইলে বিভক্তি (এর) সর্বনাম হয়ে যায়।]

১৭৮. প্রশ্ন: বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম কত সালে প্রণীত হয়?
ক) ১৯৯০
খ) ১৯৯২
(গ) ১৯৯৪
(ঘ) ১৯৯৬

শুদ্ধীকরণ:
বাংলা একাডেমিরপ্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম> ‘বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা 
বানানের নিয়ম’[পুস্তিকাটির নাম ‘বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম’।
নাম অবিকল রাখা বাঞ্ছনীয়।]

১৭৯. প্রশ্ন: কোন বানানটি শদ্ধ?
(ক) মুলো
(খ) মুলা
(গ) ধুলি
(ঘ) ধূলো

শুদ্ধীকরণ:
শদ্ধ> শুদ্ধ/অশুদ্ধ [টেপাভুল]
প্রশ্নের চারটি বিকল্প উত্তরের মধ্যে মুলো’ ও মুলা’ উভয় বানান শুদ্ধ।
অন্যদিকে, ধুলি’ ও ধূলো’ উভয় বানান অশুদ্ধ। অথচ অথচ প্রশ্নপত্রের
প্রথম পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “প্রতিটি প্রশ্নের ৪টি উত্তরের মধ্যে ১টি সঠিক
উত্তর রয়েছে। কিন্তু এখানে সঠিক উত্তর দুটি। অশুদ্ধ উত্তরও দুটি।
“যখন জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়,
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়...” — রবীন্দ্রনাথ।
“কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না শুকনো ধুলো যত!
কে জানিত আসবে তুমি গো অনাহূতের মতো।”— রবীন্দ্রনাথ।
“তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরই গান।”— নজরুল

১৮০. প্রশ্ন: ‘নদী’-র সমার্থ শব্দ কোনটি?
(ক) সিন্ধু
(খ) হিল্লোল
(গ) তটিনী
(ঙ) নির্ঝর

১৮১. প্রশ্ন: চর্যাপদের কবিরা ছিলেন—
(ক) মহাঘানী বৌদ্ধ
(খ) বজ্রঘানী বৌদ্ধ
(গ) বাউল
(ঘ) সহজঘানী বৌদ্ধ

শুদ্ধীকরণ: 
মহাঘানী> মহাযানী
বজ্রঘানী> বজ্রযানী
সহজঘানী> সহজযানী
দুটি বিকল্প সঠিক। মহাযানী ও সহজযানী। তবে সর্বাধিক সঠিক সহজযানী

১৮২.প্রশ্ন: শূন্যপূরাণের রচয়িতা—
(ক) রামাই পন্ডিত
(খ) হলায়ূধ মিশ্র
(গ) কাহ্ন
(ঘ) কুক্কুরীপা

শুদ্ধীকরণ:
পন্ডিত> পণ্ডিত [পণ্ডিত বানানে মূর্ধন্য-ণ অপরিহার্য।]

১৮৩. প্রশ্ন: বাংলাসাহিত্যের ইতিহাসে কাঁকিল্যা গ্রাম কেন উল্লেখযোগ্য?
(ক) শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান
(খ) বড়ুচণ্ডীদাসের জন্মস্থান
(গ) চর্যাপদের প্রাপ্তিস্থান
(ঘ) শ্রীকৃষ্ণকীর্ত্তন কাব্যের প্রাপ্তিস্থান

শুদ্ধীকরণ:
কাঁকিল্যা গ্রাম> ‘কাঁকিল্যা গ্রাম’
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের 
দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘর থেকে এই কাব্য আবিষ্কার করেন।

১৮৪. প্রশ্ন: যেসব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি— কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত—
(ক) নূরনামা
(খ) নসিহতনামা
(গ) মধুমালতী
(ঙ) ইউসুফ-জুলেখা

১৮৫. প্রশ্ন: আলাওল কোন শতাব্দীর কবি?
(ক) পঞ্চদশ
(খ) ষোড়শ
(গ) সপ্তদশ
ঘ) অষ্টাদশ

১৮৬. প্রশ্ন: কোন বাংলা গানকে ইউনেস্কো Heritage of Humanity অভিধায় ভূষিত করেছে?
(ক) রবীন্দ্র সংগীত
(খ) নজরুল সংগীত
(গ) ভাটিয়ালি গান
(ঘ) বাউল গান

শুদ্ধীকরণ: 
Heritage of Humanity> ‘Heritage of Humanity’। 
রবীন্দ্র সংগীত> রবীন্দ্রসংগীত [বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা: ১১৬৬]
নজরুল সংগীত>নজরুলসংগীত [বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা: ৭১০]
ভাটিয়ালি গান> ভাটিয়ালি [ভাটার টানে নৌকা চালানোর সময় বাংলাদেশের মাঝিরা যে
সুরে গান গায়, নদীবহুল অঞ্চলের লোকগীতি। বাএআবাঅ, পৃষ্ঠা: ১০৪১]
বাউল গান> বাউলগান [বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা: ৯৩৫ পৃষ্ঠা]

১৮৭. প্রশ্ন: চন্ডীচরণ মুন্সী কে?
(ক) শ্রীরামপুর মিশনের লিপিকর
(খ) ফোর্ড উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত
(গ) কেরী সাহেবের মুন্সী গ্রন্থের রচয়িতা
(ঘ) সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকার সম্পাদক

শুদ্ধীকরণ:
চন্ডীচরণ> চণ্ডীচরণ [ণ্‌+ড]
কেরী সাহেবের মুন্সী গ্রন্থের রচয়িতা> কেরী সাহেবের মুন্সীগ্রন্থের রচয়িতা
সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকার সম্পাদক> সমাচার চন্দ্রিকাপত্রিকার সম্পাদক
এই প্রকৃতির অনেক পদে একক-উদ্ধৃতিচিহ্ন দেওয়া হয়েছে। 
দ্র. প্রশ্ন নং: ১, নং ১১৭, ১১৮, ১৬৮, ১৭৫, ১৭৬, ১৮০ ।

১৮৮. প্রশ্ন: ‘রত্নপরীক্ষা’ গ্রন্থের রচয়িতা—
(ক) রামমোহন রায়
(খ) অক্ষয় কুমার দত্ত
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(ঘ) রাধানাথ শিকদার

যোগেশচন্দ্র রায়-এর লেখা একটি গ্রন্থ আছে, নাম রত্নপরীক্ষা। প্রকাশ: ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘রত্নপরীক্ষা’ গ্রন্থের রচনাকাল ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ। 

১৮৯. প্রশ্ন: স্বর্ণকুমারী দেবীর পিতার নাম—
(ক) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(খ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঙ) প্রমথ চৌধুরী

১৯০. প্রশ্ন: ভীষ্মদেব খোশনবীশ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন গ্রন্থের চরিত্র?
(ক) কমলাকান্ত
(খ) লোকরহস্য
(গ) মুচিরামগুড়ের জীবনচরিত
(ঘ) যুগলাঙ্গুরীয়

শুদ্ধীকরণ:
ভীষ্মদেব খোশনবীশ> ‘ভীষ্মদেব খোশনবীশ’ 
[একই প্রকৃতির পদ/পদাংশের জন্য এই প্রশ্নপত্রে একক-উদ্ধৃতি 
ব্যবহার করা হয়েছে। দেখুন: 
[দ্র. প্রশ্ন নং: ১১৭, ১১৮, ১৬৮, ১৭৫, ১৮০, ১৮৮, ১৯১ ১৯৩]

১৯১. প্রশ্ন: দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদক—
(ক) জশুয়া মার্শম্যান
(খ) ডেভিড হেয়ার
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(ঙ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত

 শুদ্ধীকরণ:
 অনেকের ধারণা, নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। 
তা আদৌ সঠিক নয়।  আধুনিক গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে যে, 
‘Nil Durpan, or The Indigo Planting Mirror’ নামে এর অনুবাদ প্রকাশ করেছিলেন
রেভারেন্ড জেমস লঙ। এই অনুবাদ প্রকাশিত হবার পর জেমস লঙের 
জরিমানা ও কারাদণ্ড হয়। কালীপ্রসন্ন সিংহ জরিমানার টাকা আদালতেই 
পরিশোধ করে দেন। প্রসঙ্গত, এটিই প্রথম বাংলা নাটক যা ইংরেজিতে অনূদিত হয়।

১৯২. প্রশ্ন: রঞ্জন চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথের কোন নাটকের রচনা?
(ক) বিসর্জন
(খ) রক্তকরবী
(গ) মুক্তধারা
(ঘ) ডাকঘর

শুদ্ধীকরণ:
রঞ্জন> ‘রঞ্জন’

১৯৩. প্রশ্ন: ‘তৈল’ প্রবন্ধটি লিখেছেন—
(ক) সুকুমার রায়
(খ) রমেশচন্দ্র মজুমদার
(গ) শিবনারায়ণ রায়
(ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

১৯৪. প্রশ্ন: “নাম রেখেছি কোমল গান্ধার” কাব্যের রচয়িতা—
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) বিষ্ণু দে
(গ) অমিয় চক্রবর্তী
(ঘ) প্রেমেন্দ্র মিত্র

শুদ্ধীকরণ: 
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার, একক-উদ্ধৃতি দেওয়া উচিত ছিল। 
সাধারণত উক্তিতে জোড়-উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যদিও 
জোড়-উদ্ধৃতির প্রয়োগ কোনো ব্যাকরণগত ভুল নয়। তবে এই প্রশ্নপত্রে 
এমন বিষয়ের জন্য ইতঃপূর্বে একক-উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। 
দ্র. প্রশ্ন নং: ১৯৫। 
সবক্ষেত্রে একই রীতি অনুসরণ উত্তম।]

১৯৫. প্রশ্ন: ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’’ গানটি রচয়িতা—
(ক) কাজী নজরুল ইসলাম
(খ) গোলাম মোস্তফা
(গ) জসীমউদ্‌দীন
(ঘ) আব্বাস উদ্দীন আহমেদ

১৯৬. প্রশ্ন: শামসুর রাহমানের রচিত উপন্যাস—
(ক) পতঙ্গ পিঞ্জর
(খ) প্রেম একটি লাল গোলাপ
(গ) রোদ্র করোটিতে
(ঘ) অদ্ভুত আঁধার এক

‘অদ্ভুত আঁধার এক’ প্রথম প্রকাশ ১৯৮৫।

১৯৭. প্রশ্ন: সেলিম আল দীনের নাটকে অনুসৃত শিল্পতত্ত্ব—
(ক) অস্তিত্ববান
(খ) অতিব্যক্তিবান
(গ) পরাবস্তববান
(ঘ) দ্বৈতাদ্বৈতবাদ

১৯৮. প্রশ্ন: ‘পৃথক পালঙ্ক’ কাব্যগ্রন্থের কবি —
(ক) আল মাহমুদ
(খ) রফিক আজাদ
(গ) আবুল হাসান
(ঘ) আবুল হোসেন

১৯৯. প্রশ্ন: কোন গল্পকারের গল্পে ম্যাজিক রিয়েলিজমের প্রতিফলন ঘটেছে?
(ক)  জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
(খ) রিজিয়া রহমান
(গ) শহীদুল জহির
(ঘ) দিলারা হাশেম

২০০. প্রশ্ন: ‘‘একুশ মানে মাথানত না করা’’ — এই অমর পঙ্‌ক্তির রচয়িতা—
(ক)  আবদুল গাফফার চৌধুরী
(খ) আবুল ফজল
(গ) মুনীর চৌধুরী
(ঘ) সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

শুদ্ধীকরণ:
গাফফার> গাফ্‌ফার

২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের (কপোতাক্ষ, সেট নম্বর ৩) ৮৭ ও ৮৯ নম্বর প্রশ্নের ভুল/অসংগতি ‘বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম’ পুস্তিকা ও ‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’ অনুযায়ী চিহ্নিত করা হলো।এছাড়াও প্রশ্নপত্রটিতে রয়েছে আরো অনেক ভুল। ‘সরকারী কর্মকমিশন’-এর মতো একটি প্রতিষ্ঠানের এমন ভুল ও অসংগতি রীতিমতো অবিশ্বাস্য।

  • বঙ্কিম এর> ‘বঙ্কিম’-এর/ ‘বঙ্কিম’-র [একই ধরনের শব্দের জন্য ৯০নং প্রশ্নে হাইফেন (-) ব্যবহার করা হয়েছে। ‘দ্রষ্টব্য’ দেখুন।]
  • শদ্ধ> শুদ্ধ/অশুদ্ধ [বাক্য/প্রশ্নের ধরন বিবেচনায়]
  • ধুলি> ধূলি [বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা: ৭০২]
  • ধূলো> ধুলো বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা: ৭০১]
দ্রষ্টব্য: ‘এর’ ষষ্ঠী বিভক্তি। এটি সাধারণত ‘র’ ধ্বনি হয়ে সংশ্লিষ্ট পদের সঙ্গে সেঁটে বসে। বিশেষ কারণে ‘র’ ধ্বনিকে ‘এর/র’ বানানে মূল পদ হতে পৃথক রাখতে হলে আগে হাইফেন (-) অপরিহার্য। নইলে ‘এর’ অর্থ হয়ে যায় (বিশেষণে) তাহার, তার, ইহার, এটির।]
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত (২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে এপ্রিল) বিসিএস (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণ ও পিএসসির দায় সম্পর্কে পিএসসির চেয়ারম্যান জনাব সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল।
আলাপের এক পর্যায়ে তিনি বললেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের শুরু থেকে ছাপা পর্যন্ত কোনো পর্যায়ে কোনো বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের কেউ সম্পৃক্ত থাকেন না। থাকার সুযোগও নেই। নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী পিএসসি প্রশ্নকারীদের প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করার অনুরোধ করেন। মডারেটরগণ তা সংশোধন করেন। প্রশ্নকারী ও মডারেটরগণ প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বে থাকেন। তাঁরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদগ্ধ শিক্ষক। এঁদের কেউ পিএসসির কর্মকর্তা নন। তাঁরা ৬ সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে তা ছাপানোর জন্য সরাসরি বিজি প্রেসে পাঠিয়ে দেন। পরীক্ষার কয়েকদিন পূর্বে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিএস প্রেস হতে ৬ সেট প্রশ্নপত্র সিলগালা অবস্থায় গ্রহণ করেন। সংগৃহীত প্রশ্নপত্র উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ ভল্টে সম্মিলিত জিম্মায় সংরক্ষণ করা হয়। পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আধ ঘণ্টা আগে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে লটারির বা দৈবচয়নের মাধ্যমে ৬ সেট প্রশ্নপত্র থেকে এক সেট প্রশ্নপত্র নির্বাচন করে। এরপর নির্বাচিত সেটের নাম বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচিত সেটের প্রশ্নই হলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পূর্বে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হয়। তখনই আমাদের প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ হয় এবং জানতে পারি কোথায় কী রয়েছে। এর আগে আমাদের কারও প্রশ্নপত্র বিষয়ে কোনো কিছু দেখার বা জানার সুযোগ থাকে না। বরং আমাদের আগে পরীক্ষার্থীগণ প্রশ্নপত্র পেয়ে যান। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, প্রশ্নপত্রের ভুল বা অসংগতিতে পিএসসির সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাই কিছু করারও নেই।
“আপনাদের কি আসলেই কিছু করার নেই?” আমার প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান মহোদয় বললেন, প্রশ্নকর্তা ও মডারেটগণকে আমরা আরও সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ করতে পারি। তৃতীয় কোনো পক্ষকে দেখাতে গেলে গোপনীয়তাসংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়। ভুলত্রুটি কাম্য নয়; তবু বাধ্য হয়ে কিছুটা মেনে নেওয়া গেলেও গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হওয়ার বিষয়টি একবিন্দুও মেনে নেওয়া যায় না। তাই অনেক সতর্ক থাকার পরও কিছু ত্রুটি থেকে যায়। এ বিষয়ে আমরা আরও সতর্ক থাকার তাগিদ অনুভব করছি এবং থাকব।
বিসিএস-বিষয়ক অন্যান্য পোস্ট

বিসিএস ৪৬তম (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল ও শুদ্ধীকরণ: প্রশ্ন নং ১ থেকে ৩০

বিসিএস ৪৬তম (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল, শুদ্ধীকরণ ও উত্তর: প্রশ্ন নং ৯১ থেকে ১১৮

Leave a Comment

You cannot copy content of this page

poodleköpek ilanlarıankara gülüş tasarımı
Casibomataşehir escortjojobet